কুর্মিটোলায় খোয়া কুর্মিটোলা-ইমফল-কুর্মিটোলা মিশনে ওড়াউড়ি করার জন্য ‘সদ্য রিক্রুটকত বেশি….
গ্রামবাসীদের সহায়তায় তারা ছয়টি পরিত্যাক্ত বোমার মধ্যে তিনটি বোমা খুঁজে পান। ইভো ও অর্ডন্যান্সের লোকেরা মিলেমিশে দুটো বোমাকে বিস্ফোরিত করেন, তৃতীয়টিকে অকেজো করার জন্য প্রথমে বোমার আবরণে ফাটল সৃষ্টি করেন তারা এবং তারপর ফাটলের মধ্য দিয়ে আর্দ্রতা, জলকণা প্রবেশ করিয়ে বোমার বিস্ফোরণ শক্তি নষ্ট করে দেন।
বাকি যে তিনটি বোমার হদিশ পাওয়া গেল না, সে বিষয়ে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে সেগুলো নির্ঘাত নদীতে পড়েছে, নদীর তলদেশ থেকে সেগুলোকে খুঁজে বের করা বা বিস্ফোরিত করার ইচ্ছা, আশা বা ধৈর্য্য তাদের আর ছিল না। কাজেই হারানো তিন বোমা সম্ভবত নদীর তলদেশে গেড়ে বসে আছে।
১৯৪৪ সালের ২২ মার্চ জাপানি বাহিনী ইম্ফলে অবস্থিত অ্যাংলো-আমেরিকান মিত্রজোটের গুরুত্বপূর্ণ গ্যারিসন অবরোধ করে। এই অবরোধকালীন সময়ে, ২৫০ মাইল দূরে অবস্থিত ইমফল-এ- ৪৯০তম বিএস আকাশ পথে বিরামহীন চব্বিশ ঘণ্টা কুর্মিটোলা-ইম্ফল-কুর্মিটোলা শাটল সার্ভিস দেয়, ননস্টপ বিমানভর্তি গোলাবারুদ, অস্ত্রশস্ত্র, খাদ্য ও অন্যান্য সাপ্লাই পৌঁছে দেয়া হয়।
বলাবাহুল্য যে “ইম্ফল রান”-এর দিনগুলোতে বি-২৫ বোমারু বিমানগুলোকে শত্রু বাহিনীর প্রচণ্ড তীব্র গোলাগুলির মুখে পড়তে হয়েছে-যথেষ্ট সংখ্যক বি-২৫ গুলিবিদ্ধ হয়ে ভূপাতিত হয়েছে। পরিণামে, এভাবে খোয়া যাওয়া বি-২৫-এর বদলা বি-২৫-র প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা করা যতোটুকু না দিনগুলোতে অন্যান্য ফ্রন্টে-ও এয়ারক্রু-র ঘাটতি ও সরবরাহ-চাহিদা ছিল খুব যাওয়া এয়ারক্রু-র বদলা এয়ারক্রু-র প্রতিস্থাপন পাঠানো।
কারণ, মহাযুদ্ধের সহজ ছিল, মোটেই সহজ ছিল না তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে কুর্মিটোলায় খোয়া কুর্মিটোলা-ইমফল-কুর্মিটোলা মিশনে ওড়াউড়ি করার জন্য ‘সদ্য রিক্রুটকত বেশি। এই দুরূহ সমস্যার সমাধানকল্পে ৪৯০তম বিএস-এর গ্রাউন্ড ক্রু-দের সৈনিক’ হিসেবে রিক্রুট করা হয়। কাজেই ইভো সদ্য রিক্রুটকৃতের তালিকাভুক্ত হন।
একবার তো ইভো-কে দুই সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটি মিশনে যেতে হয়েছিল। স্মৃতির পাতা খুলে ইভো বলেন যে “অবশেষে, বোম্বিং প্রক্রিয়া নামক আগ পর্যন্ত বিমানে গোলাবারুদ ভর্তি করার প্রান্তে ছিলাম, এবারে অন্য প্রান্তের সমীকরণের শেষ প্রান্ত দেখার সুযোগ আমার হয়। সক্রিয় মিশনে অংশগ্রহণের রকমসকম দেখছি, অর্থাৎ সমীকরণের সম্পূর্ণটাই দেখা হচ্ছে”।
(চলবে)
নাঈম হক 


















