পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের জামায়াত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটিতে গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
জামায়াতের অভিযোগ ও নিন্দা
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি অভিযোগ করেন—
- বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরাই
চর গোরগরি জোগির মোড়, সাহাপুর ইউনিয়নে এই হামলা চালায়। - অধ্যাপক তালেব মণ্ডলসহ ৫০ জনের বেশি জামায়াত কর্মী আহত হয়েছেন।
- অসংখ্য গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
গোলাম পারওয়ার বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার এক “স্পষ্ট চেষ্টা”।
পূর্বদিনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি
তিনি আরও জানান,
- এর আগের দিনও একই এলাকায় বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা করেছিল।
- পরদিনের সশস্ত্র হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য “অগ্রহণযোগ্য”।

জামায়াতের দাবি: দ্রুত ব্যবস্থা চাই
গোলাম পারওয়ার প্রশাসনের কাছে দাবি জানান—
- হামলাকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার,
- উদাহরণযোগ্য শাস্তি,
- আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
তিনি স্থানীয় নেতাদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
বিএনপির পাল্টা অবস্থান
অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন—
- হামলা করেছে জামায়াতের কর্মীরাই,
- আত্মরক্ষায় তাদের পক্ষের ১৫–২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন,
- তালেব মণ্ডল নিজেই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জামায়াতের অভিযোগ “ভিত্তিহীন”।
পাবনায় দু’দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, এবং নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন।
#tags
#পাবনা #জামায়াত #বিএনপি #নির্বাচন #হামলা #রাজনীতি
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















