অস্ট্রেলিয়ার অস্থায়ী ওপেনার ট্রাভিস হেডের বিস্ফোরক শতকে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টেই ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল স্বাগতিকরা। মাত্র দুই দিনেই শেষ হওয়া ম্যাচে তারা জিতেছে ৮ উইকেটে। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই ছিল অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য।
হেডের আগ্রাসী সেঞ্চুরিতে সহজ জয়
দ্বিতীয় দিন ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ট্রাভিস হেড খেলেন মাত্র ৬৯ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাটিং তাণ্ডবেই ম্যাচ প্রায় একাই জিতিয়ে দেন তিনি।
তার সঙ্গে মার্নাস লাবুশেন অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে, স্টিভ স্মিথ ২ রানে।
বোঝাই গেল ইংল্যান্ডের ধস
লাঞ্চের পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার স্কট বোল্যান্ড ও মিচেল স্টার্ক।
ইংল্যান্ড তখন মোটামুটি স্থির—৬৫-১, লিড বাড়ানোর পথে। ঠিক তখনই ৪ ওভারের ব্যবধানে ৪ উইকেট পড়ে যায়।
• বোল্যান্ড ১১ বলের মধ্যে তুলে নেন—
- • বেন ডাকেট (২৮)

- • অলি পোপ (৩৩)
- • হ্যারি ব্রুক (০)
• এরপর স্টার্ক আঘাত করেন জো রুটকে (৮) আউট করে।
স্টার্ক পরে বেন স্টোকসকেও (২) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে নামিয়ে দেন ৮৮-৬ এ। প্রথম ইনিংসে ৭-৫৮ নেওয়ার পর এই ইনিংসে ঝুলিতে যোগ করেন আরও ৩ উইকেট—ক্যারিয়ারের তৃতীয় ১০ উইকেট।
শেষদিকে গাস অ্যাটকিনসন (৩৭) ও ব্রাইডন কার্স (২০) মিলে ৫০ রানের জুটি গড়লেও ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে।
ওপেনিংয়ে উঠে আসেন হেড
উসমান খাজা পিঠের ব্যথায় ওপেন না করায় ইনিংস শুরু করতে পাঠানো হয় ট্রাভিস হেডকে।
নয়বার ওপেন করা অভিজ্ঞতা নিয়েই শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন তিনি। কার্স ও মার্ক উডকে মারেন বিশাল ছক্কা।
মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি, এরপরই পূরণ করেন ৪ হাজার টেস্ট রানের মাইলফলক।
ডেবিউ করা জেক ওয়েদারেল্ডও আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করেন; তবে ২৩ রানে কার্সের বলে ডাকেটের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
স্টোকসের এক ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মারেন হেড। জোফরা আর্চারের ওপর ছক্কা মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত আরও বড় শটে যেতে গিয়ে কার্সের বলে আউট হন।

স্টার্কের দাপট
অস্ট্রেলিয়া আগের দিন প্রথম ইনিংসে ১২৩-৯ নিয়ে খেলা শুরু করে এবং মাত্র ৯ রান যোগ করতেই নাথান লায়ন (৪) আউট হন। ফলে ইংল্যান্ড ৪০ রানের লিড পায়।
স্টোকসের দুর্দান্ত বোলিং—মাত্র ৩৬ বলে ৫-২৩—ইংল্যান্ডকে ম্যাচে এগিয়ে দিয়েছিল। তারা প্রথম দিনে স্টার্কের সামনে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রলি-কে প্রথম ওভারেই আউট করে জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়ান স্টার্ক। অসাধারণ এক ক্যাচ-এন্ড-বোল্ডে ক্রলিকে ‘পেয়ার’-এর স্বাদ দেন।
ডাকেট ও পোপ লাঞ্চ পর্যন্ত সামলে রাখলেও পরে বোল্যান্ডের নিখুঁত লাইন-লেন্থে আবারও ধস।
• ডাকেট ক্যাচ দেন স্মিথের হাতে
• পোপের ক্যাচ ধরে কেয়ারি
• ব্রুক আউট হন খাজার হাতে
• রুট আবার স্টার্কের গতির সামনে পরাস্ত হয়ে ফিরে যান
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের প্রতিক্রিয়া
স্টিভেন স্মিথ বলেন,
আজ সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। ট্রাভিস হেডের ইনিংস অন্য জগতের মতো। ও কিছু অবিশ্বাস্য শট খেলেছে—কয়েকটা ভুল টাইমিং হলেও বল ফাঁক খুঁজে গেছে।
#অ্যাশেজ-২০২৫ | অস্ট্রেলিয়া-জয় | ট্রাভিস-হেড | মিচেল-স্টার্ক | স্কট-বোল্যান্ড | ইংল্যান্ড-কোলাপ্স
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















