০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সোনার লড়াইয়ে মালয়েশিয়ার ভরসা লিয়ং জুন হাও চলচ্চিত্রকারের নীল দিনের গল্প বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণের সংকট ২০৪০ সালে আরও ভয়াবহ হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন ঘোষণার এক বছর: ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং চীন–জাপান উত্তেজনায় নতুন অধ্যায় সরাসরি সম্প্রচারে অসুস্থ হয়ে পড়লেন উপস্থাপক লরা উডস ২০২৫ সালের শেষে কীভাবে দেখবেন স্পটিফাই র‌্যাপড, ইউটিউব রিক্যাপ ও অন্যান্য বার্ষিক সংক্ষিপ্তসার হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনে নতুন ভোট: নবজাতক সুরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস যুদ্ধ থেকে অর্থ তুলতে চাওয়া: রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ক্ষতিকর পুতিনের ভারত সফর: যুদ্ধবিমান থেকে বাণিজ্যপথ—বৃহৎ চুক্তির সম্ভাবনা

দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিই এগিয়ে নেবে ভারতকে: জয়শংকর শিল্পখাতকে আহ্বান

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শংকর বললেন—শিল্পখাতকে এখনই সীমিত লাভের হিসাব ভুলে যেতে হবে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ যে মানসিকতার পরিবর্তন এনেছে, তা পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাবে তখনই, যখন শিল্প নিজেকে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলবে। শনিবার আইআইএম কলকাতায় সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণের পর তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে এই বার্তা।

Make In India Programme, All About The Manufacture in India Initiative

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মানে গবেষণা, উদ্ভাবন ও নকশায় ভারতের উঠে দাঁড়ানো

জয়শংকর বলেন, ভারতীয় শিল্পকে শুধু রপ্তানির হিসাব নয়—দেশীয় সাপ্লাই চেইনমজবুত করাতেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর ভাষায়, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আজ গবেষণা, উদ্ভাবন ও নকশার মাধ্যমে আরও গভীরভাবে শেকড় গেড়ে বসেছে।

আইআইএম কর্তৃপক্ষ তাঁর কূটনীতি, জনসেবা ও জ্ঞানের পরিসরে অবদানের জন্য তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে।

তিনি আরও বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অবশ্যই বৈদেশিক নীতিকে শক্তিশালী করে। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত থাকে আরও সূক্ষ্ম বিষয়—কোন পণ্য কোথায় তৈরি হলো, কোন দেশ কোন সেবা দিল—এগুলোও আজ কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ।

A Conversation With External Affairs Minister Subrahmanyam Jaishankar of  India | Council on Foreign Relations

বিশ্বরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ, নতুন দায়ভার ভারতের ওপর

জয়শংকর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন দেশভেদে নতুন শর্তে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। চীনও তার নিজস্ব নিয়ম আরও আক্রমণাত্মকভাবে প্রয়োগ করছে। এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতায় অনিশ্চয়তা বাড়লে অন্যান্য দেশ বিকল্প পথ খুঁজছে—যেখানে লাভজনক হলে নতুন জোট, আর প্রয়োজন হলে সমান্তরাল বাণিজ্যচুক্তির পথ বেছে নিচ্ছে।

এশিয়া ও ইউরোপ নিজেদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছে। মধ্যপ্রাচ্য বড় ধরনের রূপান্তরের পথে, আর লাতিন আমেরিকাও নতুন সুযোগের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।

এই বিশ্ব বাস্তবতায় ভারত তার নীতি সাজাচ্ছে তিনটি ধাপে—জাতীয় শক্তি বৃদ্ধি, দুর্বলতা কমানো এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তার। জয়শংকর বলেন, ভারত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে দায়িত্বও। “একটি উদীয়মান পরাশক্তি, বিশেষ করে উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরাশক্তি হিসেবে ভারতে শক্তিশালী শিল্পভিত্তি থাকা অপরিহার্য।”

সব মিলিয়ে তিনি স্পষ্ট করলেন—ভারতের ভবিষ্যৎ শুধু নীতি নয়, শিল্পের দায়বদ্ধ সহযোগিতার ওপরও দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পমেয়াদি লাভ নয়, দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিই এগিয়ে নেবে দেশকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনার লড়াইয়ে মালয়েশিয়ার ভরসা লিয়ং জুন হাও

দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিই এগিয়ে নেবে ভারতকে: জয়শংকর শিল্পখাতকে আহ্বান

০৫:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শংকর বললেন—শিল্পখাতকে এখনই সীমিত লাভের হিসাব ভুলে যেতে হবে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ যে মানসিকতার পরিবর্তন এনেছে, তা পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাবে তখনই, যখন শিল্প নিজেকে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলবে। শনিবার আইআইএম কলকাতায় সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণের পর তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে এই বার্তা।

Make In India Programme, All About The Manufacture in India Initiative

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মানে গবেষণা, উদ্ভাবন ও নকশায় ভারতের উঠে দাঁড়ানো

জয়শংকর বলেন, ভারতীয় শিল্পকে শুধু রপ্তানির হিসাব নয়—দেশীয় সাপ্লাই চেইনমজবুত করাতেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর ভাষায়, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আজ গবেষণা, উদ্ভাবন ও নকশার মাধ্যমে আরও গভীরভাবে শেকড় গেড়ে বসেছে।

আইআইএম কর্তৃপক্ষ তাঁর কূটনীতি, জনসেবা ও জ্ঞানের পরিসরে অবদানের জন্য তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে।

তিনি আরও বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অবশ্যই বৈদেশিক নীতিকে শক্তিশালী করে। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত থাকে আরও সূক্ষ্ম বিষয়—কোন পণ্য কোথায় তৈরি হলো, কোন দেশ কোন সেবা দিল—এগুলোও আজ কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ।

A Conversation With External Affairs Minister Subrahmanyam Jaishankar of  India | Council on Foreign Relations

বিশ্বরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ, নতুন দায়ভার ভারতের ওপর

জয়শংকর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন দেশভেদে নতুন শর্তে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। চীনও তার নিজস্ব নিয়ম আরও আক্রমণাত্মকভাবে প্রয়োগ করছে। এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতায় অনিশ্চয়তা বাড়লে অন্যান্য দেশ বিকল্প পথ খুঁজছে—যেখানে লাভজনক হলে নতুন জোট, আর প্রয়োজন হলে সমান্তরাল বাণিজ্যচুক্তির পথ বেছে নিচ্ছে।

এশিয়া ও ইউরোপ নিজেদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছে। মধ্যপ্রাচ্য বড় ধরনের রূপান্তরের পথে, আর লাতিন আমেরিকাও নতুন সুযোগের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।

এই বিশ্ব বাস্তবতায় ভারত তার নীতি সাজাচ্ছে তিনটি ধাপে—জাতীয় শক্তি বৃদ্ধি, দুর্বলতা কমানো এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তার। জয়শংকর বলেন, ভারত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে দায়িত্বও। “একটি উদীয়মান পরাশক্তি, বিশেষ করে উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরাশক্তি হিসেবে ভারতে শক্তিশালী শিল্পভিত্তি থাকা অপরিহার্য।”

সব মিলিয়ে তিনি স্পষ্ট করলেন—ভারতের ভবিষ্যৎ শুধু নীতি নয়, শিল্পের দায়বদ্ধ সহযোগিতার ওপরও দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পমেয়াদি লাভ নয়, দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিই এগিয়ে নেবে দেশকে।