কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বুধবার জানিয়েছেন, দেশীয় কৃষকদের সুরক্ষায় সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো পেঁয়াজ সংকট নেই। কয়েকদিন আগে দাম ১২০–১৩০ টাকায় উঠেছিল, এখন আবার কমে ৯৫–১০০ টাকায় এসেছে। কিছু ব্যবসায়ী আমদানি পুনরায় চালুর জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন আদালতেও আবেদন করেছে। বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা নেই
উপদেষ্টা জানান, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ইতোমধ্যেই বাজারে এসেছে এবং নতুন পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। তাই পেঁয়াজের দাম আবার বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
আলু চাষির লোকসান ও সংরক্ষণ সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
আলু উৎপাদন নিয়ে তিনি বলেন, এ বছর চাষিরা ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসান গুনেছেন। যদিও বর্তমানে দাম কিছুটা বেড়েছে, তার মতে কৃষকের স্বার্থে দাম আরও কিছুটা বাড়া প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, আলুর সম্ভাব্য পচন রোধে এ বছর কোল্ড স্টোরেজ খালি করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণত ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কোল্ড স্টোরেজ খালি হয়, তবে এবার ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সারের পর্যাপ্ত মজুদ, অতিরিক্ত দাম নিলে কঠোর ব্যবস্থা
উপদেষ্টা বলেন, দেশে সার মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবুও কিছু অসাধু ব্যক্তি সারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো কর্মকর্তা দায়িত্বে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে এক পয়সাও বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক গ্যাস মূল্য সমন্বয়ের সঙ্গে সারের দামের কোনো সম্পর্ক নেই। সারের দাম অপরিবর্তিত থাকবে এবং বর্তমান সরকারের মেয়াদে বাড়ার সম্ভাবনাও নেই।
সার ডিলার নিয়োগে নতুন নীতি
সার ডিলার নিয়োগ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, নতুন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে শূন্যপদ আছে, শুধু সেখানে নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমান ডিলারদের মধ্যে কেউ দুর্নীতি বা অনিয়মে জড়িত না হলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে না। কেবল খালি পদগুলোর জায়গা পূরণ করা হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















