বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নারীর নেতৃত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জার্মানি ও ইইউ-সমর্থিত শক্তিকন্যা কর্মসূচির তৃতীয় ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তরুণ নারী নেত্রীদের সামনে টেকসই জ্বালানি খাতে কাজের নতুন সুযোগ ও নেতৃত্বের পথ উন্মুক্ত হলো।
ভূমিকা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শক্তিকন্যা তৃতীয় ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অগ্রগতিকে আরও সুদৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করে। STEM ও প্রযুক্তি-খাতে আগ্রহী তরুণ নারী পেশাজীবীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সোপান।
ইইউ ও জার্মানির প্রশংসা
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, শক্তিকন্যা নারীদের দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে এবং এটি দেশের টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ জানান, জ্বালানি খাতে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করা জার্মানির অঙ্গীকারের অন্যতম অংশ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জ্বালানি নীতি ও সিদ্ধান্তে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উদযাপন ও নিয়োগপত্র প্রদান
অনুষ্ঠানে সলভ-এ-থন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের ঘোষণা করা হয়। শিল্প-খাতের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত গ্র্যাজুয়েটদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন, যা সবুজ অর্থনীতিতে নারীদের কর্মসংস্থানের বাস্তব অগ্রগতি নির্দেশ করে।
তিন মাসের নেতৃত্ব-যাত্রা
গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানটি তিন মাসের নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তি নির্দেশ করে। অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা-সমাধান, আত্মবিশ্বাস ও পেশাগত ভবিষ্যৎ গড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছেন।
এ পর্যন্ত শতাধিক নারী শক্তিকন্যা কর্মসূচি থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন, যাদের অনেকেই ইতোমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লিন-টেক ও পরিবেশবান্ধব শিল্পে কাজ করছেন।
সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভূমিকা
এই ব্যাচটি বাস্তবায়ন করেছে জিআইজেড বাংলাদেশ ও ডেভটেল পার্টনার্স, সহায়তা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এবং বিশ্বব্যাংক।
২০টির বেশি অংশীদার প্রতিষ্ঠান মেন্টরশিপ, ক্যারিয়ার-আলোচনা ও নিয়োগ-সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অক্টোবরে অনুষ্ঠিত গ্রিন-স্কিলস সামিটে সাতটি প্রতিষ্ঠান ব্যাচের আটজন উত্তীর্ণকে ইন্টার্নশিপ অফার করে।
উদ্বোধনী পর্বে শক্তিকন্যার যাত্রার প্রতিফলন
ইইউ, বিশ্বব্যাংক ও শিল্প-খাতের প্রতিনিধিরা নারীর নেতৃত্বে জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিএসআরইএ সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ, আইডিকল-এর ডেপুটি সিইও ও সিএফও এস. এম. মনিরুল ইসলাম এবং বিজিএমইএ পরিচালক রুমানা রশিদ বলেন, জেন্ডার-অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবন ও টেকসই প্রবৃদ্ধি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং শক্তিকন্যা তার বাস্তব উদাহরণ তৈরি করেছে।
সলভ-এ-থন প্রতিযোগিতা
শিক্ষার্থীরা বাস্তব জ্বালানি-খাতের সমস্যার ওপর উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করেন। তিনটি দল বিজয়ী হয় এবং তাদের প্রজেক্ট-পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ নারী-ক্ষমতায়ন সবুজ-জ্বালানি শক্তিকন্যা টেকসই-উন্নয়ন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















