০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

আমাদের সন্তানরা আলি মাদীহ হাশমি

আমাদের সন্তানরা
কল্পনাই বাস্তবতার সঙ্গে লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র।
— অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড

অনেক বছর আগে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আমার বড় ছেলে, তখন বয়স ১৭, অস্বাভাবিক গম্ভীর মুখে আমাকে অভ্যর্থনা জানায়। শান্ত গলায় সে বলল, “আপনাকে আমার রুমে আসতে হবে।” সঙ্গে সঙ্গে বুকের ভেতর কেমন একটা আঁটসাঁট অনুভূতি সৃষ্টি হলো। কিছুটা দ্বিধার পর—সম্ভবত আমি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো সেই ভয়ে—সে জানাল, সে তার ছোট ভাইকে ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছে, যেন লাফ দেওয়ার কথা ভাবছিল। “তাকে রাজি করাতে আমাকে অনেকক্ষণ কথা বলতে হয়েছে,” বলল সে।

আমি ছোট ছেলের রুমে গিয়ে দেখি সে বিছানায় উল্টো হয়ে শুয়ে আছে। কথা বলতে রাজি নয়। দীর্ঘদিনের ক্লান্তিতে আমি নিজেও ভীষণ অবসন্ন ছিলাম, আর দুঃখজনকভাবে, আমি ভুল প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে গলা উঁচু করে ফেললাম। এতে অবশ্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো। শান্ত হওয়ার পর বড় ছেলেকে বললাম, সে ঠিক কাজটাই করেছে এবং তাকে আশ্বস্ত করলাম যে তার মা আর আমি বিষয়টি সামলে নেব।

আমাদের সন্তানরা
আমরা ছোট ছেলের জন্য পেশাদার সহায়তা নিয়েছিলাম। আজ সে ২২ বছরের—একজন মেধাবী কলেজ ছাত্র, ফ্যাশন মার্কেটিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থী এবং গিটার বাজাতে ভালোবাসে; আগের মতোই হাসিখুশি, চঞ্চল। মাঝেমধ্যে মন খারাপ হয় ঠিকই, কিন্তু এখন সে তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি পরিণত এবং মাঝে মাঝে আমাকে তার এমনসব বন্ধুদের কথা বলে, যারা মানসিকভাবে লড়াই করছে—যাদের সহায়তা করার চেষ্টা সে নিজস্ব উপায়ে করে।

প্যারেন্টিং বা সন্তান লালন-পালন আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি। এখন যখন আমরা মধ্যবয়স পার করে অবসরের দিকে এগোচ্ছি, তখন মনে হয়—প্যারেন্টিংয়ের কাজ হয়তো কখনোই সত্যিকারের শেষ হয় না।

বিশ্ব শিশুদিবস ২০ নভেম্বর পালিত হয়, ১৯৫৯ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র এবং ১৯৮৯ সালের শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হওয়ার স্মরণে। কিছু দেশে দিনটি পুরো এক সপ্তাহজুড়ে পালন করা হয়। যে ফরম্যাটেই হোক, পাকিস্তানের মতো দেশের জন্য এই দিনের গুরুত্ব অনেক বেশি—কারণ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ তরুণ জনগোষ্ঠী এখানে।

এই বিপুল “যুব জনসংখ্যা” আমাদের জনমিতিক বাস্তবতাকে নির্ধারণ করে। ২৪ কোটির বেশি জনসংখ্যার পাকিস্তানে ৬৩-৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৩০ বছরের নিচে; প্রায় ৫৫ শতাংশ ২৫ বছরের নিচে। সবচেয়ে বড় অংশ হলো ১৫-২৪ বছরের তরুণ-তরুণী—সংখ্যায় ৪ কোটিরও বেশি। আবার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে। প্রজনন হার কিছুটা কমলেও জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিই পাচ্ছে।

এই গঠন আমাদের জন্য জনমিতিক সুফল বয়ে আনতে পারে—যদি আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে যথেষ্ট বিনিয়োগ করি। তা না হলে যুব জনসংখ্যার চাপে বেকারত্ব, হতাশা ও বৈষম্য আরও বাড়বে।

আমাদের সন্তানরা
যতই “তরুণদের দেশ” হই না কেন, আমাদের শিশু ও তরুণদের কণ্ঠস্বর খুবই ক্ষীণ। দেশের ভবিষ্যৎ তাদের ওপর নির্ভর করছে, অথচ ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত।
১৯৮০–এর দশকের মাঝামাঝি ছাত্র ইউনিয়ন নিষিদ্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব হারায়। স্কুলগুলোতে এখনও পুরনো ধ্যানধারণা ও শিক্ষাপদ্ধতি চালু আছে। কর্মজীবন পরামর্শের উদ্যোগ শুরু হলেও তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এবং অপর্যাপ্ত। শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য আজ আগের চেয়ে বেশি দৃশ্যমান হলেও, তা এখনও সরকারি নীতিনির্ধারণের অগ্রাধিকার তালিকায় যথাযথ গুরুত্ব পায় না। মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা বেশি মনোযোগ পেলেও ফলাফল এখনো আশঙ্কাজনক।

তাহলে ভবিষ্যৎ কী—আমাদের সন্তানদের জন্য, এবং তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পৃথিবীর জন্য?

বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিপূর্ণ সময়ের মধ্যেও আমাদের তরুণরাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমরা তাদের দক্ষ করে তুলতে হিমশিম খেলেও এক বিষয়ে সত্যিই আশার আলো আছে: ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় তরুণী মেয়েরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেশাগত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে। শিক্ষিত ও ক্ষমতায়িত নারী সুস্থ মা হন, বিয়েতে সময় নেন, কম এবং সুস্থ সন্তান জন্ম দেন এবং স্বাস্থ্যসেবা আরও সুচারুভাবে ব্যবহার করেন। তাদের সন্তানদের পুষ্টি, শিক্ষা এবং সুযোগ-সুবিধার মান আরও ভালো হয়।

এই সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।

আমার মেয়ে, এখন ১৯, প্রায়ই হেসে বলে, সে কলেজ শেষ না করে বিয়ের কথা ভাবছে না। আমি নাতি-নাতনির কথা বললে সে আমাকে থামিয়ে দেয়। তার বড় ভাইয়েরা, মাঝে মাঝে তাকে খোঁচালেও—সাধারণত ব্যর্থভাবে—শেষ পর্যন্ত তার কথাই মেনে নেয়। শুরু থেকেই আমরা আমাদের সন্তানদের কথা শুনতে শিখেছি এবং তাদের ইচ্ছাকে সম্মান করেছি। এটা তাদের ভবিষ্যৎ, এবং কীভাবে তারা তা গড়বে—সেটি তাদেরই অধিকার।

বিশ্ব শিশুদিবসের প্রেক্ষাপটে আজ আমাদের ভাবার সময়—সম্ভবত সন্তানদের প্রতি সবচেয়ে বড় উপহার হলো তাদের দুনিয়া থেকে আড়াল করে রাখা নয়, বরং দুনিয়ার জন্য প্রস্তুত করা—তাদের কথা শোনা, তাদের সক্ষম করা, এবং তাদের এমন জায়গা দেওয়া যেখানে তারা স্বপ্ন দেখতে পারে, ভাবতে পারে এবং নিজেদের প্রাপ্য পৃথিবী গড়ে নিতে পারে।

লেখকঃ কিং এডওয়ার্ড মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, লাহোর-এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান। এই নভেম্বরেই কেইমিইউ পাকিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু ও কিশোর মনোরোগ সম্মেলনের আয়োজন করছে ।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাদের সন্তানরা আলি মাদীহ হাশমি

১১:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

আমাদের সন্তানরা
কল্পনাই বাস্তবতার সঙ্গে লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র।
— অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড

অনেক বছর আগে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আমার বড় ছেলে, তখন বয়স ১৭, অস্বাভাবিক গম্ভীর মুখে আমাকে অভ্যর্থনা জানায়। শান্ত গলায় সে বলল, “আপনাকে আমার রুমে আসতে হবে।” সঙ্গে সঙ্গে বুকের ভেতর কেমন একটা আঁটসাঁট অনুভূতি সৃষ্টি হলো। কিছুটা দ্বিধার পর—সম্ভবত আমি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো সেই ভয়ে—সে জানাল, সে তার ছোট ভাইকে ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছে, যেন লাফ দেওয়ার কথা ভাবছিল। “তাকে রাজি করাতে আমাকে অনেকক্ষণ কথা বলতে হয়েছে,” বলল সে।

আমি ছোট ছেলের রুমে গিয়ে দেখি সে বিছানায় উল্টো হয়ে শুয়ে আছে। কথা বলতে রাজি নয়। দীর্ঘদিনের ক্লান্তিতে আমি নিজেও ভীষণ অবসন্ন ছিলাম, আর দুঃখজনকভাবে, আমি ভুল প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে গলা উঁচু করে ফেললাম। এতে অবশ্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো। শান্ত হওয়ার পর বড় ছেলেকে বললাম, সে ঠিক কাজটাই করেছে এবং তাকে আশ্বস্ত করলাম যে তার মা আর আমি বিষয়টি সামলে নেব।

আমাদের সন্তানরা
আমরা ছোট ছেলের জন্য পেশাদার সহায়তা নিয়েছিলাম। আজ সে ২২ বছরের—একজন মেধাবী কলেজ ছাত্র, ফ্যাশন মার্কেটিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থী এবং গিটার বাজাতে ভালোবাসে; আগের মতোই হাসিখুশি, চঞ্চল। মাঝেমধ্যে মন খারাপ হয় ঠিকই, কিন্তু এখন সে তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি পরিণত এবং মাঝে মাঝে আমাকে তার এমনসব বন্ধুদের কথা বলে, যারা মানসিকভাবে লড়াই করছে—যাদের সহায়তা করার চেষ্টা সে নিজস্ব উপায়ে করে।

প্যারেন্টিং বা সন্তান লালন-পালন আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি। এখন যখন আমরা মধ্যবয়স পার করে অবসরের দিকে এগোচ্ছি, তখন মনে হয়—প্যারেন্টিংয়ের কাজ হয়তো কখনোই সত্যিকারের শেষ হয় না।

বিশ্ব শিশুদিবস ২০ নভেম্বর পালিত হয়, ১৯৫৯ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র এবং ১৯৮৯ সালের শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হওয়ার স্মরণে। কিছু দেশে দিনটি পুরো এক সপ্তাহজুড়ে পালন করা হয়। যে ফরম্যাটেই হোক, পাকিস্তানের মতো দেশের জন্য এই দিনের গুরুত্ব অনেক বেশি—কারণ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ তরুণ জনগোষ্ঠী এখানে।

এই বিপুল “যুব জনসংখ্যা” আমাদের জনমিতিক বাস্তবতাকে নির্ধারণ করে। ২৪ কোটির বেশি জনসংখ্যার পাকিস্তানে ৬৩-৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৩০ বছরের নিচে; প্রায় ৫৫ শতাংশ ২৫ বছরের নিচে। সবচেয়ে বড় অংশ হলো ১৫-২৪ বছরের তরুণ-তরুণী—সংখ্যায় ৪ কোটিরও বেশি। আবার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে। প্রজনন হার কিছুটা কমলেও জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিই পাচ্ছে।

এই গঠন আমাদের জন্য জনমিতিক সুফল বয়ে আনতে পারে—যদি আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে যথেষ্ট বিনিয়োগ করি। তা না হলে যুব জনসংখ্যার চাপে বেকারত্ব, হতাশা ও বৈষম্য আরও বাড়বে।

আমাদের সন্তানরা
যতই “তরুণদের দেশ” হই না কেন, আমাদের শিশু ও তরুণদের কণ্ঠস্বর খুবই ক্ষীণ। দেশের ভবিষ্যৎ তাদের ওপর নির্ভর করছে, অথচ ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত।
১৯৮০–এর দশকের মাঝামাঝি ছাত্র ইউনিয়ন নিষিদ্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব হারায়। স্কুলগুলোতে এখনও পুরনো ধ্যানধারণা ও শিক্ষাপদ্ধতি চালু আছে। কর্মজীবন পরামর্শের উদ্যোগ শুরু হলেও তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এবং অপর্যাপ্ত। শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য আজ আগের চেয়ে বেশি দৃশ্যমান হলেও, তা এখনও সরকারি নীতিনির্ধারণের অগ্রাধিকার তালিকায় যথাযথ গুরুত্ব পায় না। মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা বেশি মনোযোগ পেলেও ফলাফল এখনো আশঙ্কাজনক।

তাহলে ভবিষ্যৎ কী—আমাদের সন্তানদের জন্য, এবং তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পৃথিবীর জন্য?

বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিপূর্ণ সময়ের মধ্যেও আমাদের তরুণরাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমরা তাদের দক্ষ করে তুলতে হিমশিম খেলেও এক বিষয়ে সত্যিই আশার আলো আছে: ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় তরুণী মেয়েরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেশাগত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে। শিক্ষিত ও ক্ষমতায়িত নারী সুস্থ মা হন, বিয়েতে সময় নেন, কম এবং সুস্থ সন্তান জন্ম দেন এবং স্বাস্থ্যসেবা আরও সুচারুভাবে ব্যবহার করেন। তাদের সন্তানদের পুষ্টি, শিক্ষা এবং সুযোগ-সুবিধার মান আরও ভালো হয়।

এই সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।

আমার মেয়ে, এখন ১৯, প্রায়ই হেসে বলে, সে কলেজ শেষ না করে বিয়ের কথা ভাবছে না। আমি নাতি-নাতনির কথা বললে সে আমাকে থামিয়ে দেয়। তার বড় ভাইয়েরা, মাঝে মাঝে তাকে খোঁচালেও—সাধারণত ব্যর্থভাবে—শেষ পর্যন্ত তার কথাই মেনে নেয়। শুরু থেকেই আমরা আমাদের সন্তানদের কথা শুনতে শিখেছি এবং তাদের ইচ্ছাকে সম্মান করেছি। এটা তাদের ভবিষ্যৎ, এবং কীভাবে তারা তা গড়বে—সেটি তাদেরই অধিকার।

বিশ্ব শিশুদিবসের প্রেক্ষাপটে আজ আমাদের ভাবার সময়—সম্ভবত সন্তানদের প্রতি সবচেয়ে বড় উপহার হলো তাদের দুনিয়া থেকে আড়াল করে রাখা নয়, বরং দুনিয়ার জন্য প্রস্তুত করা—তাদের কথা শোনা, তাদের সক্ষম করা, এবং তাদের এমন জায়গা দেওয়া যেখানে তারা স্বপ্ন দেখতে পারে, ভাবতে পারে এবং নিজেদের প্রাপ্য পৃথিবী গড়ে নিতে পারে।

লেখকঃ কিং এডওয়ার্ড মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, লাহোর-এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান। এই নভেম্বরেই কেইমিইউ পাকিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু ও কিশোর মনোরোগ সম্মেলনের আয়োজন করছে ।