বলিউডের সাবেক অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি তাঁর অস্ট্রিয়ান স্বামী পিটার হেগের বিরুদ্ধে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, নিষ্ঠুরতা ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তিনি মোট ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণসহ আরও আর্থিক দাবি তুলেছেন। মামলাটি বর্তমানে মুম্বাইয়ের অন্ধেরি আদালতে বিচারাধীন।
ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগ ও আদালতের কার্যক্রম
সেলিনার দাখিল করা মামলাটি অন্ধেরির বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ফার্স্ট ক্লাস এস.সি. টাডিয়ের আদালতে যাচাই ও নোটিসের জন্য উত্থাপিত হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, পিটার হেগ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, মানসিক নির্যাতন এবং প্রতারণামূলক আচরণ করেছেন।
এএনআই-এর তথ্য অনুযায়ী, নির্যাতনের কারণে আয়ের উৎস নষ্ট হওয়া এবং সম্পত্তিগত ক্ষতির ক্ষতিপূরণ হিসেবে সেলিনা ৫০ কোটি টাকা দাবি করেছেন।
সেলিনা ও পিটার হেগের পারিবারিক জীবন
২০১১ সালে অস্ট্রিয়ান ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিক পিটার হেগকে বিয়ে করেন সেলিনা জেটলি।
তাদের তিন সন্তান রয়েছে—২০১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রথম যমজ উইনস্টন ও বিরাজ, এবং ২০১৭ সালে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় যমজ শামশের ও আর্থার।
২০১৭ সালের যমজ সন্তানদের একজন শামশের জন্মের পর হৃদরোগজনিত জটিলতার কারণে মারা যায়।

ভাইয়ের ঘটনার পর আগ্রহের কেন্দ্রে সেলিনা
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেলিনা অভিযোগ করেন যে তাঁর ভাই, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বিক্রান্ত জেটলি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে আটক আছেন।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানায় যে তারা নিয়মিত কনসুলার সহায়তা দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে চারবার জেল পরিদর্শন করেছে।
দিল্লি হাইকোর্টও মামলায় হস্তক্ষেপ করে এবং সেলিনার পিটিশনের প্রেক্ষিতে তাঁর ভাইকে আইনি সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেয়।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নানা সংকটের মাঝে সেলিনা জেটলি এবার স্বামী পিটার হেগের বিরুদ্ধে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের গুরুতর অভিযোগ এনে আইনি লড়াই শুরু করেছেন। আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ ও রায় এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্র।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















