০২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
চীনের ‘ঘোস্ট পার্টিকল’ গবেষণায় প্রথম উচ্চ-নির্ভুল ফলাফল রিমোর্সের রূপকথার মতো প্রত্যাবর্তনে মেইদান রেসকোর্সে আলোড়ন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকর সাইবার হামলার শিকার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ নিহত বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর চিফ অব স্টাফ নিহত নাইজেরিয়ার ব্রোঞ্জ শিল্পীরা শতাব্দীপ্রাচীন কৌশল আঁকড়ে ধরে আছেন কুয়েতের নতুন ইকামা ও ভিসা ফি বৃদ্ধি কীভাবে চীনা আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংক বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্কে পরিণত হলো জাতীয় অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্মে গবেষণা দ্রুততর, ডেটা সুরক্ষিত ভূমিকম্পে নতুন সচিবালয় ভবনে ফাটল

গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়ল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, নতুন ‘তৃতীয় বলয়’ গঠনে জোটচর্চা তীব্র

লম্বা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিরোধী দলগুলোর জোট-সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। বিএনপি–জামায়াতের বাইরে একটি নতুন স্বাধীন রাজনৈতিক বলয় গঠনের লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ ভেঙে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। একই সঙ্গে এনসিপির নেতৃত্বে চারদলীয় নতুন জোট গঠনের আলোচনাও দ্রুত এগোচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক ঘরানায় এই পুনর্গঠন দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন চাপ তৈরি করছে।

গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেরিয়ে গেল

গণতন্ত্র মঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলার পর সোমবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দলের যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল ভূঁইয়া জানান, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রস্তাবে মঞ্চের অন্যান্য দল রাজি থাকলেও আলাপ-আলোচনায় গতি ছিল না। এই অচলাবস্থা থেকেই তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা এমন একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম চান, যা দুই প্রধান ব্লকের বাইরে স্বাধীনভাবে অবস্থান নিতে পারবে। তাঁর ভাষায়, দেশের রাজনীতিতে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নেয়ার সক্ষমতা বিএনপি–জামায়াতের নেই। খুব শিগগিরই তারা নতুন জোটের ঘোষণা দেবেন বলে জানান তিনি।

দলের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুমও বলেন, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নির্বাচনমুখী রাজনীতির জায়গায় গণতন্ত্র মঞ্চ পৌঁছাতে পারেনি। একই ভাবনায় এগোতে আগ্রহী কিছু দল থাকলেও তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

নতুন জোটের আলোচনায় এনসিপি–এবি পার্টি–রাষ্ট্র সংস্কার–আপ বাংলাদেশ

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে ইতোমধ্যে এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ যুগপৎ কর্মসূচি পালন করেছে। পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে আলোচনাও এগিয়েছে। এনসিপির নেতৃত্বে চার দলের একটি নতুন বলয় গঠনের বিষয়ে কয়েক মাস ধরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে।

এনসিপির নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ–বিএনপিকে কেন্দ্র করে যে দুই মেরু রাজনীতি গড়ে উঠেছে, এর বাইরে তরুণ-প্রজন্ম ও মধ্যমপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে বিকল্প বলয় দাঁড় করানোই তাদের লক্ষ্য। তবে নির্বাচনী আসন বণ্টনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

তরুণদের দল হিসেবে পরিচিত এনসিপি বলছে, তাদের সঙ্গে বিএনপি–জামায়াতের আদর্শগত দূরত্ব রয়ে গেছে, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে। তাই তারা নিজেদের নেতৃত্বে নতুন জোট করার দিকেই জোর দিচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের ‘ঘোস্ট পার্টিকল’ গবেষণায় প্রথম উচ্চ-নির্ভুল ফলাফল

গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়ল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, নতুন ‘তৃতীয় বলয়’ গঠনে জোটচর্চা তীব্র

১২:০১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

লম্বা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিরোধী দলগুলোর জোট-সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। বিএনপি–জামায়াতের বাইরে একটি নতুন স্বাধীন রাজনৈতিক বলয় গঠনের লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ ভেঙে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। একই সঙ্গে এনসিপির নেতৃত্বে চারদলীয় নতুন জোট গঠনের আলোচনাও দ্রুত এগোচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক ঘরানায় এই পুনর্গঠন দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন চাপ তৈরি করছে।

গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেরিয়ে গেল

গণতন্ত্র মঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলার পর সোমবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দলের যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল ভূঁইয়া জানান, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রস্তাবে মঞ্চের অন্যান্য দল রাজি থাকলেও আলাপ-আলোচনায় গতি ছিল না। এই অচলাবস্থা থেকেই তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা এমন একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম চান, যা দুই প্রধান ব্লকের বাইরে স্বাধীনভাবে অবস্থান নিতে পারবে। তাঁর ভাষায়, দেশের রাজনীতিতে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নেয়ার সক্ষমতা বিএনপি–জামায়াতের নেই। খুব শিগগিরই তারা নতুন জোটের ঘোষণা দেবেন বলে জানান তিনি।

দলের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুমও বলেন, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নির্বাচনমুখী রাজনীতির জায়গায় গণতন্ত্র মঞ্চ পৌঁছাতে পারেনি। একই ভাবনায় এগোতে আগ্রহী কিছু দল থাকলেও তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

নতুন জোটের আলোচনায় এনসিপি–এবি পার্টি–রাষ্ট্র সংস্কার–আপ বাংলাদেশ

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে ইতোমধ্যে এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ যুগপৎ কর্মসূচি পালন করেছে। পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে আলোচনাও এগিয়েছে। এনসিপির নেতৃত্বে চার দলের একটি নতুন বলয় গঠনের বিষয়ে কয়েক মাস ধরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে।

এনসিপির নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ–বিএনপিকে কেন্দ্র করে যে দুই মেরু রাজনীতি গড়ে উঠেছে, এর বাইরে তরুণ-প্রজন্ম ও মধ্যমপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে বিকল্প বলয় দাঁড় করানোই তাদের লক্ষ্য। তবে নির্বাচনী আসন বণ্টনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

তরুণদের দল হিসেবে পরিচিত এনসিপি বলছে, তাদের সঙ্গে বিএনপি–জামায়াতের আদর্শগত দূরত্ব রয়ে গেছে, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে। তাই তারা নিজেদের নেতৃত্বে নতুন জোট করার দিকেই জোর দিচ্ছে।