টানাহ রাতার পাহাড়ি নীরবতা শুক্রবার রাতেই ভেঙে যায় টানা ভারি বর্ষণে। জলবৃষ্টির চাপে মাটি নড়ে ওঠে, আর সেই নড়াচড়াই পুঞ্চাক আরাবেল্লা অ্যাপার্টমেন্টের প্রধান প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৩০ মিটার নিচের ঢাল ভেঙে পড়ে নিচের দিকে—ভূমিধসের আয়তন বাড়ে, উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
ঝুঁকিপূর্ণ ব্লক সি থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় ১৩ পরিবারকে। ওই ব্লকে মোট ২৮টি ইউনিট থাকলেও মাত্র ১৩টিতে পরিবার বসবাস করছিল। নিরাপত্তা-ঝুঁকি মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত কেউই ফিরে যেতে পারবে না—এটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।

ভূমিধসের পর রাতভর উদ্ধার ও তদারকি
জেলার পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট আজরি রামলি জানান, চার পরিবারের ১৭ জন এখন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ভেতরের একটি হলে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকিরা আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে।
প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৩৪৬ পরিবারের বাসিন্দারা কয়েক ঘণ্টা আটকে ছিলেন। রাত ২টা ৩০ মিনিটে রাস্তা পরিষ্কার করে চলাচল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
আজরি আরও বলেন, রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে টানা বৃষ্টির কারণে মাটির সরণ শুরু হয়, আর কিছু সময়ের মধ্যেই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে।
এখন ঘটনাস্থলের মাটি ও ঢালের স্থিতি পরীক্ষা করছে খনিজ ও ভূতত্ত্ব বিভাগ। মূল্যায়নের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ব্লক সি আবার বসবাসের উপযোগী কি না।

বাসিন্দাদের মধ্যে অস্থিরতা, তবে প্রাণহানি নেই
ভূমিধসের কারণে দুদিকের যোগাযোগ দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকলেও সৌভাগ্যক্রমে কোনো আঘাত বা মৃত্যু ঘটেনি। তবে পুরো এলাকায় যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে, তা কাটতে সময় লাগবে।
আপাতত ব্লক সি–এর ১৩ পরিবার অপেক্ষায়—তাদের ঘর নিরাপদ ঘোষণা করা হলে তবেই তারা ফিরতে পারবে টানাহ রাতার সেই পাহাড়ঘেরা আবাসনে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















