০১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালঃবাংলাদেশ সুপার ওভারে নার্ভ হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে হারল

দোহার উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান শাহীন্স। নির্ধারিত ওভারে ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের লড়াই থেমে যায়। শেষদিকে ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য লড়াই করেও সুপার ওভারে দলটি তাল হারায়।

ম্যাচের অবস্থা: শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়
পাকিস্তানের ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল।

ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের ১০ নম্বর ব্যাটার আব্দুল গাফফার সাকলাইন এবং ১১ নম্বর ব্যাটার রিপন মণ্ডল গড়ে তোলেন অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন।
তাদের দুঃসাহসী ব্যাটিংয়ে শেষের আগের ওভারে আসে ২০ রান, যা ম্যাচকে ফিরিয়ে আনে রোমাঞ্চের কেন্দ্রে।

শেষ ওভারের নাটকীয়তা
শেষ ওভারে বাংলাদেশ প্রয়োজন ছিল ৭ রান। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান।
একটি লেগ-বাইয়ে সমতায় পৌঁছায় ম্যাচ, এবং আবারও—ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালের মতো—গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে বাংলাদেশের ছন্দ হারানো
সুপার ওভারে প্রথম ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৬ রান।
প্রথম বলে হাবিবুর রহমান এক রান নেন। এরপর দ্রুত দুইটি উইকেট পড়ে যায়—
• সাকলাইন বলার আহমেদ দানিয়ালের কাছে ক্যাচ তুলে দেন
• জিশান আলম বোল্ড হন, যদিও এর আগে লেগ-সাইডে ওয়াইড বল থেকে ৫ রান পায় বাংলাদেশ

দানিয়াল পুরো ম্যাচ জুড়ে যেভাবে ডেথ ওভার নিয়ন্ত্রণ করেছেন, সুপার ওভারেও তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। মাত্র এক বৈধ বলেই তিনি তুলে নেন দুই উইকেট।

পাকিস্তানের সহজ জয়
জয়ের জন্য ৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান কোনো চাপ অনুভব করেনি।
সাদ মাসুদ ও মাআজ সাদাকাত স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেন।
রিপন মণ্ডল আগের ম্যাচগুলোর মতো কোনো ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারেননি।

একটি লেগ-বাই ও এক সিঙ্গেলের পর মাসুদ ছোট লাফের ফুল টস বলকে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। বল বাউন্ডারি ছোঁয়া মাত্রই তার উল্লাসে বুঝিয়ে দেন শাহীন্সদের তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত হলো।

বাংলাদেশের উজ্জ্বল দিক
পরাজয়ের মধ্যেও বাংলাদেশের সান্ত্বনা ছিল রিপন মণ্ডলের দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট।
তিনি মূল ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে, যখন পাকিস্তান ৯৬ রানে ১ উইকেট হারিয়ে দাপট দেখাচ্ছিল।

শেষদিকে সাকলাইনের ১২ বলে ১৬* এবং মণ্ডলের ৯ বলে ১১ রান আবারও ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল—সেমিফাইনালের সুপার ওভারের স্মৃতি ফিরিয়ে।

শেষ পর্যন্ত কী হলো
শেষ পর্যন্ত ফাইনালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে পাকিস্তান বেশি স্থির ছিল।
ডেথ ওভারে দানিয়ালের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ এবং সুযোগ কাজে লাগানোর সক্ষমতাই বাংলাদেশের দারুণ লড়াইকে ছাপিয়ে যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালঃবাংলাদেশ সুপার ওভারে নার্ভ হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে হারল

১২:০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

দোহার উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান শাহীন্স। নির্ধারিত ওভারে ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের লড়াই থেমে যায়। শেষদিকে ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য লড়াই করেও সুপার ওভারে দলটি তাল হারায়।

ম্যাচের অবস্থা: শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়
পাকিস্তানের ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল।

ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের ১০ নম্বর ব্যাটার আব্দুল গাফফার সাকলাইন এবং ১১ নম্বর ব্যাটার রিপন মণ্ডল গড়ে তোলেন অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন।
তাদের দুঃসাহসী ব্যাটিংয়ে শেষের আগের ওভারে আসে ২০ রান, যা ম্যাচকে ফিরিয়ে আনে রোমাঞ্চের কেন্দ্রে।

শেষ ওভারের নাটকীয়তা
শেষ ওভারে বাংলাদেশ প্রয়োজন ছিল ৭ রান। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান।
একটি লেগ-বাইয়ে সমতায় পৌঁছায় ম্যাচ, এবং আবারও—ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালের মতো—গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে বাংলাদেশের ছন্দ হারানো
সুপার ওভারে প্রথম ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৬ রান।
প্রথম বলে হাবিবুর রহমান এক রান নেন। এরপর দ্রুত দুইটি উইকেট পড়ে যায়—
• সাকলাইন বলার আহমেদ দানিয়ালের কাছে ক্যাচ তুলে দেন
• জিশান আলম বোল্ড হন, যদিও এর আগে লেগ-সাইডে ওয়াইড বল থেকে ৫ রান পায় বাংলাদেশ

দানিয়াল পুরো ম্যাচ জুড়ে যেভাবে ডেথ ওভার নিয়ন্ত্রণ করেছেন, সুপার ওভারেও তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। মাত্র এক বৈধ বলেই তিনি তুলে নেন দুই উইকেট।

পাকিস্তানের সহজ জয়
জয়ের জন্য ৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান কোনো চাপ অনুভব করেনি।
সাদ মাসুদ ও মাআজ সাদাকাত স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেন।
রিপন মণ্ডল আগের ম্যাচগুলোর মতো কোনো ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারেননি।

একটি লেগ-বাই ও এক সিঙ্গেলের পর মাসুদ ছোট লাফের ফুল টস বলকে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। বল বাউন্ডারি ছোঁয়া মাত্রই তার উল্লাসে বুঝিয়ে দেন শাহীন্সদের তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত হলো।

বাংলাদেশের উজ্জ্বল দিক
পরাজয়ের মধ্যেও বাংলাদেশের সান্ত্বনা ছিল রিপন মণ্ডলের দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট।
তিনি মূল ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে, যখন পাকিস্তান ৯৬ রানে ১ উইকেট হারিয়ে দাপট দেখাচ্ছিল।

শেষদিকে সাকলাইনের ১২ বলে ১৬* এবং মণ্ডলের ৯ বলে ১১ রান আবারও ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল—সেমিফাইনালের সুপার ওভারের স্মৃতি ফিরিয়ে।

শেষ পর্যন্ত কী হলো
শেষ পর্যন্ত ফাইনালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে পাকিস্তান বেশি স্থির ছিল।
ডেথ ওভারে দানিয়ালের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ এবং সুযোগ কাজে লাগানোর সক্ষমতাই বাংলাদেশের দারুণ লড়াইকে ছাপিয়ে যায়।