১২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে আসক, এ বছরেই প্রাণ গেছে ১৫ জনের নির্বাচনপূর্ব সংকটে গণতন্ত্র: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন কমনওয়েলথ ঘন ঘন ভূমিকম্প: বড় ধাক্কার জন্য ঢাকা কি প্রস্তুত? রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালঃবাংলাদেশ সুপার ওভারে নার্ভ হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে হারল ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্রের ইনফেকশন এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে খালেদা জিয়া আমাদের সন্তানরা আলি মাদীহ হাশমি শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী সূচনা: ডিএসই ও সিএসই-তে লেনদেন কমে যাচ্ছে চকবাজারে আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষে আহত ৭ ছাত্র ৪ ডিসেম্বর যমুনা ঘেরাও: বন্দর চুক্তি বাতিলের আল্টিমেটাম বাম জোটের মানিকগঞ্জে বাউল আবুল সরকারের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত ৪

ভিয়েতনামের ক্রেডিট কোটা সংস্কার: অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিকায়নের প্রয়োজন

ভিয়েতনামের অর্থনীতিতে ব্যাংক ঋণ দীর্ঘদিন ধরে প্রধান চালিকাশক্তি। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক (এসবিভি) বহু বছর ধরে ‘ক্রেডিট স্পেস’ বা ঋণসীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে নীতি পরিচালনা করেছে। ২০২৫ সালের জন্য এসবিভি বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য বাড়িয়ে ১৯–২০ শতাংশ করেছে, যা আগের ১৬ শতাংশ পরিকল্পনার চেয়ে বেশি।

এই কোটা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মূলধনের প্রবাহ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, বিশেষ করে যখন ব্যাংক খাত এখনো অনুৎপাদনশীল ঋণ ও নানা ঝুঁকির চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে ব্যাসেল II ও ব্যাসেল III মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত এই কঠোর কোটার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে।

সীমা-নির্ভর নিয়ন্ত্রণ থেকে ঝুঁকিভিত্তিক নজরদারির পথে
বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিটি ব্যাংকের বার্ষিক ঋণসীমা এইচবিভি নির্ধারণ করে। ব্যাংক একবার সীমায় পৌঁছে গেলে আর ঋণ দিতে পারে না—চাহিদা যতই বেশি হোক।

২০২৫ সালে কোটা বাড়ানো হলেও বড় ব্যাংকগুলো প্রথম ছয় মাসেই ১৮ শতাংশের বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিপরীতে ছোট ব্যাংকগুলো সীমাবদ্ধতার কারণে যোগ্য গ্রাহককেও ঋণ দিতে পারছে না।

এই ব্যবস্থা দুর্বল ব্যাংকের জন্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে একই সীমার মধ্যে আটকে দেয়। এর ফলে অনেক স্থিতিশীল কোম্পানি শুধু ব্যাংকের ঋণসীমা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ঋণ থেকে বঞ্চিত হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন ভিয়েতনামের উচিত ধীরে ধীরে ‘হার্ড কোটার’ বদলে ঝুঁকিভিত্তিক নজরদারির দিকে এগোনো—যেখানে প্রতিটি ব্যাংকের ঝুঁকি প্রোফাইল ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতার ভিত্তিতে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বিত হবে।

4 Signs of Unprecedented Times in the Semiconductor Industry, News / Insights | CDI Global

ঝুঁকিভিত্তিক নজরদারির চারটি প্রধান সূচক
মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (CAR): ব্যাসেল III অনুযায়ী ন্যূনতম ৮ শতাংশ থাকা জরুরি। ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বাড়লে CAR কমে যায়, ফলে ব্যাংক স্বাভাবিকভাবেই ঋণ কমাতে বাধ্য হয়।

ঋণ-আমানত অনুপাত (LDR): ৮৫–৯০ শতাংশের বেশি হলে তারল্য সংকটের ঝুঁকি বাড়ে।

ঝুঁকি ওজন: রিয়েল এস্টেটে ঋণের ঝুঁকি ওজন ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যখন সরকারি ঋণের ঝুঁকি ওজন প্রায় শূন্য—যা ব্যাংককে নিরাপদ পোর্টফোলিও গঠনে উৎসাহিত করে।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ঋণ সীমা: রিয়েল এস্টেট ও কর্পোরেট বন্ডের মতো খাতে আলাদা সীমা রাখলে পুরো খাতে সমান কোটার প্রয়োগ এড়ানো যায়।

কেন এখনই কোটা পুরোপুরি তুলে দেওয়া যাবে না
অনেকের মতে কোটা তুলে দেওয়ার সময় হয়েছে, তবে একাধিক ঝুঁকি বিবেচনা করা জরুরি।

ভিয়েতনামের আর্থিক ব্যবস্থা এখনো ব্যাংক ঋণনির্ভর। পুঁজিবাজার তুলনামূলকভাবে দুর্বল হওয়ায় কোটা তুলে দিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ রিয়েল এস্টেট বা শেয়ারবাজারে ঢুকে বাজার অস্থির করতে পারে।

অনেক ছোট ব্যাংক এখনো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছে এবং অতিরিক্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির দিকে ছুটছে। কিছু ব্যাংকের অনুৎপাদনশীল ঋণ (NPL) প্রথম প্রান্তিকে ১৪ শতাংশ হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার ডেটা অবকাঠামো এখনো রিয়েল-টাইম নজরদারির জন্য যথেষ্ট নয়।

ফিচ রেটিং সতর্ক করেছে যে ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলে NPL আরও বাড়তে পারে—বিশেষ করে যখন ২০২৫ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাত্র ৫.৬ শতাংশ ধরা হয়েছে।

FDI CONTINUES TO FLOW INTO VIETNAM'S SEMICONDUCTOR INDUSTRY – Mega Story

ঝুঁকি কমাতে ধাপে ধাপে রোডম্যাপ
পরিবর্তনের সময় তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রকদের বিবেচনায় রাখতে হবে।

প্রথম  ছোট ব্যাংকের পরোক্ষ ঋণের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি। NPL ২০ শতাংশে উঠতে পারে। এ ক্ষেত্রে এইচ বি ভি তাদের কোটা কমবে এবং CHAR ও LDR ত্রৈমাসিক ভাবে রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করবে।

দ্বিতীয় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বুদবুদ সৃষ্টি। রিয়েল এস্টেটে ঋণ ২৫ শতাংশের বেশি বাড়লে ১৫০ শতাংশ ঝুঁকি ওজন প্রয়োগ, LDR সীমা ৮৫ শতাংশ এবং CIC-কে রিয়েল-টাইম সিস্টেম উন্নীত করতে হবে।

তৃতীয় সিস্টেমিক ঝুঁকি বৃদ্ধি। ক্রেডিট-টু-জিডিপি অনুপাত ১৪০ শতাংশ পৌঁছালে মুদ্রানীতির স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এসবিভি বাধ্যতামূলক রিজার্ভ ২–৩ শতাংশ বাড়াতে পারে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে বন্ড বাজার শক্তিশালী করবে।

ধাপে ধাপে পরিবর্তন পরিকল্পনা

২০২৫–২০২৬: ক্রেডিট স্পেস থাকবে, তবে CAR, LDR, NPL প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে নমনীয় করা হবে। শক্তিশালী ব্যাংক বেশি কোটা পাবে, দুর্বল ব্যাংক কম।

২০২৭–২০২৮: ক্রেডিট কোটা বাতিল করে ঝুঁকিভিত্তিক ‘ডায়নামিক রিস্ক ওয়েট’ ব্যবস্থা চালু হবে। ব্যাসেল III-সম্মত ব্যাংকগুলো নিজেদের মূলধন সক্ষমতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ঋণ পরিচালনা করতে পারবে।

২০২৮-এর পর: কোটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে। ঋণ নিয়ন্ত্রণ হবে নীতি সুদের হার, রিজার্ভ হার, মূলধন পর্যাপ্ততা এবং রিয়েল-টাইম ডেটা নজরদারির মাধ্যমে। এসবিভি তদারকি ও নির্দেশনার ভূমিকায় থাকবে।

ভিয়েতনাম গত দশকে উচ্চ অনুৎপাদনশীল ঋণের চাপ থেকে ধীরে ধীরে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থার দিকে এগিয়েছে। তবে অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ঋণসীমার পরিবর্তে ঝুঁকিভিত্তিক এবং নমনীয় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন বেড়েছে। এই পরিবর্তনই দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।

#VietnamEconomy #BankingReform

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে আসক, এ বছরেই প্রাণ গেছে ১৫ জনের

ভিয়েতনামের ক্রেডিট কোটা সংস্কার: অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিকায়নের প্রয়োজন

১০:০০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ভিয়েতনামের অর্থনীতিতে ব্যাংক ঋণ দীর্ঘদিন ধরে প্রধান চালিকাশক্তি। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক (এসবিভি) বহু বছর ধরে ‘ক্রেডিট স্পেস’ বা ঋণসীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে নীতি পরিচালনা করেছে। ২০২৫ সালের জন্য এসবিভি বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য বাড়িয়ে ১৯–২০ শতাংশ করেছে, যা আগের ১৬ শতাংশ পরিকল্পনার চেয়ে বেশি।

এই কোটা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মূলধনের প্রবাহ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, বিশেষ করে যখন ব্যাংক খাত এখনো অনুৎপাদনশীল ঋণ ও নানা ঝুঁকির চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে ব্যাসেল II ও ব্যাসেল III মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত এই কঠোর কোটার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে।

সীমা-নির্ভর নিয়ন্ত্রণ থেকে ঝুঁকিভিত্তিক নজরদারির পথে
বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিটি ব্যাংকের বার্ষিক ঋণসীমা এইচবিভি নির্ধারণ করে। ব্যাংক একবার সীমায় পৌঁছে গেলে আর ঋণ দিতে পারে না—চাহিদা যতই বেশি হোক।

২০২৫ সালে কোটা বাড়ানো হলেও বড় ব্যাংকগুলো প্রথম ছয় মাসেই ১৮ শতাংশের বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিপরীতে ছোট ব্যাংকগুলো সীমাবদ্ধতার কারণে যোগ্য গ্রাহককেও ঋণ দিতে পারছে না।

এই ব্যবস্থা দুর্বল ব্যাংকের জন্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে একই সীমার মধ্যে আটকে দেয়। এর ফলে অনেক স্থিতিশীল কোম্পানি শুধু ব্যাংকের ঋণসীমা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ঋণ থেকে বঞ্চিত হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন ভিয়েতনামের উচিত ধীরে ধীরে ‘হার্ড কোটার’ বদলে ঝুঁকিভিত্তিক নজরদারির দিকে এগোনো—যেখানে প্রতিটি ব্যাংকের ঝুঁকি প্রোফাইল ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতার ভিত্তিতে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বিত হবে।

4 Signs of Unprecedented Times in the Semiconductor Industry, News / Insights | CDI Global

ঝুঁকিভিত্তিক নজরদারির চারটি প্রধান সূচক
মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (CAR): ব্যাসেল III অনুযায়ী ন্যূনতম ৮ শতাংশ থাকা জরুরি। ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বাড়লে CAR কমে যায়, ফলে ব্যাংক স্বাভাবিকভাবেই ঋণ কমাতে বাধ্য হয়।

ঋণ-আমানত অনুপাত (LDR): ৮৫–৯০ শতাংশের বেশি হলে তারল্য সংকটের ঝুঁকি বাড়ে।

ঝুঁকি ওজন: রিয়েল এস্টেটে ঋণের ঝুঁকি ওজন ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যখন সরকারি ঋণের ঝুঁকি ওজন প্রায় শূন্য—যা ব্যাংককে নিরাপদ পোর্টফোলিও গঠনে উৎসাহিত করে।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ঋণ সীমা: রিয়েল এস্টেট ও কর্পোরেট বন্ডের মতো খাতে আলাদা সীমা রাখলে পুরো খাতে সমান কোটার প্রয়োগ এড়ানো যায়।

কেন এখনই কোটা পুরোপুরি তুলে দেওয়া যাবে না
অনেকের মতে কোটা তুলে দেওয়ার সময় হয়েছে, তবে একাধিক ঝুঁকি বিবেচনা করা জরুরি।

ভিয়েতনামের আর্থিক ব্যবস্থা এখনো ব্যাংক ঋণনির্ভর। পুঁজিবাজার তুলনামূলকভাবে দুর্বল হওয়ায় কোটা তুলে দিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ রিয়েল এস্টেট বা শেয়ারবাজারে ঢুকে বাজার অস্থির করতে পারে।

অনেক ছোট ব্যাংক এখনো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছে এবং অতিরিক্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির দিকে ছুটছে। কিছু ব্যাংকের অনুৎপাদনশীল ঋণ (NPL) প্রথম প্রান্তিকে ১৪ শতাংশ হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার ডেটা অবকাঠামো এখনো রিয়েল-টাইম নজরদারির জন্য যথেষ্ট নয়।

ফিচ রেটিং সতর্ক করেছে যে ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলে NPL আরও বাড়তে পারে—বিশেষ করে যখন ২০২৫ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাত্র ৫.৬ শতাংশ ধরা হয়েছে।

FDI CONTINUES TO FLOW INTO VIETNAM'S SEMICONDUCTOR INDUSTRY – Mega Story

ঝুঁকি কমাতে ধাপে ধাপে রোডম্যাপ
পরিবর্তনের সময় তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রকদের বিবেচনায় রাখতে হবে।

প্রথম  ছোট ব্যাংকের পরোক্ষ ঋণের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি। NPL ২০ শতাংশে উঠতে পারে। এ ক্ষেত্রে এইচ বি ভি তাদের কোটা কমবে এবং CHAR ও LDR ত্রৈমাসিক ভাবে রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করবে।

দ্বিতীয় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বুদবুদ সৃষ্টি। রিয়েল এস্টেটে ঋণ ২৫ শতাংশের বেশি বাড়লে ১৫০ শতাংশ ঝুঁকি ওজন প্রয়োগ, LDR সীমা ৮৫ শতাংশ এবং CIC-কে রিয়েল-টাইম সিস্টেম উন্নীত করতে হবে।

তৃতীয় সিস্টেমিক ঝুঁকি বৃদ্ধি। ক্রেডিট-টু-জিডিপি অনুপাত ১৪০ শতাংশ পৌঁছালে মুদ্রানীতির স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এসবিভি বাধ্যতামূলক রিজার্ভ ২–৩ শতাংশ বাড়াতে পারে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে বন্ড বাজার শক্তিশালী করবে।

ধাপে ধাপে পরিবর্তন পরিকল্পনা

২০২৫–২০২৬: ক্রেডিট স্পেস থাকবে, তবে CAR, LDR, NPL প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে নমনীয় করা হবে। শক্তিশালী ব্যাংক বেশি কোটা পাবে, দুর্বল ব্যাংক কম।

২০২৭–২০২৮: ক্রেডিট কোটা বাতিল করে ঝুঁকিভিত্তিক ‘ডায়নামিক রিস্ক ওয়েট’ ব্যবস্থা চালু হবে। ব্যাসেল III-সম্মত ব্যাংকগুলো নিজেদের মূলধন সক্ষমতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ঋণ পরিচালনা করতে পারবে।

২০২৮-এর পর: কোটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে। ঋণ নিয়ন্ত্রণ হবে নীতি সুদের হার, রিজার্ভ হার, মূলধন পর্যাপ্ততা এবং রিয়েল-টাইম ডেটা নজরদারির মাধ্যমে। এসবিভি তদারকি ও নির্দেশনার ভূমিকায় থাকবে।

ভিয়েতনাম গত দশকে উচ্চ অনুৎপাদনশীল ঋণের চাপ থেকে ধীরে ধীরে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থার দিকে এগিয়েছে। তবে অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ঋণসীমার পরিবর্তে ঝুঁকিভিত্তিক এবং নমনীয় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন বেড়েছে। এই পরিবর্তনই দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।

#VietnamEconomy #BankingReform