শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি বিএনপির
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পাবনার ঈশ্বরদীতে তাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলার অভিযোগ এনে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দলটির দাবি।
হামলার বিস্তারিত অভিযোগ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ হামলায় দলের ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল নিজে নেতৃত্ব দিয়ে এই হামলা চালান। তিনি ও তার কর্মীরা ধর্মীয় উসকানি এবং ‘জান্নাতের টিকিট বিক্রি’র মতো বিতর্কিত প্রচারণা কৌশল ব্যবহার করছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের পর সহিংস হামলা
বিএনপি দাবি করে, এসব কর্মকাণ্ডে স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদ শুরু হলে জামায়াত কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাতে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরাও বিনা উসকানিতে আক্রমণের শিকার হন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও অভিযোগ
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ছবিতে জামায়াতকর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালাতে দেখা গেছে।
তবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে বিএনপির অভিযোগ।
‘জামায়াতের চরমপন্থা উন্মোচিত হয়েছে’
বিএনপি মনে করে, এই ঘটনা জামায়াতে ইসলামী’র চরমপন্থী অবস্থানকে আবারও প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, লক্ষ লক্ষ সমর্থন থাকা সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার স্বার্থে বিএনপির সংযমকে দুর্বলতা হিসেবে দেখা উচিত নয়।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় সংযম
বিএনপি জানায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে দলটি উসকানির মুখেও ধৈর্য ধরে চলছে।
তারা আরও দাবি করে, প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।
সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান
বিএনপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এর আগে সংঘর্ষের ঘটনা
এর আগে বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চর গোরগরী এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতকর্মীদের মধ্যে দিনের বিভিন্ন সময় একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
#tag #Politics #BNP #Pabna #Election #Violence
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















