০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সোনার লড়াইয়ে মালয়েশিয়ার ভরসা লিয়ং জুন হাও চলচ্চিত্রকারের নীল দিনের গল্প বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণের সংকট ২০৪০ সালে আরও ভয়াবহ হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন ঘোষণার এক বছর: ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং চীন–জাপান উত্তেজনায় নতুন অধ্যায় সরাসরি সম্প্রচারে অসুস্থ হয়ে পড়লেন উপস্থাপক লরা উডস ২০২৫ সালের শেষে কীভাবে দেখবেন স্পটিফাই র‌্যাপড, ইউটিউব রিক্যাপ ও অন্যান্য বার্ষিক সংক্ষিপ্তসার হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনে নতুন ভোট: নবজাতক সুরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস যুদ্ধ থেকে অর্থ তুলতে চাওয়া: রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ক্ষতিকর পুতিনের ভারত সফর: যুদ্ধবিমান থেকে বাণিজ্যপথ—বৃহৎ চুক্তির সম্ভাবনা

পুতিনের ভারত সফর: যুদ্ধবিমান থেকে বাণিজ্যপথ—বৃহৎ চুক্তির সম্ভাবনা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ ভারতে আসছেন দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিতে। ভূপৃষ্ঠ, সমুদ্র, আকাশ ও মহাকাশ—প্রায় সব ক্ষেত্রেই সামরিক ও বেসামরিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি নিয়ে বড় ধরনের আলোচনা হবে। কঠিন ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পশ্চিমাদের চাপের মধ্যেও ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর।

ভারত-রাশিয়া কৌশলগত সম্পর্কের দৃঢ়তা
পুতিনের এটি ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম ভারত সফর। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ভারত ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ থেকেও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থেকেছে—রাশিয়ান তেল আমদানি বৃদ্ধি এবং রুপিতে বাণিজ্য বজায় রেখে।

১৯৫০-এর দশক থেকে ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা শুরু হয়েছিল স্টিল প্ল্যান্ট ও বড় অবকাঠামো নির্মাণ দিয়ে। পরে প্রতিরক্ষা খাতে গভীর সহযোগিতা গড়ে ওঠে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ শতাংশ অস্ত্র এখনও রাশিয়া থেকে আসে।

দুই দেশের নেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কও দৃঢ়। পুতিন এখন পর্যন্ত নয়বার ভারতে এসেছেন; ডিসেম্বর সফর হবে দশমবার। মোদি সাতবার রাশিয়া সফর করেছেন।

ভারত-রাশিয়া বিমান সহযোগিতার শুরু
১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে IL-14, Mi-4, AN-12 পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার ভারতের বাহিনীতে যোগ হতে থাকে। আধুনিক যুগের বড় মাইলফলক ছিল MiG-21-এর প্রযুক্তি হস্তান্তর—যা চীনকেও সোভিয়েত ইউনিয়ন দিতে অস্বীকার করেছিল। HAL-এর তিনটি নতুন কারখানায় রাশিয়ান বিমান উৎপাদনের বড় অবকাঠামো গড়ে ওঠে।

পরবর্তী দশকগুলোতে MiG-23, MiG-27, MiG-29 এবং Su-27 সিরিজের বিমান যুক্ত হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৪৫ শতাংশ লড়াকু বিমান এখন Su-30MKI—যা ভারত-রাশিয়ার যৌথ নকশা।

রাশিয়া ভারতের ১১৪টি মাল্টি-রোল ফাইটার কেনার প্রকল্পে MiG-35 এবং Su-35 প্রস্তাব করেছে।

পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার
An-32 পরিবহন বিমান, IL-76 কৌশলগত পরিবহন বিমান, IL-78 ট্যাঙ্কার এবং ইসরায়েলি ফ্যালকন রাডারযুক্ত A-50 বিমান—সবই রাশিয়ান উৎসের। Mi-8, Mi-17, Mi-26 হেলিকপ্টারের দীর্ঘ ইতিহাস আছে ভারতের বাহিনীতে।

রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও নৌ-সহযোগিতা
MiG-21 এর সঙ্গে প্রথম K-13 ক্ষেপণাস্ত্র আসে। পরে R-73, R-27, R-77 যুক্ত হয়। ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র SA-2, SA-3 এবং SAM-8 ভারতীয় প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করে। ভারতের অন্যতম আধুনিক অস্ত্র ব্রহ্মোস—ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগ।

ভারত তিনটি S-400 সিস্টেম পেয়েছে; আরও দুটি ২০২৬ সালের মধ্যে আসবে।

নৌ-বাহিনীও বহু রাশিয়ান বিমান ও হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভরশীল। INS Vikramaditya বিমানবাহী রণতরী ভারত-রাশিয়া সামরিক নৌসহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি।

পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান
২০০৭ সালে Su-57–এর যৌথ উন্নয়নে ভারত যুক্ত হলেও পরে ২০১৮ সালে প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে। রাশিয়া নিজস্ব উদ্যোগে উন্নত Su-57 Felon তৈরি করেছে।

দুবাই এয়ারশোতে রাশিয়া ভারতের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা প্রস্তাব দেয়—Su-57 সম্পূর্ণ লাইসেন্সপ্রাপ্ত উৎপাদন, পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর ও ভারতেই যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব। এতে ইঞ্জিন, স্টেলথ প্রযুক্তি, রাডার, এভিওনিকস—সব বিষয়ে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মস্কো। বেস প্রাইস বলা হয়েছে মাত্র ৪৫ মিলিয়ন ডলার।

এটিকে অনেকেই “সবচেয়ে বড় প্রস্তাব” হিসেবে বর্ণনা করছেন।

বেসামরিক বিমান SJ-100–এর যৌথ উৎপাদন
HAL এবং রাশিয়ার UAC যৌথভাবে Sukhoi Superjet 100 (SJ-100) উৎপাদনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এটি প্রথমবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান উৎপাদন সহযোগিতা। দেশীয় এয়ারলাইনের আগ্রহই প্রকল্পের বাণিজ্যিক সফলতা নির্ধারণ করবে।

পুতিন সফরের সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়
বাংলাদেশ:

১. অবশিষ্ট S-400 সিস্টেম দ্রুত ডেলিভারি
২. অতিরিক্ত পাঁচটি S-400 কেনা
৩. S-500 সিস্টেমে সম্ভাব্য আগ্রহ
৪. ব্রহ্মোস প্রকল্প সম্প্রসারণ
৫. Su-30MKI–তে R-37M ক্ষেপণাস্ত্র যোগ
৬. Su-57–এর ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’ প্রকল্প হবে আলোচনার মূল বিষয়
৭. ভারত বছরে ৩৫–৪০টি যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করতে চায়—এর সঙ্গে রাশিয়ার প্রস্তাব সরাসরি সম্পর্কিত
৮. কুদানকুলাম পারমাণবিক প্রকল্পে অগ্রগতি
৯. গগনযান মানব মহাকাশ মিশনে রাশিয়ার সহায়তা
১০. সাবমেরিন প্রকল্প P-75I–এ রাশিয়ার অংশগ্রহণ প্রস্তাব
১১. ফ্রিগেট নির্মাণ, আইসব্রেকার নির্মাণে সহযোগিতা
১২. AK-203 রাইফেল উৎপাদন বৃদ্ধি
১৩. লজিস্টিকস চুক্তির অগ্রগতি
১৪. নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর, চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক রুট, পোলার রুটে সহযোগিতা

রাশিয়ার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভের ভাষায়—দুই দেশের অংশীদারিত্ব প্রসারের ক্ষেত্রে আকাশই সীমা।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনার লড়াইয়ে মালয়েশিয়ার ভরসা লিয়ং জুন হাও

পুতিনের ভারত সফর: যুদ্ধবিমান থেকে বাণিজ্যপথ—বৃহৎ চুক্তির সম্ভাবনা

১২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ ভারতে আসছেন দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিতে। ভূপৃষ্ঠ, সমুদ্র, আকাশ ও মহাকাশ—প্রায় সব ক্ষেত্রেই সামরিক ও বেসামরিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি নিয়ে বড় ধরনের আলোচনা হবে। কঠিন ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পশ্চিমাদের চাপের মধ্যেও ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর।

ভারত-রাশিয়া কৌশলগত সম্পর্কের দৃঢ়তা
পুতিনের এটি ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম ভারত সফর। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ভারত ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ থেকেও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থেকেছে—রাশিয়ান তেল আমদানি বৃদ্ধি এবং রুপিতে বাণিজ্য বজায় রেখে।

১৯৫০-এর দশক থেকে ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা শুরু হয়েছিল স্টিল প্ল্যান্ট ও বড় অবকাঠামো নির্মাণ দিয়ে। পরে প্রতিরক্ষা খাতে গভীর সহযোগিতা গড়ে ওঠে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ শতাংশ অস্ত্র এখনও রাশিয়া থেকে আসে।

দুই দেশের নেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কও দৃঢ়। পুতিন এখন পর্যন্ত নয়বার ভারতে এসেছেন; ডিসেম্বর সফর হবে দশমবার। মোদি সাতবার রাশিয়া সফর করেছেন।

ভারত-রাশিয়া বিমান সহযোগিতার শুরু
১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে IL-14, Mi-4, AN-12 পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার ভারতের বাহিনীতে যোগ হতে থাকে। আধুনিক যুগের বড় মাইলফলক ছিল MiG-21-এর প্রযুক্তি হস্তান্তর—যা চীনকেও সোভিয়েত ইউনিয়ন দিতে অস্বীকার করেছিল। HAL-এর তিনটি নতুন কারখানায় রাশিয়ান বিমান উৎপাদনের বড় অবকাঠামো গড়ে ওঠে।

পরবর্তী দশকগুলোতে MiG-23, MiG-27, MiG-29 এবং Su-27 সিরিজের বিমান যুক্ত হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৪৫ শতাংশ লড়াকু বিমান এখন Su-30MKI—যা ভারত-রাশিয়ার যৌথ নকশা।

রাশিয়া ভারতের ১১৪টি মাল্টি-রোল ফাইটার কেনার প্রকল্পে MiG-35 এবং Su-35 প্রস্তাব করেছে।

পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার
An-32 পরিবহন বিমান, IL-76 কৌশলগত পরিবহন বিমান, IL-78 ট্যাঙ্কার এবং ইসরায়েলি ফ্যালকন রাডারযুক্ত A-50 বিমান—সবই রাশিয়ান উৎসের। Mi-8, Mi-17, Mi-26 হেলিকপ্টারের দীর্ঘ ইতিহাস আছে ভারতের বাহিনীতে।

রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও নৌ-সহযোগিতা
MiG-21 এর সঙ্গে প্রথম K-13 ক্ষেপণাস্ত্র আসে। পরে R-73, R-27, R-77 যুক্ত হয়। ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র SA-2, SA-3 এবং SAM-8 ভারতীয় প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করে। ভারতের অন্যতম আধুনিক অস্ত্র ব্রহ্মোস—ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগ।

ভারত তিনটি S-400 সিস্টেম পেয়েছে; আরও দুটি ২০২৬ সালের মধ্যে আসবে।

নৌ-বাহিনীও বহু রাশিয়ান বিমান ও হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভরশীল। INS Vikramaditya বিমানবাহী রণতরী ভারত-রাশিয়া সামরিক নৌসহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি।

পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান
২০০৭ সালে Su-57–এর যৌথ উন্নয়নে ভারত যুক্ত হলেও পরে ২০১৮ সালে প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে। রাশিয়া নিজস্ব উদ্যোগে উন্নত Su-57 Felon তৈরি করেছে।

দুবাই এয়ারশোতে রাশিয়া ভারতের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা প্রস্তাব দেয়—Su-57 সম্পূর্ণ লাইসেন্সপ্রাপ্ত উৎপাদন, পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর ও ভারতেই যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব। এতে ইঞ্জিন, স্টেলথ প্রযুক্তি, রাডার, এভিওনিকস—সব বিষয়ে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মস্কো। বেস প্রাইস বলা হয়েছে মাত্র ৪৫ মিলিয়ন ডলার।

এটিকে অনেকেই “সবচেয়ে বড় প্রস্তাব” হিসেবে বর্ণনা করছেন।

বেসামরিক বিমান SJ-100–এর যৌথ উৎপাদন
HAL এবং রাশিয়ার UAC যৌথভাবে Sukhoi Superjet 100 (SJ-100) উৎপাদনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এটি প্রথমবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান উৎপাদন সহযোগিতা। দেশীয় এয়ারলাইনের আগ্রহই প্রকল্পের বাণিজ্যিক সফলতা নির্ধারণ করবে।

পুতিন সফরের সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়
বাংলাদেশ:

১. অবশিষ্ট S-400 সিস্টেম দ্রুত ডেলিভারি
২. অতিরিক্ত পাঁচটি S-400 কেনা
৩. S-500 সিস্টেমে সম্ভাব্য আগ্রহ
৪. ব্রহ্মোস প্রকল্প সম্প্রসারণ
৫. Su-30MKI–তে R-37M ক্ষেপণাস্ত্র যোগ
৬. Su-57–এর ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’ প্রকল্প হবে আলোচনার মূল বিষয়
৭. ভারত বছরে ৩৫–৪০টি যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করতে চায়—এর সঙ্গে রাশিয়ার প্রস্তাব সরাসরি সম্পর্কিত
৮. কুদানকুলাম পারমাণবিক প্রকল্পে অগ্রগতি
৯. গগনযান মানব মহাকাশ মিশনে রাশিয়ার সহায়তা
১০. সাবমেরিন প্রকল্প P-75I–এ রাশিয়ার অংশগ্রহণ প্রস্তাব
১১. ফ্রিগেট নির্মাণ, আইসব্রেকার নির্মাণে সহযোগিতা
১২. AK-203 রাইফেল উৎপাদন বৃদ্ধি
১৩. লজিস্টিকস চুক্তির অগ্রগতি
১৪. নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর, চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক রুট, পোলার রুটে সহযোগিতা

রাশিয়ার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভের ভাষায়—দুই দেশের অংশীদারিত্ব প্রসারের ক্ষেত্রে আকাশই সীমা।