০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

পাবনায় জামায়াত প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে গোলাম পারওয়ারের নিন্দা

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের জামায়াত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটিতে গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।


জামায়াতের অভিযোগ ও নিন্দা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি অভিযোগ করেন—

  • বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরাই
    চর গোরগরি জোগির মোড়, সাহাপুর ইউনিয়নে এই হামলা চালায়।
  • অধ্যাপক তালেব মণ্ডলসহ ৫০ জনের বেশি জামায়াত কর্মী আহত হয়েছেন।
  • অসংখ্য গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে

গোলাম পারওয়ার বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার এক “স্পষ্ট চেষ্টা”।


পূর্বদিনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি

তিনি আরও জানান,

  • এর আগের দিনও একই এলাকায় বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা করেছিল।
  • পরদিনের সশস্ত্র হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
  • প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য “অগ্রহণযোগ্য”।


জামায়াতের দাবি: দ্রুত ব্যবস্থা চাই

গোলাম পারওয়ার প্রশাসনের কাছে দাবি জানান—

  • হামলাকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার,
  • উদাহরণযোগ্য শাস্তি,
  • আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।

তিনি স্থানীয় নেতাদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।


বিএনপির পাল্টা অবস্থান

অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন—

  • হামলা করেছে জামায়াতের কর্মীরাই,
  • আত্মরক্ষায় তাদের পক্ষের ১৫–২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন,
  • তালেব মণ্ডল নিজেই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জামায়াতের অভিযোগ “ভিত্তিহীন”।

পাবনায় দু’দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, এবং নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন।


#tags
#পাবনা #জামায়াত #বিএনপি #নির্বাচন #হামলা #রাজনীতি

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনায় জামায়াত প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে গোলাম পারওয়ারের নিন্দা

০৬:০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের জামায়াত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটিতে গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।


জামায়াতের অভিযোগ ও নিন্দা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি অভিযোগ করেন—

  • বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরাই
    চর গোরগরি জোগির মোড়, সাহাপুর ইউনিয়নে এই হামলা চালায়।
  • অধ্যাপক তালেব মণ্ডলসহ ৫০ জনের বেশি জামায়াত কর্মী আহত হয়েছেন।
  • অসংখ্য গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে

গোলাম পারওয়ার বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার এক “স্পষ্ট চেষ্টা”।


পূর্বদিনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি

তিনি আরও জানান,

  • এর আগের দিনও একই এলাকায় বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা করেছিল।
  • পরদিনের সশস্ত্র হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
  • প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য “অগ্রহণযোগ্য”।


জামায়াতের দাবি: দ্রুত ব্যবস্থা চাই

গোলাম পারওয়ার প্রশাসনের কাছে দাবি জানান—

  • হামলাকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার,
  • উদাহরণযোগ্য শাস্তি,
  • আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।

তিনি স্থানীয় নেতাদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।


বিএনপির পাল্টা অবস্থান

অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন—

  • হামলা করেছে জামায়াতের কর্মীরাই,
  • আত্মরক্ষায় তাদের পক্ষের ১৫–২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন,
  • তালেব মণ্ডল নিজেই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জামায়াতের অভিযোগ “ভিত্তিহীন”।

পাবনায় দু’দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, এবং নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন।


#tags
#পাবনা #জামায়াত #বিএনপি #নির্বাচন #হামলা #রাজনীতি