০২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সোনার লড়াইয়ে মালয়েশিয়ার ভরসা লিয়ং জুন হাও চলচ্চিত্রকারের নীল দিনের গল্প বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণের সংকট ২০৪০ সালে আরও ভয়াবহ হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন ঘোষণার এক বছর: ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং চীন–জাপান উত্তেজনায় নতুন অধ্যায় সরাসরি সম্প্রচারে অসুস্থ হয়ে পড়লেন উপস্থাপক লরা উডস ২০২৫ সালের শেষে কীভাবে দেখবেন স্পটিফাই র‌্যাপড, ইউটিউব রিক্যাপ ও অন্যান্য বার্ষিক সংক্ষিপ্তসার হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনে নতুন ভোট: নবজাতক সুরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস যুদ্ধ থেকে অর্থ তুলতে চাওয়া: রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ক্ষতিকর পুতিনের ভারত সফর: যুদ্ধবিমান থেকে বাণিজ্যপথ—বৃহৎ চুক্তির সম্ভাবনা

চীন–জাপান উত্তেজনায় নতুন অধ্যায়

তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যে চীন ক্ষুব্ধ। রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করে বেইজিং এখন কূটনৈতিকভাবে টোকিওকে বিচ্ছিন্ন করতে দৃশ্যত সক্রিয়।


রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ‘উচ্চস্তরের ঐকমত্য’

এক মাসের টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন ঘোষণা করেছে—জাপান ইস্যুতে তাদের অবস্থান রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। মস্কোয় ওয়াং ই ও সের্গেই ল্যাভরভের বৈঠকে দুই দেশ জাপানের ‘বর্ধমান সামরিকীকরণ’ নিয়ে কঠোর সুরে কথা বলে।
তাদের দাবি—উপনিবেশবাদী আগ্রাসনকে ঢেকে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা ও সামরিকতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অবস্থান নেবে বেইজিং–মস্কো।


তাকাইচির বক্তব্য: বেইজিংয়ের চোখে ‘উস্কানি’

জাপানি সংসদে তাকাইচি বলেছিলেন—চীনের নৌ অবরোধের মতো পরিস্থিতিতে এসডিএফ মোতায়েন করা হতে পারে। এই মন্তব্যকে বেইজিং দেখছে ‘রেড লাইন’-এ হাত দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে।
চীন সরাসরি বলেছে—তাকাইচিকে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। টোকিওর কাছে যা রাজনৈতিক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।


চীনের অর্থনৈতিক চাপ ও তথ্য–কূটনীতি

চীন জাপানে ভ্রমণ–বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সামুদ্রিক পণ্যে কার্যত নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পূর্ব সামরিকতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে পুরোনো প্রচারণা–কৌশল পুনরায় সক্রিয় করেছে।
জাতিসংঘে পাঠানো দুই চিঠিতে চীন জাপানের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগকে বিশ্ব–নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে তুলে ধরে।


লন্ডন–প্যারিসকে পাশে টানার চেষ্টা

ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং ই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী আন্তর্জাতিক কাঠামো রক্ষার প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেন।
চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারদের একজন ফ্রান্স; যা বেইজিংকে পরোক্ষ চাপ তৈরি করার অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।


দক্ষিণ কোরিয়ার নিরপেক্ষতা; যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে অস্বস্তি

সিউল জানিয়ে দিয়েছে—তারা কোনো পক্ষ নেবে না।
অন্যদিকে, ট্রাম্প তাকাইচিকে উত্তেজনা না বাড়ানোর পরামর্শ দিলে জাপানে উদ্বেগ বেড়েছে—চীন–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির সমীকরণে তাইওয়ান ইস্যু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে কি না।
যদিও ওয়াশিংটন সম্ভাবনা নাকচ করেছে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।


আগামী বছরও স্থায়ী হতে পারে উত্তেজনা

চীন–জাপান টানাপোড়েন আগামী বছর পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এপ্রিলের চীন সফরে ট্রাম্পকে একই সঙ্গে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নেওয়া এবং টোকিওকে বিব্রত না করার সূক্ষ্ম ভারসাম্যে হাঁটতে হবে।


#tags

ChinaJapanTension # TaiwanCrisis # IndoPacificDiplomacy # BeijingTokyo#   Geopolitics#

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনার লড়াইয়ে মালয়েশিয়ার ভরসা লিয়ং জুন হাও

চীন–জাপান উত্তেজনায় নতুন অধ্যায়

০১:০৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যে চীন ক্ষুব্ধ। রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করে বেইজিং এখন কূটনৈতিকভাবে টোকিওকে বিচ্ছিন্ন করতে দৃশ্যত সক্রিয়।


রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ‘উচ্চস্তরের ঐকমত্য’

এক মাসের টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন ঘোষণা করেছে—জাপান ইস্যুতে তাদের অবস্থান রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। মস্কোয় ওয়াং ই ও সের্গেই ল্যাভরভের বৈঠকে দুই দেশ জাপানের ‘বর্ধমান সামরিকীকরণ’ নিয়ে কঠোর সুরে কথা বলে।
তাদের দাবি—উপনিবেশবাদী আগ্রাসনকে ঢেকে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা ও সামরিকতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অবস্থান নেবে বেইজিং–মস্কো।


তাকাইচির বক্তব্য: বেইজিংয়ের চোখে ‘উস্কানি’

জাপানি সংসদে তাকাইচি বলেছিলেন—চীনের নৌ অবরোধের মতো পরিস্থিতিতে এসডিএফ মোতায়েন করা হতে পারে। এই মন্তব্যকে বেইজিং দেখছে ‘রেড লাইন’-এ হাত দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে।
চীন সরাসরি বলেছে—তাকাইচিকে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। টোকিওর কাছে যা রাজনৈতিক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।


চীনের অর্থনৈতিক চাপ ও তথ্য–কূটনীতি

চীন জাপানে ভ্রমণ–বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সামুদ্রিক পণ্যে কার্যত নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পূর্ব সামরিকতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে পুরোনো প্রচারণা–কৌশল পুনরায় সক্রিয় করেছে।
জাতিসংঘে পাঠানো দুই চিঠিতে চীন জাপানের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগকে বিশ্ব–নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে তুলে ধরে।


লন্ডন–প্যারিসকে পাশে টানার চেষ্টা

ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং ই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী আন্তর্জাতিক কাঠামো রক্ষার প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেন।
চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারদের একজন ফ্রান্স; যা বেইজিংকে পরোক্ষ চাপ তৈরি করার অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।


দক্ষিণ কোরিয়ার নিরপেক্ষতা; যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে অস্বস্তি

সিউল জানিয়ে দিয়েছে—তারা কোনো পক্ষ নেবে না।
অন্যদিকে, ট্রাম্প তাকাইচিকে উত্তেজনা না বাড়ানোর পরামর্শ দিলে জাপানে উদ্বেগ বেড়েছে—চীন–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির সমীকরণে তাইওয়ান ইস্যু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে কি না।
যদিও ওয়াশিংটন সম্ভাবনা নাকচ করেছে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।


আগামী বছরও স্থায়ী হতে পারে উত্তেজনা

চীন–জাপান টানাপোড়েন আগামী বছর পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এপ্রিলের চীন সফরে ট্রাম্পকে একই সঙ্গে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নেওয়া এবং টোকিওকে বিব্রত না করার সূক্ষ্ম ভারসাম্যে হাঁটতে হবে।


#tags

ChinaJapanTension # TaiwanCrisis # IndoPacificDiplomacy # BeijingTokyo#   Geopolitics#