০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
শক্তিশালী ভূমিকম্পে সারা দেশে ছয়জনের মৃত্যু, বহু আহত ভূমিকম্পে বদলে যাবার পরে কোনটা পুরানো ব্রহ্মপুত্র আর কোনটা নতুন ব্রহ্মপুত্র ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে নারায়ণগঞ্জে তুলা কারখানায় ভয়াবহ আগুন ব্রহ্মপুত্রের পথ বদলে দেওয়া ভূমিকম্প: ইতিহাসের এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা দুই শতকের কম্পন: বাংলাদেশের বড় ভূমিকম্প ও তার ফলে যা ঘটেছিলো  যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত ৯৩ মিলিয়ন ডলারের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক সিস্টেম ও এক্সক্যালিবার গোলাবারুদ কিনছে বাংলাদেশের নতুন সিসমিক মানচিত্রে উচ্চ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাঁশখালী, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, নাটোরসহ বহু জেলা বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ শিক্ষকদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে আল্টিমেটাম, ৩০ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতির হুমকি ইউপিএস কার্গো বিমানের দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনায় নতুন বড় সূত্র

ইউরোপে গ্যাসের দাম স্থিতিশীল—স্বস্তি আছে, ঝুঁকিও আছে

মজুত ভরা, চাহিদা কম—বাজারে শান্ত ভাব

ইউরোপের গ্যাসবাজারে শুক্রবার দাম সামান্য কমলেও সামগ্রিকভাবে তা এখনো সীমিত রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। শীত শুরুর আগেই গুদামে উল্লেখযোগ্য মজুত থাকায় বাজারে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি দেখা যায়নি। শিল্প উৎপাদনের গতি কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাস ব্যবহার তুলনামূলকভাবে নরম। এই শান্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন ইউটিলিটি কোম্পানি আগাম শীতের জন্য নতুন হেজিং চুক্তি করছে।

নীতিনির্ধারকদের চাপ কিছুটা কমেছে

মহাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখনো মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়ছে, আর গ্যাসের দাম তাদের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে দামের স্থিতিশীলতার কারণে সুদের হার ও লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছুটা জায়গা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে দেশগুলো ঘরবাড়িতে ইনসুলেশন, স্মার্ট গ্রিড ও হিট পাম্পে ভর্তুকি বাড়িয়ে ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমাতে চাইছে।

সাধারণ গৃহস্থের বিল দ্রুত কমবে না, কারণ অনেকেই এখনো পুরোনো স্থির দামের চুক্তিতে আবদ্ধ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এখনই ঘরবাড়ির জ্বালানি সাশ্রয়ী সংস্কার করলে পরের শীতের ধাক্কা অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে। সার্বিকভাবে—ইউরোপ প্রস্তুত আগের চেয়ে ভালো, কিন্তু ঝুঁকি একেবারে শেষ হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শক্তিশালী ভূমিকম্পে সারা দেশে ছয়জনের মৃত্যু, বহু আহত

ইউরোপে গ্যাসের দাম স্থিতিশীল—স্বস্তি আছে, ঝুঁকিও আছে

০৫:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

মজুত ভরা, চাহিদা কম—বাজারে শান্ত ভাব

ইউরোপের গ্যাসবাজারে শুক্রবার দাম সামান্য কমলেও সামগ্রিকভাবে তা এখনো সীমিত রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। শীত শুরুর আগেই গুদামে উল্লেখযোগ্য মজুত থাকায় বাজারে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি দেখা যায়নি। শিল্প উৎপাদনের গতি কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাস ব্যবহার তুলনামূলকভাবে নরম। এই শান্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন ইউটিলিটি কোম্পানি আগাম শীতের জন্য নতুন হেজিং চুক্তি করছে।

নীতিনির্ধারকদের চাপ কিছুটা কমেছে

মহাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখনো মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়ছে, আর গ্যাসের দাম তাদের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে দামের স্থিতিশীলতার কারণে সুদের হার ও লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছুটা জায়গা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে দেশগুলো ঘরবাড়িতে ইনসুলেশন, স্মার্ট গ্রিড ও হিট পাম্পে ভর্তুকি বাড়িয়ে ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমাতে চাইছে।

সাধারণ গৃহস্থের বিল দ্রুত কমবে না, কারণ অনেকেই এখনো পুরোনো স্থির দামের চুক্তিতে আবদ্ধ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এখনই ঘরবাড়ির জ্বালানি সাশ্রয়ী সংস্কার করলে পরের শীতের ধাক্কা অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে। সার্বিকভাবে—ইউরোপ প্রস্তুত আগের চেয়ে ভালো, কিন্তু ঝুঁকি একেবারে শেষ হয়নি।