সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.)–এর মাজার প্রাঙ্গণে কয়েকটি পুরোনো খেজুরগাছ কেটে ফেলার পর ভক্তদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে থাকা এসব গাছ মাজারের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
গাছ কাটার ঘটনা ও কারণ
মাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যেই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তাদের দাবি, মসজিদ সম্প্রসারণের কাজের জন্য গাছগুলো অপসারণ করা জরুরি ছিল।
পুরোনো স্মৃতি ও ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৯৮০ সালের দিকে মসজিদের সামনে এসব গাছ রোপণ করা হয়। রাতে দর্শনার্থীরা এখানে বিশ্রাম নিত। নামাজের সময় গাছের নিচে অস্থায়ী ছাউনি ও ত্রিপল টানানো হতো, যা ভক্তদের কাছে এক পরিচিত ও অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করত।
বৃহস্পতিবারের মধ্যেই গাছের গুঁড়িগুলো সমান করে ফেলা হয়। এতে ভক্তদের আশঙ্কা—আরও গাছ কেটে ফেলা হতে পারে।
সংগঠন ও কমিটির বক্তব্য
৩৬০ আউলিয়া ভক্ত সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, খেজুরগাছগুলো মাজারের পরিচিতির অংশ এবং সিলেটের ইতিহাস-সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। তিনি অভিযোগ করেন, মসজিদ কমিটির কিছু সদস্য অতিরিক্ত উৎসাহ দেখিয়েছেন। তার মতে, মসজিদ সম্প্রসারণের পাশাপাশি অস্থায়ী নামাজের স্থান তৈরি করে গাছগুলো সংরক্ষণ করা যেত।
মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এম এম সোহেল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, এবং সেখানে গাছ কাটার পক্ষে ও বিপক্ষে উভয় মতামত ছিল। তবে তিনি বলেন, সম্প্রসারণকাজ এগোতে হলে গাছগুলো রাখা সম্ভব ছিল না।
মাজারের তত্ত্বাবধায়ক শামুন মাহমুদ খান জানান, সামনে খোলা জায়গা রাখলে ভক্তদের হাঁটা ও নামাজের সুবিধা বাড়বে।
#tags #সিলেট #শাহজালালমাজার #খেজুরগাছ #বাংলাদেশ #সংস্কৃতি #ধর্মীয়ঐতিহ্য
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















