০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩০)

এই ঐচ্ছিক সংখ্যা এবং সর্বশেষ এইভাবে প্রাপ্ত] ভাগফল (পূর্বের বল্লীর নীচে) বসাও…

(খ) by=ax+1 এই ধরণের সমীকরণ সম্পর্কে প্রথম ভাস্করাচার্য, ব্রহ্মগুপ্ত, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য, নারায়ণ প্রমুখ আলোচনা করেছেন।

প্রথম ভাস্করাচার্যের পদ্ধতি

রূপমেকম্পাস্যাপি কুট্টাকার: প্রসাধ্যতে।
গুণকারোহণ লব্ধঞ্চ রাশী স্যাতামুপর্যধঃ।

টীকা নিষ্প্রয়োজন।

ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন:

হৃতয়োঃ পরস্পরং যচ্ছেষং গুণকারভাগহারকয়োঃ

তেন হৃতৌ নেশ্চেদৌ তাবেব পরস্পরং হৃতয়োঃ।

লব্ধমর্বোহধঃ স্থাপ্যং তথেষ্টগুণকারসহ গুণংশেষম্।

শুদ্ধতি যথৈকহীনং গুণকঃ স্থাপ্যঃ ফলং চান্ত্যাত।

অগ্রান্তমুপাস্ত্যেন স্বোর্দ্ধে।

গুণিতোহন্ত্যসংযুতোভক্তম্।

নিংশেবভাগহারেণৈবং স্থিরকুট্রকে শেষম্।

মর্মার্থ: এদের পরস্পর ভাগ কর তারপর ভাগফলগুলি একটির নীচে অন্যটি স্থাপন কর। শেষ ভাগফলকে কোন ইচ্ছামত রাশি দিয়ে এমনভাবে গুণ করো যে এই গুণফলের সঙ্গে এক বিয়োগ দিলে শেষ ভাগশেষের সঙ্গে জড়িত ভাজক দিয়ে ভাগ দিলে ভাগশেষ কিছু থাকবে না। এই ঐচ্ছিক সংখ্যা এবং সর্বশেষ এইভাবে প্রাপ্ত] ভাগফল (পূর্বের বল্লীর নীচে) বসাও।

এই মতিকে (ইচ্ছামত ধরা সংখ্যাকে মতি বলা হয়) ঠিক উপরের সংখ্যা দিয়ে গুণ করে তার নীচের সংখ্যা যোগ কর। তারপর এই পদ্ধতি অনুসরণ কর। এইভাবে সর্বোপরি রাশি পাওয়া গেলে পরিবর্তিত ভাজক দিয়ে ভাগ করলে আমরা আমাদের ইষ্ট সংখ্যা পাব (ভাবানুবাদ)।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩০)

০৩:০০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

এই ঐচ্ছিক সংখ্যা এবং সর্বশেষ এইভাবে প্রাপ্ত] ভাগফল (পূর্বের বল্লীর নীচে) বসাও…

(খ) by=ax+1 এই ধরণের সমীকরণ সম্পর্কে প্রথম ভাস্করাচার্য, ব্রহ্মগুপ্ত, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য, নারায়ণ প্রমুখ আলোচনা করেছেন।

প্রথম ভাস্করাচার্যের পদ্ধতি

রূপমেকম্পাস্যাপি কুট্টাকার: প্রসাধ্যতে।
গুণকারোহণ লব্ধঞ্চ রাশী স্যাতামুপর্যধঃ।

টীকা নিষ্প্রয়োজন।

ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন:

হৃতয়োঃ পরস্পরং যচ্ছেষং গুণকারভাগহারকয়োঃ

তেন হৃতৌ নেশ্চেদৌ তাবেব পরস্পরং হৃতয়োঃ।

লব্ধমর্বোহধঃ স্থাপ্যং তথেষ্টগুণকারসহ গুণংশেষম্।

শুদ্ধতি যথৈকহীনং গুণকঃ স্থাপ্যঃ ফলং চান্ত্যাত।

অগ্রান্তমুপাস্ত্যেন স্বোর্দ্ধে।

গুণিতোহন্ত্যসংযুতোভক্তম্।

নিংশেবভাগহারেণৈবং স্থিরকুট্রকে শেষম্।

মর্মার্থ: এদের পরস্পর ভাগ কর তারপর ভাগফলগুলি একটির নীচে অন্যটি স্থাপন কর। শেষ ভাগফলকে কোন ইচ্ছামত রাশি দিয়ে এমনভাবে গুণ করো যে এই গুণফলের সঙ্গে এক বিয়োগ দিলে শেষ ভাগশেষের সঙ্গে জড়িত ভাজক দিয়ে ভাগ দিলে ভাগশেষ কিছু থাকবে না। এই ঐচ্ছিক সংখ্যা এবং সর্বশেষ এইভাবে প্রাপ্ত] ভাগফল (পূর্বের বল্লীর নীচে) বসাও।

এই মতিকে (ইচ্ছামত ধরা সংখ্যাকে মতি বলা হয়) ঠিক উপরের সংখ্যা দিয়ে গুণ করে তার নীচের সংখ্যা যোগ কর। তারপর এই পদ্ধতি অনুসরণ কর। এইভাবে সর্বোপরি রাশি পাওয়া গেলে পরিবর্তিত ভাজক দিয়ে ভাগ করলে আমরা আমাদের ইষ্ট সংখ্যা পাব (ভাবানুবাদ)।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৯)