সৌদি আরবের খনিজ খাত ২০২৪ সালে নতুন গতি পেয়েছে। দেশজুড়ে আবিষ্কৃত খনিজকেন্দ্রের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫,৬৫১–এ। Mineral Resources Statistics 2024 শীর্ষক বুলেটিনে এই তথ্য জানায় দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ GASTAT।
এই বিশাল তালিকায় অ-ধাতব খনিজই সবচেয়ে বেশি—৩,০৫৮টি, যা মোটের ৫৪.১ শতাংশ। ধাতব খনিজের অবস্থান দ্বিতীয়, সংখ্যা ২,৪২৩।
খনিজ সম্পদে নতুন মানচিত্র
GASTAT-এর সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ধাতব ও অ-ধাতব উভয় বৈশিষ্ট্যের খনিজসহ মোট ১৭০টি স্থানও তালিকাভুক্ত হয়েছে।
পাশাপাশি দেশটির খনন-লাইসেন্স ইস্যুতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। ২০১৬ সালে যেখানে লাইসেন্স ছিল ১,৯৮৫টি, ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২,৪০১। আট বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশ।
এ বছর জারি করা লাইসেন্সের মধ্যে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণের জন্য কোয়ারি লাইসেন্সই সবচেয়ে বেশি—১,৪৮১টি।

রপ্তানি–আমদানির ওঠানামা
ধাতব বাণিজ্যে বছরের উল্লেখযোগ্য দিক হলো অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি। ২০২৪ সালে রপ্তানি হয়েছে ২৮৩ হাজার টন, যা মোট অ্যালুমিনিয়াম বাণিজ্যের ৬২.৯ শতাংশ। আমদানি ছিল ১,৬৭ হাজার টন।
সীসা রপ্তানি ছিল শক্তিশালী—৫৯ হাজার টন, যা মোট বাণিজ্যের ৯৩.৭ শতাংশ।
জিঙ্কের ক্ষেত্রে চিত্র ভিন্ন। প্রায় সমগ্র বাজার নির্ভর করেছে আমদানির ওপর—৮৮ হাজার টন। রপ্তানি ছয় টনের বেশি হয়নি। নিকেল বাণিজ্য পুরোপুরি আমদানিনির্ভর, পরিমাণ ৪০৭ টন।
ফসফেট সার রপ্তানিতেও দেখা গেছে সূচকীয় বৃদ্ধি। ২০২৩ সালের ৫.৪ মিলিয়ন টন থেকে ২০২৪ সালে রপ্তানি বেড়ে হয়েছে ৫.৭ মিলিয়ন টন। প্রবৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ।
অন্যদিকে আমদানি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি—৬৬,২০০ টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১.৭ শতাংশ কম।
প্রথমবারের মতো প্রকাশিত এই বুলেটিন সৌদি আরবের খনিজ সম্পদে সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে—আবিষ্কৃত খনিজ এলাকা, ইস্যুকৃত খনন লাইসেন্স এবং খনিজ ও খনিজজাত পণ্যের আমদানি–রপ্তানি প্রবণতা মিলিয়ে নতুন এক তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে GASTAT।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















