এলন মাস্ক বললেন—যুক্তরাষ্ট্র যদি পুরোপুরি H-1B ভিসা বন্ধ করে দেয়, সেটি হবে “খুবই খারাপ” সিদ্ধান্ত। নিকিল কামাথের পডকাস্টে তিনি খোলামেলাভাবে ব্যাখ্যা করলেন, আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদি উত্থানের পেছনে ভারতীয় উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন মানুষের অবদান কতটাই গভীর।
ভারতীয় প্রতিভা ও আমেরিকার উত্থান
নিকিল কামাথ আলোচনার শুরুতেই বলেছিলেন—দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে “সবচেয়ে মেধাবী মানুষদের” টেনে নিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জনমত বদলে গেছে। কেন এতটা ‘অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন’ ভাব তৈরি হলো?
জবাবে এলন মাস্ক পরিষ্কারভাবে স্বীকার করেন—যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় প্রতিভা থেকে বিশালভাবে উপকৃত হয়েছে।
তার ভাষায়, “আমেরিকা অসাধারণভাবে লাভবান হয়েছে ভারত থেকে আসা প্রতিভাবান মানুষদের কারণে।”

এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং H-1B ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন। গত অক্টোবরেই নতুন আবেদনকারীদের জন্য ১ লাখ ডলারের ফি আরোপ করা হয়—যা স্থানীয় নাগরিক নিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে চাপ তৈরি করছে, আবার একই সঙ্গে ব্যবসায়িক মহলে তীব্র সমালোচনাও তুলেছে।
H-1B নিয়ে বিতর্ক: বাতিল নয়, অপব্যবহার বন্ধ করতে চান মাস্ক
মাস্ক মানেন—H-1B ব্যবস্থায় অপব্যবহার হয়েছে। কিছু আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়মকে ‘গেম’ করেছে।
কিন্তু সমাধান বাতিল নয়—সংশোধন।
তার কথায়, “সিস্টেমকে যারা অপব্যবহার করছে তাদের থামাতে হবে। পুরো ভিসা প্রোগ্রাম বন্ধ করা ঠিক পথ নয়।”
কিছু রক্ষণশীল গোষ্ঠীর দাবি—H-1B পুরোপুরি বন্ধ হওয়া উচিত। মাস্ক স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন—“এমনটি হলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে।”

সীমান্তনীতি, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও দক্ষ জনবল সংকট
মাস্ক পূর্বের বাইডেন প্রশাসনের সীমান্তনীতিকে “নিয়ন্ত্রণহীন” হিসেবে বর্ণনা করেন। তার মতে, নিয়ন্ত্রণ না থাকলে “আপনি কার্যত কোনো দেশই থাকেন না।”
তিনি বলেন—যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে অভিবাসন একটি জটিল বিভাজন সৃষ্টি করেছে।
বামপন্থীরা প্রায় ‘ওপেন বর্ডার’-এর মতো অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়।
ডানপন্থীদের মধ্যে আবার এমন ধারণা আছে—বিদেশ থেকে আসা মেধাবীরা তাদের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছে।
মাস্ক বলেন, শিথিল নিয়ন্ত্রণ বহু অবৈধ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে এবং একটি ‘নেগেটিভ সিলেকশন ইফেক্ট’ তৈরি হয়—যেখানে আর্থিক প্রণোদনা মানুষকে অনিয়মিত পথে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করতে উৎসাহিত করে।
তবু একদম ভিন্ন দিকটি তিনি জোর দিয়ে বলেন—দক্ষ জনবল সংকট বাস্তব।
“কঠিন চ্যালেঞ্জের কাজগুলো শেষ করতে যথেষ্ট দক্ষ মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। আরও দক্ষ মানুষ আসলে তা অবশ্যই ভালো।”
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















