০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৪)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • 8

এই ক্যাম্পেনের সময় ৪৯০তম বিএস স্টিলওয়েলের বাহিনীকে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে- নিম্ন উচ্চতায় উড়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য দেয়।

১৯৪৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বার্মা থেকে লেজ গুটিয়ে চলে আসার প্রায় বছর দেড়েক বাদে জেনারেল স্টিলওয়েল ‘বদলা নিতে’ উত্তর বার্মায় জাপানিদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেনে নামেন। তাঁর বাহিনী, “দশম-ফোর্স’, ছিল প্রধানত মার্কিনদের কাছ থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত চীনা সৈনিকদের নিয়ে গঠিত সেনাদল। তদুপরি, ভারতীয়, ব্রিটিশ ও মার্কিন সৈনিকরাও জেনারেলের বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই রণসজ্জা বা ক্যাম্পেনের মূল লক্ষ্য ছিল: উত্তর বার্মার “মিয়িতকিনিয়া” শহরে অবস্থিত জাপানিদের প্রধান ক্যাম্প হস্তগত করা। শহরটি হস্তগত করতে পারলে, মার্কিনদের পরিকল্পিত ‘বার্মা টু চীন’ স্থলপথ পুনরায় খুলে দেয়া সম্ভব হবে। ফলস্বরূপ, তাই স্টিলওয়েলের বাহিনী ‘হয় এসপার-নয় ওসপার’ নীতিতে জাপানি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

এবং অবশেষে, প্রায় দেড় বছর পূর্বে জাপানি বাহিনীর কাছে “গো হারা হেরে যাওয়া” জেনারেলের আত্মশ্লাঘা প্রশমিত হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে, তাঁর বাহিনী ১৯৪৪ সালের মে মাসের দিকে “মিয়িটকিয়িনিয়া” শহরটিকে অবরোধ শুরু করে। এই ক্যাম্পেনের সময় ৪৯০তম বিএস স্টিলওয়েলের বাহিনীকে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে- নিম্ন উচ্চতায় উড়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য দেয়।

স্মৃতির পাতা থেকে ইভো তার জীবনে আকাশ-যুদ্ধের প্রথম অভিজ্ঞতার কাহিনি বলেন: “আমার তৃতীয় মিশনের টাগেটের অবস্থান ছিল আরো খানিকটা দক্ষিণে- জাপানিরা যেখানে আরো অধিক সংখ্যক স্থলবাহিনীর জোয়ানদের জড় করেছে, সেখানে। এই জোয়ানদের নিরাপত্তাবিধানের জন্য জাপানিরা ‘জিরোস ও বেটিস’-এর সমাবেশ রাখে- মিত্রবাহিনীর নিত্যদিনের পরিভাষায় জাপানিদের দুর্ধর্ষ ‘ফাইটার ও বোমারু বিমানকে’ ‘জিরোস ও বেটিস’ (‘Zeros and Bettys’) নামে ডাকা হতো। এইখানেই, ঝুলন্ত আগুন কি আর কাহাকে বলে বিষয়ে আমার প্রথম অভিসিঞ্চন হয়।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৩)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৪)

০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

এই ক্যাম্পেনের সময় ৪৯০তম বিএস স্টিলওয়েলের বাহিনীকে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে- নিম্ন উচ্চতায় উড়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য দেয়।

১৯৪৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বার্মা থেকে লেজ গুটিয়ে চলে আসার প্রায় বছর দেড়েক বাদে জেনারেল স্টিলওয়েল ‘বদলা নিতে’ উত্তর বার্মায় জাপানিদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেনে নামেন। তাঁর বাহিনী, “দশম-ফোর্স’, ছিল প্রধানত মার্কিনদের কাছ থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত চীনা সৈনিকদের নিয়ে গঠিত সেনাদল। তদুপরি, ভারতীয়, ব্রিটিশ ও মার্কিন সৈনিকরাও জেনারেলের বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই রণসজ্জা বা ক্যাম্পেনের মূল লক্ষ্য ছিল: উত্তর বার্মার “মিয়িতকিনিয়া” শহরে অবস্থিত জাপানিদের প্রধান ক্যাম্প হস্তগত করা। শহরটি হস্তগত করতে পারলে, মার্কিনদের পরিকল্পিত ‘বার্মা টু চীন’ স্থলপথ পুনরায় খুলে দেয়া সম্ভব হবে। ফলস্বরূপ, তাই স্টিলওয়েলের বাহিনী ‘হয় এসপার-নয় ওসপার’ নীতিতে জাপানি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

এবং অবশেষে, প্রায় দেড় বছর পূর্বে জাপানি বাহিনীর কাছে “গো হারা হেরে যাওয়া” জেনারেলের আত্মশ্লাঘা প্রশমিত হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে, তাঁর বাহিনী ১৯৪৪ সালের মে মাসের দিকে “মিয়িটকিয়িনিয়া” শহরটিকে অবরোধ শুরু করে। এই ক্যাম্পেনের সময় ৪৯০তম বিএস স্টিলওয়েলের বাহিনীকে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে- নিম্ন উচ্চতায় উড়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য দেয়।

স্মৃতির পাতা থেকে ইভো তার জীবনে আকাশ-যুদ্ধের প্রথম অভিজ্ঞতার কাহিনি বলেন: “আমার তৃতীয় মিশনের টাগেটের অবস্থান ছিল আরো খানিকটা দক্ষিণে- জাপানিরা যেখানে আরো অধিক সংখ্যক স্থলবাহিনীর জোয়ানদের জড় করেছে, সেখানে। এই জোয়ানদের নিরাপত্তাবিধানের জন্য জাপানিরা ‘জিরোস ও বেটিস’-এর সমাবেশ রাখে- মিত্রবাহিনীর নিত্যদিনের পরিভাষায় জাপানিদের দুর্ধর্ষ ‘ফাইটার ও বোমারু বিমানকে’ ‘জিরোস ও বেটিস’ (‘Zeros and Bettys’) নামে ডাকা হতো। এইখানেই, ঝুলন্ত আগুন কি আর কাহাকে বলে বিষয়ে আমার প্রথম অভিসিঞ্চন হয়।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৩)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৩)