আইমারা রসলির মতে, দাম্পত্য জীবনে যে কোনো সম্পর্কেই পরীক্ষার মুহূর্ত আসে। প্রস্তুতি না থাকলে ছোটখাটো গৃহস্থালি সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে পরকীয়া — যা শুধু বিশ্বাস ভাঙে না, মানসিক আঘাতও দেয়।
পরকীয়ার ঘটনায় তড়িঘড়ি করে অনলাইনে কিছু না বলার পরামর্শ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক পরকীয়া ঘটনার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী ও সঞ্চালক আইমারা রসলি (৩৪) নারীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, স্বামী প্রতারণা করলে তা সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে প্রকাশ করা ঠিক নয়। আগে প্রমাণ সংগ্রহ করা উচিত এবং পেশাদার কারও সঙ্গে কথা বলা জরুরি—যেমন কাউন্সেলর বা শরিয়াহ আইনজীবী। তার ভাষায়, হঠাৎ রাগের মাথায় নেওয়া সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অনলাইন অপমান পরিবারের ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে
আইমারা, যার আসল নাম নুর আমিরা ইজ্জাতি, মনে করেন — অনলাইনে সঙ্গীর প্রতারণা প্রকাশ করলে তা শুধু তার আত্মসম্মানেই আঘাত হানে না, পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেলে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ক্ষতগুলো মুছে ফেলা কঠিন হয়ে যায়। তাই সমস্যা সমাধান করা উচিত সঠিক ও দায়িত্বশীল উপায়ে।

নিজের দাম্পত্য অভিজ্ঞতা: পরিপূর্ণ নয়, তবে বোঝাপড়া গুরুত্বপূর্ণ
অভিনেতা আমার বাহারিনের সঙ্গে প্রায় দশ বছর ধরে বিবাহিত আইমারা স্বীকার করেন, কোনো দাম্পত্যই নিখুঁত নয়। তার কথায়, তাদেরও ছোটখাটো মনোমালিন্য হয়, তবে তারা বিষয়গুলো শান্তভাবে এবং পরিপক্বতার সঙ্গে সামলে নেন।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কৌশল: রাগ না ধরে রাখা ও দ্রুত সমঝোতা
আইমারা বলেন, তিনি রাগ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পছন্দ করেন না। ঝগড়া হলেও সে দিনেই মিল-মিশ করতে চান। তার মতে, ক্ষমা চাওয়া কখনোই পরাজয় নয়—বরং সম্পর্ককে মূল্য দেওয়ার প্রমাণ।
সুখী সংসারের চাবিকাঠি: যোগাযোগ ও সহনশীলতা
তিনি মনে করেন, খোলামেলা কথা বলা এবং পরস্পরের প্রতি সহনশীলতাই তাদের সংসারকে শান্ত রাখে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















