ক্যারিবিয়ান সাগরের গভীর থেকে ঐতিহাসিক স্প্যানিশ জাহাজ সান হোসে গ্যালিয়ান-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রথম পর্যায়ে একটি কামান, তিনটি মুদ্রা এবং একটি চীনামাটির কাপ উদ্ধার করেছে কলম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা। ১৭০৮ সালে ইংরেজ নৌবহরের আক্রমণে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটির অবস্থান আজও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তায় রয়েছে।
উদ্ধার অভিযান: গবেষণাই মূল লক্ষ্য
- • গত বছর কলম্বিয়া সরকার এই অভিযানের অনুমোদন দেয় মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য।
- • উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো এখন বিশেষ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণ ও সংরক্ষণ-পূর্ব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।
- • ধ্বংসাবশেষটি প্রায় ৬০০ মিটার (২,০০০ ফুট) গভীরে অবস্থান করছে।
জাহাজটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সান হোসে গ্যালিয়নকে ইতিহাসের অন্যতম মূল্যবান ডুবে যাওয়া জাহাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্বাস করা হয়, জাহাজটিতে ছিল—

- • ১ কোটি ১০ লক্ষ স্বর্ণ ও রৌপ্যের মুদ্রা
- • পান্না (Emeralds)
- • এবং স্প্যানিশ উপনিবেশ থেকে আনা অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ
যদি কখনো উদ্ধার করা যায়, তবে এর মূল্য বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ডুবির সম্ভাব্য কারণ নিয়ে নতুন আলোচনা
আগে ধারণা ছিল, ইংরেজ আক্রমণের পর জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ৬২ কামানযুক্ত তিন-মাস্তওয়ালা এই জাহাজটি ডুবে যায়।
কিন্তু কলম্বিয়া সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে—
- • জাহাজটি হয়তো বিস্ফোরণের কারণে নয়,
- • বরং হুল বা কাঠামোর ক্ষতি থেকেও ডুবে থাকতে পারে।
এ কারণে ডুবির প্রকৃত কারণ জানতে ধ্বংসাবশেষের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

মালিকানা নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনি লড়াই
জাহাজটির বিপুল সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও কলম্বিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আইনি বিরোধ চলছে।
- • মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান Sea Search Armada দাবি করছে, তারা ১৯৮২ সালে জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করেছে।
- • তারা চায় সম্ভাব্য সম্পদের ৫০% অংশ, যার পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বলে তাদের দাবি।
- • বর্তমানে এই ইস্যুতে কলম্বিয়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক সালিশি মামলা চলছে।
সরকারের অবস্থান
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর সরকার স্পষ্ট করেছে:
এই অভিযানের লক্ষ্য ধন-সম্পদ উদ্ধার নয়, বরং ঐতিহাসিক গবেষণা।
#Colombia #SanJoseGalleon #Caribbean #Shipwreck #History #Treasure #Research #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















