১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

স্ক্রিপ্ট ও শুটিং দুর্বলতার ফলে গামছা, রুম ও স্বর্ণের গহনার বিভ্রাট

  • স্বদেশ রায়
  • ০৮:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • 98

তথ্যমন্ত্রী হিসেবে নাজমুল হুদা দায়িত্ব নেবার পরে বিটিভিতে দুটো পরিবর্তন আনেন। তিনি কিছু সময়ের জন্য সিএনএন ও বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ প্রচার শুরু করার ব্যবস্থা করেন ও বিটিভিতে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান কেনা শুরু করেন।
সে সময়ে আমার লেখা উপন্যাস ভিত্তিক দুটো নাটক তৈরি করি। একদিকে যেমন অভিজ্ঞতা ছিল না, অন্যদিকে ভাবখানা ছিল প্রথম নাটক দিয়েই একেবারে সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত হয়ে যাবো। আর এই বিশ্বমানের খেলোয়াড় হতে গিয়ে যে বিভ্রাটগুলোয় পড়েছিলাম।

 

গামছা

গামছা বিভ্রাট
একটি নাটক ছিল একাত্তরের নির্যাতিতা নারী গুরুদাসীকে নিয়ে। গুরুদাসী ধর্ষিতা ও স্বামী–সন্তান সব হারানোর পরে সে পাগলি হয়ে যায়।
এদিকে তখন তো নিজেকে সত্যজিৎ রায়, শম্ভু মিত্র’র পর্যায়ে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি মনে মনে। আর অভিজ্ঞতা ও লেখাপড়া না থাকলে নিজেকে এমন জায়গায় দাঁড় করানো খুব সহজ হয়।
একেবারে নিজেকে বিশ্বমানে নিয়ে গিয়ে মনে করলাম শম্ভু মিত্র যেমন নিজেই রক্তকরবীর ফাগুলালের স্ত্রীর শাড়িটা কেমন হবে তা চিন্তা করেছিলেন—গুরুদাসীর পোশাকটা তো ঠিকই আমাকেই তেমনি চিন্তা করতে হবে। বড় মাথা তো, বিশ্বমানের মাথা। বুদ্ধিও বেরিয়ে গেল—মাথা থেকে। পাগলী যখন এবং গ্রামে থাকে, ওর পোশাকের সঙ্গে একটা গামছা থাকবে।
সহ-পরিচালকও নতুন। সে বলল, গামছা একটা কিনে নিয়ে সোডা দিয়ে সিদ্ধ করে পরিষ্কার করলে একেবারে পাগলির গামছার মতো হয়ে যাবে।
মাথায় তখন “বিশ্বমান”; তাই গামছাও একটা কেনা হলো। সোডা দিয়ে সিদ্ধ করাও হলো।
ওই গামছা নায়িকার (অর্থাৎ) পাগলী গুরুদাসীর শাড়ির সঙ্গে পেঁচিয়ে দিয়ে শুটিং হলো। এডিটিং প্যানেলে বসে গামছাটার দিকে আর ওইভাবে খেয়াল করা হয়নি। বা পুরস্কারের লোভে তখন তো শুধু নাটক শেষ করার দরকার। তাই সামান্য গামছার দিকে আর নজর দেওয়া পড়েনি।
নাটক প্রচারের পরে বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক শুধু নয়, সাধারণ দর্শকও বলতে লাগল—একি করলেন নাটকটা! একটা গামছা দিয়েই শেষ করে দিলেন।
তখন বুঝতে পারলাম, একে নতুন গামছা, তার ওপর হাতে বোনা তাতের। সোডা দিয়ে সেদ্ধ করে তার রং আরও উজ্জ্বল হয়েছে। আর ক্যামেরার লেন্স আর লাইট তা সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

লম্বা চুল - উইকিপিডিয়া

চুলের বিভ্রাট
গামছার পরে এলো এলোমেলো চুল। খুব জাত-অভিনেত্রী না হলে তার রূপ নষ্ট করতে চান না সাধারণ কোনো নাটকের জন্য। এখানেও তাই হলো। আসলে পাগলির ময়লা চুল তৈরি করার জন্য চুলে শুধু ধুলো মাখানো হয়েছিল।
এদিকে নায়িকার শ্যাম্পু করা চুল দুটি শট নিতে নিতেই সব ধুলো পড়ে যায়। ক্যামেরায় শেষ পর্যন্ত নজরকাড়া চুলই ধরা পড়ে।
দর্শক, পাঠক, সাধারণ মানুষ—এরা সব সময়ই খারাপ। সবকিছু খুঁজে খুঁজে দেখে। কাহিনীর ভেতর যে একটা বিশ্বমানের টোন আছে, পাহাড়সম বেদনা আছে—সে সব না দেখে বলতে শুরু করে দিল—নাটকটাই মাটি করে দিয়েছে ওই “শ্যাম্পু করা চুল”।
কারণ যে মানুষটা পনেরো–বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাগলী—তার ওই শ্যাম্পু করা চুল দেখে তাদের নাকি মনে হয়েছে—নায়িকা যেন এসি রুম থেকে বেরিয়ে এসে পাগলীর ভূমিকায় অভিনয় করে গেছে।

পায়ের মেকাপে বিভ্রাট
ওই নাটকে যাকে বুড়ি বানানো হয়েছিল তার বয়স ছিল ৩৫-এর মতো। তার মুখ, গলার ভাঁজ আর হাতের দিকেই খেয়াল করা হয়েছিল। পায়ের দিকে খেয়াল রাখা হয়নি। তখন মনেও পড়েনি, কবি বন্ধু ত্রিদিব দস্তিদারের সেই বিখ্যাত কবিতার লাইন—“তোমার পায়ের পাতা, গিনি সোনার পাত।”
দর্শকরা ধরে ফেলল। বলল, এ বড় কাঁচা নাটক হয়ে গেছে। এত সুন্দর পা দেখলেই তো বোঝা যায় কোনো মতেই গ্রামের দরিদ্র বুড়ি নয়। একেবারে যারা কমপক্ষে সপ্তাহে দুইদিন ভালো রেস্টুরেন্টে ডিনার বা লাঞ্চ করে তাদের কেউ হবে।

প্যান থেকে হাই কমোডে ঝুঁকছে দেশের মানুষ

বাথরুম বিভ্রাট
এ নাটকটি ছিল নূর হোসেনকে নিয়ে লেখা আমার আরেকটি উপন্যাস ভিত্তিক। এখানে সহ-পরিচালকও মহাপণ্ডিত। তিনি বললেন, হাজার হোক এটা টেলিভিশন মিডিয়াম। তাই স্ক্রিনে নূর হোসেনদের এত পচা ঘর দেখানো উচিত হবে না। যে কারণে ঘর খুঁজতেই লেগে গেল কয়েক মাস।
নূর হোসেন ডিআইটির ছাদের চিলেকোঠার মতো রুমটাতেই থাকত। শেষ পর্যন্ত পরিচিত একজনের বাড়িতে এরকম রুম ও ছাদ পাওয়া গেল।
কিন্তু মনে যতই বিশ্বমাঠের হই, আসলে আনাড়ি। অন্যদিকে যেমন গায়েন, তেমনি তার দোহার থাকে পৃথিবীতে। তাই সহ-পরিচালকও তেমনি। কেউ খেয়াল করল না—বাড়ির মালিক নতুন অ্যাটাচ বাথরুম করেছেন, কিন্তু তখনও দরজা লাগাননি।
আর ক্যামেরা লেন্সগুলো সব সময়ই বেঈমানের জাত। কোনো ফাঁকে ক্যামেরায় এসে গেল ওই বাথরুমের নতুন কমোড আর নতুন টাওয়েল। এদিকে চোখ তো আমাদের সকলের বিশ্বময়—এডিটিং প্যানেলেও বাদ দেওয়া হলো না সেটা। অত ক্ষুদ্র জায়গায় তো আর চোখ যায়নি।
এ নাটক দেখার পরেও সবাই বলতে লাগল—মাটি করলেন নাটকটা। ধানমন্ডিতে বেশিভাগ বাড়িতেই শুধু বেডরুমের বাথরুমে কমোড (নব্বই দশকের কথা) আর এখানে কিনা একটা ভবঘুরে ছেলে থাকে চিলেকোঠায়—রুমের দেয়ালে চুনকাম নেই, অথচ বাথরুমে নতুন কমোড, নতুন টাওয়েল।

Gold Leasing: সোনা বিক্রি করবেন কেন? ভাড়া দিলে বছরে ৭% পর্যন্ত অতিরিক্ত আয় হতে পারে, Why Sell Your Gold? Earn Extra Income by Renting It Out — Up to 7% Yearly Returns |

গহনা বিভ্রাট
গল্পের নায়ক (যা হয় আর কি বাংলা গল্পে) তার এক বন্ধুর বোনকে খুব স্নেহ করত। বন্ধুর বোনও তাকে গলির মাথা অবধি পৌঁছে দিত। তারপর যথারীতি মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এদিকে বেকার ভবঘুরে—সে তখন তাঁতি বাজার (ঢাকার স্বর্ণের বাজার) থেকে ঋণ করে দুনিয়ার গহনা কিনে নিয়ে এসেছে তাকে সাজিয়ে দিতে।
এখানেও দর্শকরাই মুখ বেকিয়ে বলল, ধ্যাত—মাটি করেছেন এই দৃশ্যটি জুড়ে। গহনার পরিমাণ অত হওয়াতে মোটেই বাস্তবের ধারে কাছে আসেনি। হাজার হোক স্বর্ণ তো—একেবারে চাল–গম মনে করা উচিত হয়নি।

লেখক: সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, সম্পাদক, সারাক্ষণ, The Present World.

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ক্রিপ্ট ও শুটিং দুর্বলতার ফলে গামছা, রুম ও স্বর্ণের গহনার বিভ্রাট

০৮:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

তথ্যমন্ত্রী হিসেবে নাজমুল হুদা দায়িত্ব নেবার পরে বিটিভিতে দুটো পরিবর্তন আনেন। তিনি কিছু সময়ের জন্য সিএনএন ও বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ প্রচার শুরু করার ব্যবস্থা করেন ও বিটিভিতে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান কেনা শুরু করেন।
সে সময়ে আমার লেখা উপন্যাস ভিত্তিক দুটো নাটক তৈরি করি। একদিকে যেমন অভিজ্ঞতা ছিল না, অন্যদিকে ভাবখানা ছিল প্রথম নাটক দিয়েই একেবারে সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত হয়ে যাবো। আর এই বিশ্বমানের খেলোয়াড় হতে গিয়ে যে বিভ্রাটগুলোয় পড়েছিলাম।

 

গামছা

গামছা বিভ্রাট
একটি নাটক ছিল একাত্তরের নির্যাতিতা নারী গুরুদাসীকে নিয়ে। গুরুদাসী ধর্ষিতা ও স্বামী–সন্তান সব হারানোর পরে সে পাগলি হয়ে যায়।
এদিকে তখন তো নিজেকে সত্যজিৎ রায়, শম্ভু মিত্র’র পর্যায়ে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি মনে মনে। আর অভিজ্ঞতা ও লেখাপড়া না থাকলে নিজেকে এমন জায়গায় দাঁড় করানো খুব সহজ হয়।
একেবারে নিজেকে বিশ্বমানে নিয়ে গিয়ে মনে করলাম শম্ভু মিত্র যেমন নিজেই রক্তকরবীর ফাগুলালের স্ত্রীর শাড়িটা কেমন হবে তা চিন্তা করেছিলেন—গুরুদাসীর পোশাকটা তো ঠিকই আমাকেই তেমনি চিন্তা করতে হবে। বড় মাথা তো, বিশ্বমানের মাথা। বুদ্ধিও বেরিয়ে গেল—মাথা থেকে। পাগলী যখন এবং গ্রামে থাকে, ওর পোশাকের সঙ্গে একটা গামছা থাকবে।
সহ-পরিচালকও নতুন। সে বলল, গামছা একটা কিনে নিয়ে সোডা দিয়ে সিদ্ধ করে পরিষ্কার করলে একেবারে পাগলির গামছার মতো হয়ে যাবে।
মাথায় তখন “বিশ্বমান”; তাই গামছাও একটা কেনা হলো। সোডা দিয়ে সিদ্ধ করাও হলো।
ওই গামছা নায়িকার (অর্থাৎ) পাগলী গুরুদাসীর শাড়ির সঙ্গে পেঁচিয়ে দিয়ে শুটিং হলো। এডিটিং প্যানেলে বসে গামছাটার দিকে আর ওইভাবে খেয়াল করা হয়নি। বা পুরস্কারের লোভে তখন তো শুধু নাটক শেষ করার দরকার। তাই সামান্য গামছার দিকে আর নজর দেওয়া পড়েনি।
নাটক প্রচারের পরে বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক শুধু নয়, সাধারণ দর্শকও বলতে লাগল—একি করলেন নাটকটা! একটা গামছা দিয়েই শেষ করে দিলেন।
তখন বুঝতে পারলাম, একে নতুন গামছা, তার ওপর হাতে বোনা তাতের। সোডা দিয়ে সেদ্ধ করে তার রং আরও উজ্জ্বল হয়েছে। আর ক্যামেরার লেন্স আর লাইট তা সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

লম্বা চুল - উইকিপিডিয়া

চুলের বিভ্রাট
গামছার পরে এলো এলোমেলো চুল। খুব জাত-অভিনেত্রী না হলে তার রূপ নষ্ট করতে চান না সাধারণ কোনো নাটকের জন্য। এখানেও তাই হলো। আসলে পাগলির ময়লা চুল তৈরি করার জন্য চুলে শুধু ধুলো মাখানো হয়েছিল।
এদিকে নায়িকার শ্যাম্পু করা চুল দুটি শট নিতে নিতেই সব ধুলো পড়ে যায়। ক্যামেরায় শেষ পর্যন্ত নজরকাড়া চুলই ধরা পড়ে।
দর্শক, পাঠক, সাধারণ মানুষ—এরা সব সময়ই খারাপ। সবকিছু খুঁজে খুঁজে দেখে। কাহিনীর ভেতর যে একটা বিশ্বমানের টোন আছে, পাহাড়সম বেদনা আছে—সে সব না দেখে বলতে শুরু করে দিল—নাটকটাই মাটি করে দিয়েছে ওই “শ্যাম্পু করা চুল”।
কারণ যে মানুষটা পনেরো–বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাগলী—তার ওই শ্যাম্পু করা চুল দেখে তাদের নাকি মনে হয়েছে—নায়িকা যেন এসি রুম থেকে বেরিয়ে এসে পাগলীর ভূমিকায় অভিনয় করে গেছে।

পায়ের মেকাপে বিভ্রাট
ওই নাটকে যাকে বুড়ি বানানো হয়েছিল তার বয়স ছিল ৩৫-এর মতো। তার মুখ, গলার ভাঁজ আর হাতের দিকেই খেয়াল করা হয়েছিল। পায়ের দিকে খেয়াল রাখা হয়নি। তখন মনেও পড়েনি, কবি বন্ধু ত্রিদিব দস্তিদারের সেই বিখ্যাত কবিতার লাইন—“তোমার পায়ের পাতা, গিনি সোনার পাত।”
দর্শকরা ধরে ফেলল। বলল, এ বড় কাঁচা নাটক হয়ে গেছে। এত সুন্দর পা দেখলেই তো বোঝা যায় কোনো মতেই গ্রামের দরিদ্র বুড়ি নয়। একেবারে যারা কমপক্ষে সপ্তাহে দুইদিন ভালো রেস্টুরেন্টে ডিনার বা লাঞ্চ করে তাদের কেউ হবে।

প্যান থেকে হাই কমোডে ঝুঁকছে দেশের মানুষ

বাথরুম বিভ্রাট
এ নাটকটি ছিল নূর হোসেনকে নিয়ে লেখা আমার আরেকটি উপন্যাস ভিত্তিক। এখানে সহ-পরিচালকও মহাপণ্ডিত। তিনি বললেন, হাজার হোক এটা টেলিভিশন মিডিয়াম। তাই স্ক্রিনে নূর হোসেনদের এত পচা ঘর দেখানো উচিত হবে না। যে কারণে ঘর খুঁজতেই লেগে গেল কয়েক মাস।
নূর হোসেন ডিআইটির ছাদের চিলেকোঠার মতো রুমটাতেই থাকত। শেষ পর্যন্ত পরিচিত একজনের বাড়িতে এরকম রুম ও ছাদ পাওয়া গেল।
কিন্তু মনে যতই বিশ্বমাঠের হই, আসলে আনাড়ি। অন্যদিকে যেমন গায়েন, তেমনি তার দোহার থাকে পৃথিবীতে। তাই সহ-পরিচালকও তেমনি। কেউ খেয়াল করল না—বাড়ির মালিক নতুন অ্যাটাচ বাথরুম করেছেন, কিন্তু তখনও দরজা লাগাননি।
আর ক্যামেরা লেন্সগুলো সব সময়ই বেঈমানের জাত। কোনো ফাঁকে ক্যামেরায় এসে গেল ওই বাথরুমের নতুন কমোড আর নতুন টাওয়েল। এদিকে চোখ তো আমাদের সকলের বিশ্বময়—এডিটিং প্যানেলেও বাদ দেওয়া হলো না সেটা। অত ক্ষুদ্র জায়গায় তো আর চোখ যায়নি।
এ নাটক দেখার পরেও সবাই বলতে লাগল—মাটি করলেন নাটকটা। ধানমন্ডিতে বেশিভাগ বাড়িতেই শুধু বেডরুমের বাথরুমে কমোড (নব্বই দশকের কথা) আর এখানে কিনা একটা ভবঘুরে ছেলে থাকে চিলেকোঠায়—রুমের দেয়ালে চুনকাম নেই, অথচ বাথরুমে নতুন কমোড, নতুন টাওয়েল।

Gold Leasing: সোনা বিক্রি করবেন কেন? ভাড়া দিলে বছরে ৭% পর্যন্ত অতিরিক্ত আয় হতে পারে, Why Sell Your Gold? Earn Extra Income by Renting It Out — Up to 7% Yearly Returns |

গহনা বিভ্রাট
গল্পের নায়ক (যা হয় আর কি বাংলা গল্পে) তার এক বন্ধুর বোনকে খুব স্নেহ করত। বন্ধুর বোনও তাকে গলির মাথা অবধি পৌঁছে দিত। তারপর যথারীতি মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এদিকে বেকার ভবঘুরে—সে তখন তাঁতি বাজার (ঢাকার স্বর্ণের বাজার) থেকে ঋণ করে দুনিয়ার গহনা কিনে নিয়ে এসেছে তাকে সাজিয়ে দিতে।
এখানেও দর্শকরাই মুখ বেকিয়ে বলল, ধ্যাত—মাটি করেছেন এই দৃশ্যটি জুড়ে। গহনার পরিমাণ অত হওয়াতে মোটেই বাস্তবের ধারে কাছে আসেনি। হাজার হোক স্বর্ণ তো—একেবারে চাল–গম মনে করা উচিত হয়নি।

লেখক: সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, সম্পাদক, সারাক্ষণ, The Present World.