আগ্নেয়াস্ত্র কেবলমাত্র বি-২৫-এর “ফিউজলেজ”-এ ছিদ্র সৃষ্টি করতে সক্ষম ছিল। তবে ঐ বিষম গোলাগুলি ঘাবড়ে দিতে যথেষ্ট ছিল।
ইম্ফল-এ, কিছুকালের জন্য বিমানক্ষেত্রের বা এয়ারস্ট্রিপের একপ্রান্ত ছিল ব্রিটিশ ও ভারতীয় বাহিনীর দখলে, অন্যপ্রান্ত দখল করে রেখেছিল জাপানি বাহিনী। সাপ্লাইবাহী বি-২৫ যাতে নির্বিঘ্নে অবতরণ করতে পারে- সম্ভব করার জন্য ব্রিটিশ ও ভারতীয় বাহিনী ‘অস্থায়ী কালের জন্য’ জাপানি বাহিনীকে ধাওয়া করে সরিয়ে দিত: বি-২৫ অবতরণ করত, মাল খালাস করে চলে যেত। অবশ্য অবতরণরত ও আরোহণরত বি-২৫ কে বিরামহীনভাবে গুলিবিদ্ধকরণ থেকে জাপানি বাহিনী মোটেই বিরত থাকত না, অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেত।
ইভো-র বি-২৫-ও ইমফলে অবতরণ ও আরোহণ কালে জাপানিদের গোলাগুলির মুখোমুখী হয়েছে। স্মৃতির পাতা থেকে ইভো বলেন যে সৌভাগ্যক্রমে জাপানিদের বড়ো মাপের আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না, তাই সহজে বিমান ভূপাতিত করতে পারত না, তাদের আগ্নেয়াস্ত্র কেবলমাত্র বি-২৫-এর “ফিউজলেজ”-এ ছিদ্র সৃষ্টি করতে সক্ষম ছিল। তবে ঐ বিষম গোলাগুলি ঘাবড়ে দিতে যথেষ্ট ছিল।
এই সময়ে, ১৯৪৪ সালের ২৪ এপ্রিল কুর্মিটোলায় একটি বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে যায়। দুই নার্স- সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অ্যান ক্লার্ক ও ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট নেবিট সবেমাত্র কোলকাতা থেকে বি-২৫ করে কুর্মিটোলায় এসে নামেন, দৈবক্রমে দুই নার্স হাঁটা শুরু করেন- খেয়াল করেননি যে তাদেরকে বহন করে আনা বি-২৫-এর প্রপেলার তখনো পাক খেয়ে ঘোরা বন্ধ করেনি। একজন নার্স ঘটনাস্থলেই মারা যান, অন্যজনের হারগোড় মারাত্মকভাবে ভেঙে গুড়িয়ে যায়, দুদিন বাদে তাঁরও মৃত্যু ঘটে।
(চলবে)
নাঈম হক 


















