০৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো ব্যাচেলর অব মাদ্রাসা এডুকেশন প্রোগ্রাম ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া মেটা কি সত্যিই একচেটিয়া শক্তি নয়? বাংলাদেশের অর্থনীতি চরম সংকটে, বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাচ্ছে না মানুষ ইসলামী ব্যাংকের বোর্ডের জোর: নিরবচ্ছিন্ন সেবা ও ঋণ পুনরুদ্ধার পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু ডিএসই–তে ঘুরে দাঁড়ানো: ২০ দিন পর সূচক ৫ হাজারের ওপরে প্রায় ভুলে যাওয়া এক দেয়াল জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারের পূর্ণ ক্ষমতা ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট

জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারের পূর্ণ ক্ষমতা ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে ১৯৯৪ সালে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় এসব ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারেরই।

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে ১৯৯৪ সালে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের মূল্য সরকারকে নির্ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি বছরের ২৫ আগস্ট ঘোষিত রায়টি প্রকাশ করেন।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।

ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সেই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। রুল জারির পর দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ নির্দেশনা দেন।

রায়ে আদালত আরও বলেন, ১৯৮২ সালের ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ—যা বর্তমানে ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন, ২০২৩–এ প্রতিস্থাপিত হয়েছে—তার বিধান অনুযায়ী ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার। সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪ সালের সার্কুলারে সরকার ১১৭টি ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়, তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

রিটের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।

#হাইকোর্ট #ওষুধের_দাম #সরকারি_ক্ষমতা #স্বাস্থ্যঅধিকার #সার্কুলার১৯৯৪ #এইচআরপিবি #ওষুধনীতি #বাংলাদেশ_হাইকোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা

জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারের পূর্ণ ক্ষমতা ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট

০৮:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে ১৯৯৪ সালে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় এসব ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারেরই।

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে ১৯৯৪ সালে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের মূল্য সরকারকে নির্ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি বছরের ২৫ আগস্ট ঘোষিত রায়টি প্রকাশ করেন।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।

ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সেই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। রুল জারির পর দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ নির্দেশনা দেন।

রায়ে আদালত আরও বলেন, ১৯৮২ সালের ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ—যা বর্তমানে ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন, ২০২৩–এ প্রতিস্থাপিত হয়েছে—তার বিধান অনুযায়ী ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার। সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪ সালের সার্কুলারে সরকার ১১৭টি ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়, তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

রিটের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ওষুধ যেহেতু জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান, মূল্য বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা সরাসরি নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ওই সার্কুলার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।

#হাইকোর্ট #ওষুধের_দাম #সরকারি_ক্ষমতা #স্বাস্থ্যঅধিকার #সার্কুলার১৯৯৪ #এইচআরপিবি #ওষুধনীতি #বাংলাদেশ_হাইকোর্ট