০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

পুনর্বাসনের রাজার নতুন মিশন

একসময় গৃহহীন ও মাদকাসক্ত হিসেবে জীবন কাটানো রিচার্ড টেইট আজ যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসন জগতের অন্যতম প্রভাবশালী উদ্যোক্তা। তাঁর জীবন নানা উত্থান–পতনে ভরা—মাদকাসক্তির অন্ধকার থেকে উঠে এসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ট্রিটমেন্ট সেন্টার। এখন তিনি নতুন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন—আমেরিকার মারাত্মক ফেন্টানিল সংকট মোকাবিলা।


শৈশবের সংগ্রাম ও মাদকাসক্তি
টেইট ক্যালিফোর্নিয়ার এনসিনোতে বড় হয়েছেন, যেখানে বাইরের দিক থেকে তাঁর পরিবারকে সুখী দেখালেও ভিতরে ছিল নির্মমতা ও নির্যাতন।
শৈশবে প্রতিদিনই চলত মারধর, তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং অপমান। ১৭ বছর বয়সে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যান, পরিবার উচ্ছেদ হয় এবং দাদার মৃত্যু ঘটে—সবকিছু একসাথে ভেঙে দেয় তাঁকে।

এই মানসিক ভাঙন থেকেই শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ ২৫ বছরের মাদক ও অ্যালকোহল–নির্ভর জীবন।
ক্র্যাক কোকেন ছিল তাঁর প্রধান নেশা—
“আমি প্রতিদিন এক আউন্স কোকেন ধূমপান করতাম। তিন বছর লেগেছে ৩০ দিন টানা sober হতে,” তিনি বলেন।


পুনরুদ্ধারের পথ
বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও থেরাপিস্টদের অদম্য সহায়তা, আত্মসহায়তা গোষ্ঠী, এবং যারা তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন—এসবের মধ্য দিয়েই টেইট ধীরে ধীরে ফিরে আসেন।
১৫ মাসের থেরাপির পর তাঁর ভেতরে আলো জ্বলে ওঠে।
তিনি আলকোহলিকস অ্যানোনিমাস (AA), থেরাপি এবং sober living—সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হন।

পুনরুদ্ধারের আগেই তিনি নতুনদের সাহায্য করা শুরু করেন—
তাদের নাশতা খাওয়ানো, চুল কাটানো, পোশাক কিনে দেওয়া, এবং প্রথম ৩০ দিনের sober living-এর খরচ নিজে বহন করতেন।

“মানুষকে সাহায্য করাই আমার পেশা ও উদ্দেশ্য—এটি বুঝতেই সবকিছু বদলে যায়,” টেইট বলেন।


ক্লিফসাইড মালিবু: সাফল্যের সূচনা
২০০৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্লিফসাইড মালিবু—যা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিলাসবহুল পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
সেলিব্রিটি, ধনী ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নির্ভরতার জায়গা হয়ে ওঠে এই প্রতিষ্ঠান।

প্রথমদিকে তিনি দ্বিধায় ছিলেন—অসুস্থ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করা ঠিক কি না। পরে এক স্বামীর (হিন্দু ধর্মগুরু) উপদেশে তিনি বুঝলেন—
“লাভ করার চেয়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য কাজ করাও একটি পূণ্যের কাজ।”

২০১৮ সালে তিনি রেকর্ড মূল্যে ক্লিফসাইড বিক্রি করেন।


নন–কম্পিট ক্লজ শেষে ফিরে আসা
বিক্রির পর পাঁচ বছরের নন–কম্পিট ক্লজে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
এই সময়ে তিনি গভীর হতাশায় ভুগতে থাকেন, কারণ দেশজুড়ে ফেন্টানিল সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
কিন্তু কিছুই করতে পারছিলেন না।

মেয়াদ শেষ হতেই তিনি পুরো শক্তি নিয়ে ফিরে আসেন।


কারারা ট্রিটমেন্ট ওয়েলনেস অ্যান্ড স্পা
টেইট নতুন করে চালু করেন কারারা—যাকে তিনি বলেন,
“ফোর সিজনস হোটেল আর evidence-based recovery–এর মিলিত অভিজ্ঞতা।”

এখানে প্রতিটি ক্লায়েন্টের নিজস্ব স্যুইট, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, জুস বার, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা থেরাপি এবং তিনটি বাধ্যতামূলক স্পা সেশন থাকে।

টেইটের ব্যাখ্যা:
“স্ব–যত্ন থেকে আসে আত্মসম্মান—সেখান থেকেই জন্ম নেয় আত্মপ্রেম। যে নিজেকে ভালোবাসে, সে নিজেকে ধ্বংস করতে চায় না।”


১ মেথড সেন্টার: সবার জন্য পুনর্বাসন
একই সময়ে তিনি ‘১ মেথড সেন্টার’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বড় পরিসরে গড়ে তুলছেন।
এটির লক্ষ্য—দুই বছরে ১০ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া, বিশেষ করে ভেটেরান ও গৃহহীন মানুষদের।

এক বন্ধুর আর্থিক সংকটে থাকা কেন্দ্রটি তিনি মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে কিনে নেন।
তারপর পুরনো দক্ষ কর্মীদের ডেকে এনে বলেন, “সবাই আজই ফিরে আসো।”

তিনি চান এটি যেন বিলাসবহুল চিকিৎসাব্যবস্থা ও সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে।

“আমি ভেটেরানদের চিকিৎসা দিতে ফিরে এসেছি,” তিনি বলেন।
“রাস্তা থেকে তাদের তুলে এনে চিকিৎসা দিচ্ছি। তারা সবচেয়ে সহজ রোগী—কারণ তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ, নিজেরাই নিজেদের সামলাতে পারে।”


ফেন্টানিল: আমেরিকার সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট
টেইট মনে করেন, ফেন্টানিল সংকট যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক মহামারি।
প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা যায়—এবং প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।


পডকাস্ট: We’re Out of Time
তিনি একটি পডকাস্ট চালু করেছেন, যার লক্ষ্য ছিল ফেন্টানিল সংকট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো—পরবর্তীতে এটি মানসিক স্বাস্থ্য ও পুনরুদ্ধার–বিষয়ক আলোচনার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে।

অ্যাপল পডকাস্টের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগে এটি শীর্ষে উঠে আসে।
সবচেয়ে স্মরণীয় অতিথি ছিলেন র‍্যাপার Xanman—যাকে তিনি লাইভ শোতেই চিকিৎসার জন্য রাজি করান।


ধনী বা গরিব—সবার জন্য চ্যালেঞ্জ
টেইট ধনীদের, সেলিব্রিটিদের এবং গৃহহীনদের সমানভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন।
তিনি বলেন—ধনী বা বিখ্যাত হওয়া কখনোই পুনরুদ্ধারকে সহজ করে না। বরং তাদের চারপাশের ‘এনাবলাররা’ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।


নিয়ম, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ঈশ্বরবিশ্বাস
২০ বছরের বেশি sober থাকা টেইট প্রতিদিন ভোর ৩:৩০–৪টার মধ্যে ওঠেন।
ধ্যান, প্রার্থনা, ব্যায়াম, থেরাপি—সব কিছুই তাঁর জীবনের অংশ।
তিনি বলেন,
“ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগই আমাকে বাঁচিয়েছে।”

শৈশবের ট্রমা কাটাতে তিনি নিজেকে ‘আবার লালন’ করা শিখেছেন।


উত্তরাধিকার ও নতুন বই
টেইটের নতুন বই Experiencing Transcendence: The Freedom of Recovering from Addiction and Trauma তাঁর দর্শনকে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরে।

তিনি বলেন,
“আসক্তি কোনো মৃত্যুদণ্ড নয়—এটা একটি স্পিড বাম্প।
পুনরুদ্ধারের পর জীবনে আনন্দ ও লক্ষ্য থাকা জরুরি।
যদি সেবা করতে পারেন, হৃদয় থেকে—সবসময়ই কাজ করবে।”


#rehab recovery fentany #crisis richard_taite addiction #treatment sobriety #trauma healing faith #wellness therapy #motivation

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের দলে গভীর ফাটল: গ্রিনের পদত্যাগ রিপাবলিকান রাজনীতিতে নতুন সংকেত

পুনর্বাসনের রাজার নতুন মিশন

০৩:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

একসময় গৃহহীন ও মাদকাসক্ত হিসেবে জীবন কাটানো রিচার্ড টেইট আজ যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসন জগতের অন্যতম প্রভাবশালী উদ্যোক্তা। তাঁর জীবন নানা উত্থান–পতনে ভরা—মাদকাসক্তির অন্ধকার থেকে উঠে এসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ট্রিটমেন্ট সেন্টার। এখন তিনি নতুন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন—আমেরিকার মারাত্মক ফেন্টানিল সংকট মোকাবিলা।


শৈশবের সংগ্রাম ও মাদকাসক্তি
টেইট ক্যালিফোর্নিয়ার এনসিনোতে বড় হয়েছেন, যেখানে বাইরের দিক থেকে তাঁর পরিবারকে সুখী দেখালেও ভিতরে ছিল নির্মমতা ও নির্যাতন।
শৈশবে প্রতিদিনই চলত মারধর, তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং অপমান। ১৭ বছর বয়সে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যান, পরিবার উচ্ছেদ হয় এবং দাদার মৃত্যু ঘটে—সবকিছু একসাথে ভেঙে দেয় তাঁকে।

এই মানসিক ভাঙন থেকেই শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ ২৫ বছরের মাদক ও অ্যালকোহল–নির্ভর জীবন।
ক্র্যাক কোকেন ছিল তাঁর প্রধান নেশা—
“আমি প্রতিদিন এক আউন্স কোকেন ধূমপান করতাম। তিন বছর লেগেছে ৩০ দিন টানা sober হতে,” তিনি বলেন।


পুনরুদ্ধারের পথ
বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও থেরাপিস্টদের অদম্য সহায়তা, আত্মসহায়তা গোষ্ঠী, এবং যারা তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন—এসবের মধ্য দিয়েই টেইট ধীরে ধীরে ফিরে আসেন।
১৫ মাসের থেরাপির পর তাঁর ভেতরে আলো জ্বলে ওঠে।
তিনি আলকোহলিকস অ্যানোনিমাস (AA), থেরাপি এবং sober living—সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হন।

পুনরুদ্ধারের আগেই তিনি নতুনদের সাহায্য করা শুরু করেন—
তাদের নাশতা খাওয়ানো, চুল কাটানো, পোশাক কিনে দেওয়া, এবং প্রথম ৩০ দিনের sober living-এর খরচ নিজে বহন করতেন।

“মানুষকে সাহায্য করাই আমার পেশা ও উদ্দেশ্য—এটি বুঝতেই সবকিছু বদলে যায়,” টেইট বলেন।


ক্লিফসাইড মালিবু: সাফল্যের সূচনা
২০০৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্লিফসাইড মালিবু—যা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিলাসবহুল পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
সেলিব্রিটি, ধনী ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নির্ভরতার জায়গা হয়ে ওঠে এই প্রতিষ্ঠান।

প্রথমদিকে তিনি দ্বিধায় ছিলেন—অসুস্থ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করা ঠিক কি না। পরে এক স্বামীর (হিন্দু ধর্মগুরু) উপদেশে তিনি বুঝলেন—
“লাভ করার চেয়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য কাজ করাও একটি পূণ্যের কাজ।”

২০১৮ সালে তিনি রেকর্ড মূল্যে ক্লিফসাইড বিক্রি করেন।


নন–কম্পিট ক্লজ শেষে ফিরে আসা
বিক্রির পর পাঁচ বছরের নন–কম্পিট ক্লজে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
এই সময়ে তিনি গভীর হতাশায় ভুগতে থাকেন, কারণ দেশজুড়ে ফেন্টানিল সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
কিন্তু কিছুই করতে পারছিলেন না।

মেয়াদ শেষ হতেই তিনি পুরো শক্তি নিয়ে ফিরে আসেন।


কারারা ট্রিটমেন্ট ওয়েলনেস অ্যান্ড স্পা
টেইট নতুন করে চালু করেন কারারা—যাকে তিনি বলেন,
“ফোর সিজনস হোটেল আর evidence-based recovery–এর মিলিত অভিজ্ঞতা।”

এখানে প্রতিটি ক্লায়েন্টের নিজস্ব স্যুইট, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, জুস বার, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা থেরাপি এবং তিনটি বাধ্যতামূলক স্পা সেশন থাকে।

টেইটের ব্যাখ্যা:
“স্ব–যত্ন থেকে আসে আত্মসম্মান—সেখান থেকেই জন্ম নেয় আত্মপ্রেম। যে নিজেকে ভালোবাসে, সে নিজেকে ধ্বংস করতে চায় না।”


১ মেথড সেন্টার: সবার জন্য পুনর্বাসন
একই সময়ে তিনি ‘১ মেথড সেন্টার’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বড় পরিসরে গড়ে তুলছেন।
এটির লক্ষ্য—দুই বছরে ১০ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া, বিশেষ করে ভেটেরান ও গৃহহীন মানুষদের।

এক বন্ধুর আর্থিক সংকটে থাকা কেন্দ্রটি তিনি মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে কিনে নেন।
তারপর পুরনো দক্ষ কর্মীদের ডেকে এনে বলেন, “সবাই আজই ফিরে আসো।”

তিনি চান এটি যেন বিলাসবহুল চিকিৎসাব্যবস্থা ও সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে।

“আমি ভেটেরানদের চিকিৎসা দিতে ফিরে এসেছি,” তিনি বলেন।
“রাস্তা থেকে তাদের তুলে এনে চিকিৎসা দিচ্ছি। তারা সবচেয়ে সহজ রোগী—কারণ তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ, নিজেরাই নিজেদের সামলাতে পারে।”


ফেন্টানিল: আমেরিকার সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট
টেইট মনে করেন, ফেন্টানিল সংকট যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক মহামারি।
প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা যায়—এবং প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।


পডকাস্ট: We’re Out of Time
তিনি একটি পডকাস্ট চালু করেছেন, যার লক্ষ্য ছিল ফেন্টানিল সংকট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো—পরবর্তীতে এটি মানসিক স্বাস্থ্য ও পুনরুদ্ধার–বিষয়ক আলোচনার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে।

অ্যাপল পডকাস্টের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগে এটি শীর্ষে উঠে আসে।
সবচেয়ে স্মরণীয় অতিথি ছিলেন র‍্যাপার Xanman—যাকে তিনি লাইভ শোতেই চিকিৎসার জন্য রাজি করান।


ধনী বা গরিব—সবার জন্য চ্যালেঞ্জ
টেইট ধনীদের, সেলিব্রিটিদের এবং গৃহহীনদের সমানভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন।
তিনি বলেন—ধনী বা বিখ্যাত হওয়া কখনোই পুনরুদ্ধারকে সহজ করে না। বরং তাদের চারপাশের ‘এনাবলাররা’ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।


নিয়ম, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ঈশ্বরবিশ্বাস
২০ বছরের বেশি sober থাকা টেইট প্রতিদিন ভোর ৩:৩০–৪টার মধ্যে ওঠেন।
ধ্যান, প্রার্থনা, ব্যায়াম, থেরাপি—সব কিছুই তাঁর জীবনের অংশ।
তিনি বলেন,
“ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগই আমাকে বাঁচিয়েছে।”

শৈশবের ট্রমা কাটাতে তিনি নিজেকে ‘আবার লালন’ করা শিখেছেন।


উত্তরাধিকার ও নতুন বই
টেইটের নতুন বই Experiencing Transcendence: The Freedom of Recovering from Addiction and Trauma তাঁর দর্শনকে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরে।

তিনি বলেন,
“আসক্তি কোনো মৃত্যুদণ্ড নয়—এটা একটি স্পিড বাম্প।
পুনরুদ্ধারের পর জীবনে আনন্দ ও লক্ষ্য থাকা জরুরি।
যদি সেবা করতে পারেন, হৃদয় থেকে—সবসময়ই কাজ করবে।”


#rehab recovery fentany #crisis richard_taite addiction #treatment sobriety #trauma healing faith #wellness therapy #motivation