১০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
এক দশক পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে পপ মঞ্চে ফিরছেন হিলারি ডাফ প্রাণঘাতী হামলার পর ন্যায়বিচারের দাবি মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো ব্যাচেলর অব মাদ্রাসা এডুকেশন প্রোগ্রাম ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া মেটা কি সত্যিই একচেটিয়া শক্তি নয়? বাংলাদেশের অর্থনীতি চরম সংকটে, বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাচ্ছে না মানুষ ইসলামী ব্যাংকের বোর্ডের জোর: নিরবচ্ছিন্ন সেবা ও ঋণ পুনরুদ্ধার পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু ডিএসই–তে ঘুরে দাঁড়ানো: ২০ দিন পর সূচক ৫ হাজারের ওপরে

মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা

মালয়েশিয়া আগামী বছর থেকে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার বলছে, এই উদ্যোগটি নেওয়া হচ্ছে অনলাইন ঝুঁকি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষিত রাখতে।

যোগাযোগমন্ত্রী ফাহমি ফাদজিল জানান, সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করছে, যার মাধ্যমে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মে ১৬ বছরের নিচে কেউ অ্যাকাউন্ট তৈরি বা ব্যবহার করতে পারবে না।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া এখন সেই বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ, যেখানে বিভিন্ন দেশ অনলাইন শোষণ, সাইবার বুলিং এবং অনুপযুক্ত কনটেন্ট থেকে শিশুদের রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বৈশ্বিক পর্যায়ে শিশু সুরক্ষা উদ্যোগের বিস্তার
মালয়েশিয়ার এই ঘোষণা বিশ্বজুড়ে চলমান একই ধরনের পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে কিশোরদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আইনপ্রণেতারাও বয়স যাচাই এবং অভিভাবকের সম্মতি আরও কঠোর করতে আইন নিয়ে আলোচনা করছেন।

সরকারগুলো বলছে, প্রচলিত নিরাপত্তা সরঞ্জাম এখন আর যথেষ্ট নয়; বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ক্ষতিকর কনটেন্টের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় শক্তিশালী নীতিমালা দরকার।

মালয়েশিয়ার নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হবে
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন আইনটির ভিত্তিতে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে আরও শক্তিশালী বয়স যাচাই ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাকাউন্ট তৈরি ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

অভিভাবক বা অভিভাবকসদৃশ কেউ যদি শিশুদের এসব নিয়ম এড়াতে সাহায্য করেন, তাদেরও শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।

ফাদজিল জানান, সরকার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কাজ করছে যাতে ২০২৬ সালে নীতিটি চালুর আগে কাঠামোটি চূড়ান্ত করা যায়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ছোটবেলায়ই যখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জীবনের অংশ হয়ে উঠছে, তখন শিশুদের জন্য আরও নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।

জনপ্রিয় সংবাদ

এক দশক পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে পপ মঞ্চে ফিরছেন হিলারি ডাফ

মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা

০৯:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

মালয়েশিয়া আগামী বছর থেকে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার বলছে, এই উদ্যোগটি নেওয়া হচ্ছে অনলাইন ঝুঁকি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষিত রাখতে।

যোগাযোগমন্ত্রী ফাহমি ফাদজিল জানান, সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করছে, যার মাধ্যমে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মে ১৬ বছরের নিচে কেউ অ্যাকাউন্ট তৈরি বা ব্যবহার করতে পারবে না।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া এখন সেই বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ, যেখানে বিভিন্ন দেশ অনলাইন শোষণ, সাইবার বুলিং এবং অনুপযুক্ত কনটেন্ট থেকে শিশুদের রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বৈশ্বিক পর্যায়ে শিশু সুরক্ষা উদ্যোগের বিস্তার
মালয়েশিয়ার এই ঘোষণা বিশ্বজুড়ে চলমান একই ধরনের পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে কিশোরদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আইনপ্রণেতারাও বয়স যাচাই এবং অভিভাবকের সম্মতি আরও কঠোর করতে আইন নিয়ে আলোচনা করছেন।

সরকারগুলো বলছে, প্রচলিত নিরাপত্তা সরঞ্জাম এখন আর যথেষ্ট নয়; বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ক্ষতিকর কনটেন্টের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় শক্তিশালী নীতিমালা দরকার।

মালয়েশিয়ার নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হবে
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন আইনটির ভিত্তিতে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে আরও শক্তিশালী বয়স যাচাই ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাকাউন্ট তৈরি ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

অভিভাবক বা অভিভাবকসদৃশ কেউ যদি শিশুদের এসব নিয়ম এড়াতে সাহায্য করেন, তাদেরও শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।

ফাদজিল জানান, সরকার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কাজ করছে যাতে ২০২৬ সালে নীতিটি চালুর আগে কাঠামোটি চূড়ান্ত করা যায়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ছোটবেলায়ই যখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জীবনের অংশ হয়ে উঠছে, তখন শিশুদের জন্য আরও নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।