০২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ক্ষমতাবানদের কঠোর সমালোচনায় টিনা ব্রাউন  ‘কেপপ ডিমন হান্টার্স’ অ্যানিমেটেড ফিচার অস্কারে প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবে বেসরকারি ক্রীড়া কেন্দ্র ও জিমে ১২টি পদের স্থানীয়করণ এক বছরের মধ্যে এ.আই. শিল্পে বুম—তবু বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা: বুদ্বুদ ফেটে গেলে ক্ষতি হবে ব্যাপক এক দশক পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে পপ মঞ্চে ফিরছেন হিলারি ডাফ প্রাণঘাতী হামলার পর ন্যায়বিচারের দাবি মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো ব্যাচেলর অব মাদ্রাসা এডুকেশন প্রোগ্রাম ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া মেটা কি সত্যিই একচেটিয়া শক্তি নয়?

এ.আই. শিল্পে বুম—তবু বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা: বুদ্বুদ ফেটে গেলে ক্ষতি হবে ব্যাপক

প্রযুক্তি খাতে এখন যে দ্রুতগতির বিস্ফোরক উত্থান চলছে, তা অনেকেই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন। এনভিডিয়া থেকে শুরু করে মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যাপল ও অ্যামাজন—প্রায় সব বড় প্রযুক্তি কোম্পানিই রেকর্ড মুনাফা করছে। তবে এই উত্থানের ভেতরেই বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ সম্ভাব্য বিপদের ইঙ্গিত দেখাচ্ছেন। তাদের মতে, এ.আই.-কেন্দ্রিক এই অতি-উচ্ছ্বাস যদি বুদ্বুদের মতো ভেঙে পড়ে, তবে এর অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ব্যাপক এবং গভীর।


এনভিডিয়ার রেকর্ড উত্থান ও বাজারের অস্থিরতা

গত সপ্তাহে এনভিডিয়া জানিয়েছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত চিপ বিক্রি বেড়ে ত্রৈমাসিক মুনাফা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই বৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ এবং দু’ বছর আগের তুলনায় ২৪৫ শতাংশ বেশি। অক্টোবরের শেষে কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা প্রযুক্তি খাতের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এদিকে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল ও অ্যামাজনও এখন ট্রিলিয়ন-ডলার ক্লাবের সদস্য, এবং সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকে এই চার কোম্পানির সম্মিলিত মুনাফা ১১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

তবে বাজারে এ উত্থান স্থায়ী হয়নি। এনভিডিয়ার রেকর্ড মুনাফার ঘোষণার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টা শেয়ারদরে উন্নতি দেখা গেলেও সপ্তাহ শেষে তাদের শেয়ারদর ৬ শতাংশ কমে যায়। একই সময়ে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক গত সপ্তাহের শুরু থেকে প্রায় ২ শতাংশ কমে আসে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্থিরতাই ইঙ্গিত দেয় যে বাজার এখন অতিরিক্ত উত্তেজনার মধ্যে চলছে।


এ.আই. বুম নাকি বড় ধরনের বুদ্বুদ?

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ.আই. বুমের পেছনে যে দ্রুত উত্থান, তার ভিত্তি ততটা মজবুত নয়। চিপ বিক্রির চাহিদা বাড়লেও তা এ.আই. ব্যবহার বাড়ার প্রমাণ নয়; বরং বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ব্যাপক এ.আই. অবকাঠামো তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই ভেবে যে ভবিষ্যতে ব্যবহার বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে এ ব্যবহারের হার এখনো স্পষ্ট নয়।

এই শঙ্কার মূল কেন্দ্র হলো স্টার্টআপ খাতে অসম্ভব বড় বিনিয়োগ। ওপেনএআই-এর মূল্যায়ন এখন ৫০০ বিলিয়ন ডলার, অ্যানথ্রোপিক ১৮৩ বিলিয়ন ডলার, আর কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠিত থিংকিং মেশিনসের মূল্যায়নও কয়েক দশক বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। অথচ এদের কেউই এখনো লাভজনক নয়। ওপেনএআই ২০৩০ সালের আগে লাভে যেতে পারবে না বলে ধরেই নিয়েছে। অ্যানথ্রোপিকও একই অবস্থায় রয়েছে।


ডেটা সেন্টারে ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও ঋণঝুঁকি

এ.আই. দৌড়ে টিকে থাকতে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ডেটা সেন্টার নির্মাণে যে মাত্রায় ব্যয় করছে, তা নজিরবিহীন। অ্যানথ্রোপিক জানিয়েছে তারা ৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে নতুন ডেটা সেন্টারে। ওপেনএআই-এর প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, কোম্পানি কম্পিউটিং শক্তি বাড়াতে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে প্রস্তুত। ওপেনএআই ও তার অংশীদাররা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বিশাল ডেটা সেন্টার প্রকল্প স্টারগেট নির্মাণ করছে, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি হতে পারে। এই ব্যয় দিয়ে ম্যানহাটন প্রজেক্ট ১৫ বার সম্পন্ন করা যেত, এমনকি অ্যাপোলো চন্দ্র অভিযানের সম্পূর্ণ ব্যয়ও দুইবার বহন করা যেত।

The A.I. Boom Has Found Another Gear. Why Can't People Shake Their Worries? - The New York Times

মরগান স্ট্যানলির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে ২০২৮ সালের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যার প্রায় ১ ট্রিলিয়নই আসবে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ থেকে। এই ঋণ বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যক্তিগত ঋণদাতার মধ্যে ছড়িয়ে থাকায় মোট ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


চক্রাকার চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

এ.আই. শিল্পে বিনিয়োগ ও ব্যয়ের এমন চক্রাকার সম্পর্কও দেখা যাচ্ছে, যা বাজারকে প্রকৃত অবস্থার তুলনায় আরও শক্তিশালী বলে মনে করাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, আর ওপেনএআই সেই অর্থের বড় অংশই এনভিডিয়ার চিপ কেনায় ব্যয় করছে। অ্যানথ্রোপিকের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি হয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাকসের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর এনভিডিয়ার মোট বিক্রির প্রায় ১৫ শতাংশ আসতে পারে এ ধরনের চক্রাকার লেনদেন থেকে।


AGI–এর দৌড়: বাস্তবতা নাকি অতিরঞ্জিত প্রতিযোগিতা?

স্টার্টআপগুলো বলছে, তারা কেবল পণ্য তৈরি করছে না, বরং তৈরি করছে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স—যা মানুষের মতো কাজ করতে সক্ষম হবে। তবে কিভাবে এটি অর্জিত হবে সে বিষয়ে কেউই নিশ্চিত নয়। সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ.আই. চ্যাটবট ও ইমেজ জেনারেটরের ব্যবহার দ্রুত বাড়লেও ব্যবসায়িক খাতের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। ম্যাককিনসি জানাচ্ছে, ৮০ শতাংশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বলছে এ.আই. ব্যবহারে তাদের মুনাফায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি।

টেক কোম্পানিগুলোর দাবি—চাহিদা এখনো সরবরাহক্ষমতার চেয়ে বেশি। মাইক্রোসফট, গুগল এবং অ্যামাজন বলছে, তাদের হাতে থাকা কম্পিউটিং সম্পদ দিয়ে তারা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।


বাজার ধসের আশঙ্কা: ক্ষতি হবে সবার

এ.আই. বিনিয়োগে এই অযৌক্তিক উচ্ছ্বাস নিয়ে অ্যালফাবেট প্রধান সুন্দর পিচাইও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, ব্যয়ের এই ধারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক এবং যদি বাজার ভেঙে পড়ে, তবে কোনো কোম্পানিই নিরাপদ থাকবে না—অ্যালফাবেটও না।

অনেকের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে ডট-কম বুদ্বুদের মতো। তখনও দ্রুত উত্থানের পর শত শত স্টার্টআপ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান—অ্যামাজন ও গুগলের মতো—বিশ্বকে বদলে দিয়েছিল। স্যাম অল্টম্যান মনে করেন, বর্তমানে হয়তো বিনিয়োগকারীরা অতিবিপুল উচ্ছ্বাসে রয়েছে, কিন্তু এ.আই. নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি।


#AIBoom #EconomicRisk #TechIndustry #MarketBubble OpenAI #Nvidia DataCenter #Investments

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতাবানদের কঠোর সমালোচনায় টিনা ব্রাউন

এ.আই. শিল্পে বুম—তবু বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা: বুদ্বুদ ফেটে গেলে ক্ষতি হবে ব্যাপক

১২:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তি খাতে এখন যে দ্রুতগতির বিস্ফোরক উত্থান চলছে, তা অনেকেই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন। এনভিডিয়া থেকে শুরু করে মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যাপল ও অ্যামাজন—প্রায় সব বড় প্রযুক্তি কোম্পানিই রেকর্ড মুনাফা করছে। তবে এই উত্থানের ভেতরেই বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ সম্ভাব্য বিপদের ইঙ্গিত দেখাচ্ছেন। তাদের মতে, এ.আই.-কেন্দ্রিক এই অতি-উচ্ছ্বাস যদি বুদ্বুদের মতো ভেঙে পড়ে, তবে এর অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ব্যাপক এবং গভীর।


এনভিডিয়ার রেকর্ড উত্থান ও বাজারের অস্থিরতা

গত সপ্তাহে এনভিডিয়া জানিয়েছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত চিপ বিক্রি বেড়ে ত্রৈমাসিক মুনাফা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই বৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ এবং দু’ বছর আগের তুলনায় ২৪৫ শতাংশ বেশি। অক্টোবরের শেষে কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা প্রযুক্তি খাতের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এদিকে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল ও অ্যামাজনও এখন ট্রিলিয়ন-ডলার ক্লাবের সদস্য, এবং সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকে এই চার কোম্পানির সম্মিলিত মুনাফা ১১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

তবে বাজারে এ উত্থান স্থায়ী হয়নি। এনভিডিয়ার রেকর্ড মুনাফার ঘোষণার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টা শেয়ারদরে উন্নতি দেখা গেলেও সপ্তাহ শেষে তাদের শেয়ারদর ৬ শতাংশ কমে যায়। একই সময়ে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক গত সপ্তাহের শুরু থেকে প্রায় ২ শতাংশ কমে আসে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্থিরতাই ইঙ্গিত দেয় যে বাজার এখন অতিরিক্ত উত্তেজনার মধ্যে চলছে।


এ.আই. বুম নাকি বড় ধরনের বুদ্বুদ?

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ.আই. বুমের পেছনে যে দ্রুত উত্থান, তার ভিত্তি ততটা মজবুত নয়। চিপ বিক্রির চাহিদা বাড়লেও তা এ.আই. ব্যবহার বাড়ার প্রমাণ নয়; বরং বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ব্যাপক এ.আই. অবকাঠামো তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই ভেবে যে ভবিষ্যতে ব্যবহার বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে এ ব্যবহারের হার এখনো স্পষ্ট নয়।

এই শঙ্কার মূল কেন্দ্র হলো স্টার্টআপ খাতে অসম্ভব বড় বিনিয়োগ। ওপেনএআই-এর মূল্যায়ন এখন ৫০০ বিলিয়ন ডলার, অ্যানথ্রোপিক ১৮৩ বিলিয়ন ডলার, আর কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠিত থিংকিং মেশিনসের মূল্যায়নও কয়েক দশক বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। অথচ এদের কেউই এখনো লাভজনক নয়। ওপেনএআই ২০৩০ সালের আগে লাভে যেতে পারবে না বলে ধরেই নিয়েছে। অ্যানথ্রোপিকও একই অবস্থায় রয়েছে।


ডেটা সেন্টারে ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও ঋণঝুঁকি

এ.আই. দৌড়ে টিকে থাকতে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ডেটা সেন্টার নির্মাণে যে মাত্রায় ব্যয় করছে, তা নজিরবিহীন। অ্যানথ্রোপিক জানিয়েছে তারা ৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে নতুন ডেটা সেন্টারে। ওপেনএআই-এর প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, কোম্পানি কম্পিউটিং শক্তি বাড়াতে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে প্রস্তুত। ওপেনএআই ও তার অংশীদাররা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বিশাল ডেটা সেন্টার প্রকল্প স্টারগেট নির্মাণ করছে, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি হতে পারে। এই ব্যয় দিয়ে ম্যানহাটন প্রজেক্ট ১৫ বার সম্পন্ন করা যেত, এমনকি অ্যাপোলো চন্দ্র অভিযানের সম্পূর্ণ ব্যয়ও দুইবার বহন করা যেত।

The A.I. Boom Has Found Another Gear. Why Can't People Shake Their Worries? - The New York Times

মরগান স্ট্যানলির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে ২০২৮ সালের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যার প্রায় ১ ট্রিলিয়নই আসবে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ থেকে। এই ঋণ বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যক্তিগত ঋণদাতার মধ্যে ছড়িয়ে থাকায় মোট ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


চক্রাকার চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

এ.আই. শিল্পে বিনিয়োগ ও ব্যয়ের এমন চক্রাকার সম্পর্কও দেখা যাচ্ছে, যা বাজারকে প্রকৃত অবস্থার তুলনায় আরও শক্তিশালী বলে মনে করাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, আর ওপেনএআই সেই অর্থের বড় অংশই এনভিডিয়ার চিপ কেনায় ব্যয় করছে। অ্যানথ্রোপিকের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি হয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাকসের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর এনভিডিয়ার মোট বিক্রির প্রায় ১৫ শতাংশ আসতে পারে এ ধরনের চক্রাকার লেনদেন থেকে।


AGI–এর দৌড়: বাস্তবতা নাকি অতিরঞ্জিত প্রতিযোগিতা?

স্টার্টআপগুলো বলছে, তারা কেবল পণ্য তৈরি করছে না, বরং তৈরি করছে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স—যা মানুষের মতো কাজ করতে সক্ষম হবে। তবে কিভাবে এটি অর্জিত হবে সে বিষয়ে কেউই নিশ্চিত নয়। সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ.আই. চ্যাটবট ও ইমেজ জেনারেটরের ব্যবহার দ্রুত বাড়লেও ব্যবসায়িক খাতের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। ম্যাককিনসি জানাচ্ছে, ৮০ শতাংশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বলছে এ.আই. ব্যবহারে তাদের মুনাফায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি।

টেক কোম্পানিগুলোর দাবি—চাহিদা এখনো সরবরাহক্ষমতার চেয়ে বেশি। মাইক্রোসফট, গুগল এবং অ্যামাজন বলছে, তাদের হাতে থাকা কম্পিউটিং সম্পদ দিয়ে তারা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।


বাজার ধসের আশঙ্কা: ক্ষতি হবে সবার

এ.আই. বিনিয়োগে এই অযৌক্তিক উচ্ছ্বাস নিয়ে অ্যালফাবেট প্রধান সুন্দর পিচাইও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, ব্যয়ের এই ধারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক এবং যদি বাজার ভেঙে পড়ে, তবে কোনো কোম্পানিই নিরাপদ থাকবে না—অ্যালফাবেটও না।

অনেকের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে ডট-কম বুদ্বুদের মতো। তখনও দ্রুত উত্থানের পর শত শত স্টার্টআপ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান—অ্যামাজন ও গুগলের মতো—বিশ্বকে বদলে দিয়েছিল। স্যাম অল্টম্যান মনে করেন, বর্তমানে হয়তো বিনিয়োগকারীরা অতিবিপুল উচ্ছ্বাসে রয়েছে, কিন্তু এ.আই. নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি।


#AIBoom #EconomicRisk #TechIndustry #MarketBubble OpenAI #Nvidia DataCenter #Investments