০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি, চিকিৎসা সঠিকভাবে চলছে: ডা. জাহিদ মনউন্মোচনকারী উপন্যাস ‘লাইটব্রেকার্স’ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তালেবান ইস্যুতে বাড়ছে আফগান-পাকিস্তান উত্তেজনা জলব্যায়ামে প্রেম, আর শেষ পর্যন্ত পুলেই বিয়ে টেক্সাসে মুসলিম অধিকার সংস্থা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণার জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া খরা কি উন্নত সিন্ধু সভ্যতার অবসান ঘটিয়েছিল? ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: শীতের কাঁপুনিতে শুরু হলো ডিসেম্বর প্রযুক্তি ও কৌশলগত অংশীদারত্বেই ভারতের রূপান্তরের চাবিকাঠি মিথেন খাদক অণুজীব: দূষণ কমানোর নতুন সম্ভাবনা

কেন জিডিপি ‘গরম’ হলেও বাজার ‘ঠান্ডা’?

ভারতের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮.২ শতাংশে। এর ভিত্তিতে পুরো বছরের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭.৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে—যা ভারতের অবস্থানকে বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিশীল বড় অর্থনীতি হিসেবে আরও সুসংহত করে। কিন্তু জিডিপি এত শক্তিশালী হলেও গত এক বছরে ভারতীয় শেয়ারবাজার ঠান্ডা। নিফটি-৫০ সূচকের এক বছরের রিটার্ন ৮ শতাংশেরও কম, এবং এই সামান্য রিটার্নও এসেছে কয়েকটি বড়-ক্যাপ শেয়ারের হাত ধরে; অধিকাংশ শেয়ারই স্থির থেকেছে বা কমেছে।
যদিও জিডিপি বৃদ্ধির সুফল শেষ পর্যন্ত বাজারে পৌঁছায়, তবুও বর্তমানে কিছু কারণ মিলিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেট প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে খুব একটা প্রভাবিত হচ্ছে না।

জিডিপি: নামমাত্র ও প্রকৃত বৃদ্ধির পার্থক্য
অর্থনীতিবিদরা জিডিপিকে দুইভাবে দেখেন—নামমাত্র (nominal) ও প্রকৃত (real)। নামমাত্র জিডিপিতে দেশের মোট উৎপাদন বর্তমান মূল্যে হিসাব করা হয়। এরপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব বাদ দিতে একটি ‘ডেফ্লেটর’ ব্যবহার করা হয়, যাতে প্রকৃত উৎপাদন বৃদ্ধির হার স্পষ্ট হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রশ্ন থাকে—উৎপাদন সত্যিই কি বেড়েছে, নাকি শুধু দাম বাড়ার কারণে জিডিপি বেড়েছে?
এই পার্থক্য বোঝা যায় নামমাত্র ও প্রকৃত জিডিপির তুলনায়।

২০২৫-২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি ডেফ্লেটর ছিল মাত্র ০.৫ শতাংশ, ফলে নামমাত্র জিডিপি হয়েছে ৮.৭ শতাংশ। গত দশ বছরের গড় ডেফ্লেটর ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। নামমাত্র জিডিপি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকেই কোম্পানির আয়, পণ্যের দাম, মুনাফা, মজুরি ও কর—সবকিছু নির্ধারণে প্রভাব পড়ে। এটি দেখায় অর্থনীতির বর্তমান বাজারমূল্য।
এ কারণেই ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি ০.২৫ শতাংশে নেমে আসা, এবং সোনার প্রভাব বাদ দিলে ঋণাত্মক হওয়া—নীতিনির্ধারকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

বাজার যেহেতু সাধারণত ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিচার করতে নামমাত্র জিডিপির দিকে তাকায়, তাই প্রত্যাশার চেয়ে কম নামমাত্র জিডিপি বাজারের মনোভাবকে দুর্বল করেছে।

আইপিও ও ধাতুতে খুচরা বিনিয়োগের সরে যাওয়া
বাজার দুর্বল থাকার দ্বিতীয় কারণ—খুচরা বিনিয়োগকারীদের অর্থ সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে সরে আইপিও ও ধাতুতে চলে যাচ্ছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে খুচরা বিনিয়োগকারীরা সরাসরি শেয়ার থেকে ৪,৭২৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন, অথচ আইপিওতে বিনিয়োগ করেছেন ৩০,০০০ কোটি টাকা।
এই পোর্টফোলিও পরিবর্তন সেকেন্ডারি মার্কেটে খুচরা বিনিয়োগের গতি কমিয়ে দিয়েছে।

এ ছাড়া সোনা ও রৌপ্যে বিনিয়োগও বেড়েছে। অ্যামফি–এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সোনা–ভিত্তিক ইটিএফে প্রবাহ হয়েছে ১৭,০০০ কোটি টাকার বেশি। রূপা, ডিজিটাল গোল্ড ও সোনার বার–মুদ্রার হিসাব ধরলে এই অঙ্ক আরও বড় হবে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের (FII) অর্থপ্রবাহ কমে যাওয়া
তৃতীয় কারণ হলো, বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (FII) বিক্রি বেড়ে যাওয়া। সিডিএসএল–এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তারা নেট ২৭,০০০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। এর আগের বছরও তারা নেট ১.২৩ ট্রিলিয়ন টাকা তুলে নিয়েছিলেন।
বাজারের কিছু খাতে অতিরিক্ত মূল্যায়ন, নিরাপদ বিনিয়োগে ঝোঁক, অত্যন্ত শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি এবং ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির আশঙ্কা—এসব মিলে এদের ভারত থেকে সরে যাওয়া ত্বরান্বিত করেছে।
তবে ভারতীয় মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীরা এসআইপি–র মাধ্যমে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করায় বড় পতন ঠেকেছে।

আগামী মাসগুলোতে পরিস্থিতি বদলাতে পারে
এই সব কারণের বেশির ভাগই আগামী মাসগুলোতে উল্টো দিকে ঘুরতে পারে। পুরো বছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্য ২.৬ শতাংশ, পরের বছরের লক্ষ্য ৪ শতাংশ। এতে নামমাত্র–প্রকৃত জিডিপির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরবে এবং কোম্পানির আয় বাড়বে।
ভারত–মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগও কমবে।
করপোরেট মুনাফা কয়েকটি খাত ছাড়িয়ে আরও বিস্তৃত খাতে ছড়িয়ে পড়লে মূল্যায়ন–সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে।

ইতিমধ্যে রপ্তানি তথ্য বলছে—যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সীমিত। উদাহরণ হিসেবে সামুদ্রিক রপ্তানি: যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশে নেমেছে (২০২৪–২৫ তুলনা)। তারা চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, বেলজিয়াম, কানাডায় নতুন বাজার তৈরি করেছে।
রত্ন–গহনা রপ্তানিও একই প্রবণতা দেখাচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৭৬ শতাংশ কমলেও মোট রপ্তানি কমেছে মাত্র ১.৫ শতাংশ, কারণ ইউএই, হংকং ও বেলজিয়ামে রপ্তানি বেড়েছে।

খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা
একেবারে ‘সব–ইন’ বা ‘সব–আউট’ কৌশল অর্থ হারানোর নিশ্চিত পথ। সম্পূর্ণ পোর্টফোলিও ধাতু বা নগদে সরিয়ে ফেললে কর–সংক্রান্ত ঝামেলা বাড়বে, এবং বাজারে ফেরার সঠিক সময়ও ধরতে পারবেন না।
বিনিয়োগে বৈচিত্র্য বা ডাইভার্সিফিকেশনই খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য সেরা পথ। বরং বরাদ্দ অনুযায়ী পোর্টফোলিও সামান্য কাটছাঁট করুন, কিন্তু পুরোপুরি বেরিয়ে যাবেন না।

মোনিকা হালান : লেখক, ‘লেটস টক’ সিরিজের জনপ্রিয় অর্থ–বিষয়ক বইসমূহের রচয়িতা

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান

কেন জিডিপি ‘গরম’ হলেও বাজার ‘ঠান্ডা’?

১২:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮.২ শতাংশে। এর ভিত্তিতে পুরো বছরের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭.৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে—যা ভারতের অবস্থানকে বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিশীল বড় অর্থনীতি হিসেবে আরও সুসংহত করে। কিন্তু জিডিপি এত শক্তিশালী হলেও গত এক বছরে ভারতীয় শেয়ারবাজার ঠান্ডা। নিফটি-৫০ সূচকের এক বছরের রিটার্ন ৮ শতাংশেরও কম, এবং এই সামান্য রিটার্নও এসেছে কয়েকটি বড়-ক্যাপ শেয়ারের হাত ধরে; অধিকাংশ শেয়ারই স্থির থেকেছে বা কমেছে।
যদিও জিডিপি বৃদ্ধির সুফল শেষ পর্যন্ত বাজারে পৌঁছায়, তবুও বর্তমানে কিছু কারণ মিলিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেট প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে খুব একটা প্রভাবিত হচ্ছে না।

জিডিপি: নামমাত্র ও প্রকৃত বৃদ্ধির পার্থক্য
অর্থনীতিবিদরা জিডিপিকে দুইভাবে দেখেন—নামমাত্র (nominal) ও প্রকৃত (real)। নামমাত্র জিডিপিতে দেশের মোট উৎপাদন বর্তমান মূল্যে হিসাব করা হয়। এরপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব বাদ দিতে একটি ‘ডেফ্লেটর’ ব্যবহার করা হয়, যাতে প্রকৃত উৎপাদন বৃদ্ধির হার স্পষ্ট হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রশ্ন থাকে—উৎপাদন সত্যিই কি বেড়েছে, নাকি শুধু দাম বাড়ার কারণে জিডিপি বেড়েছে?
এই পার্থক্য বোঝা যায় নামমাত্র ও প্রকৃত জিডিপির তুলনায়।

২০২৫-২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি ডেফ্লেটর ছিল মাত্র ০.৫ শতাংশ, ফলে নামমাত্র জিডিপি হয়েছে ৮.৭ শতাংশ। গত দশ বছরের গড় ডেফ্লেটর ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। নামমাত্র জিডিপি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকেই কোম্পানির আয়, পণ্যের দাম, মুনাফা, মজুরি ও কর—সবকিছু নির্ধারণে প্রভাব পড়ে। এটি দেখায় অর্থনীতির বর্তমান বাজারমূল্য।
এ কারণেই ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি ০.২৫ শতাংশে নেমে আসা, এবং সোনার প্রভাব বাদ দিলে ঋণাত্মক হওয়া—নীতিনির্ধারকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

বাজার যেহেতু সাধারণত ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিচার করতে নামমাত্র জিডিপির দিকে তাকায়, তাই প্রত্যাশার চেয়ে কম নামমাত্র জিডিপি বাজারের মনোভাবকে দুর্বল করেছে।

আইপিও ও ধাতুতে খুচরা বিনিয়োগের সরে যাওয়া
বাজার দুর্বল থাকার দ্বিতীয় কারণ—খুচরা বিনিয়োগকারীদের অর্থ সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে সরে আইপিও ও ধাতুতে চলে যাচ্ছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে খুচরা বিনিয়োগকারীরা সরাসরি শেয়ার থেকে ৪,৭২৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন, অথচ আইপিওতে বিনিয়োগ করেছেন ৩০,০০০ কোটি টাকা।
এই পোর্টফোলিও পরিবর্তন সেকেন্ডারি মার্কেটে খুচরা বিনিয়োগের গতি কমিয়ে দিয়েছে।

এ ছাড়া সোনা ও রৌপ্যে বিনিয়োগও বেড়েছে। অ্যামফি–এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সোনা–ভিত্তিক ইটিএফে প্রবাহ হয়েছে ১৭,০০০ কোটি টাকার বেশি। রূপা, ডিজিটাল গোল্ড ও সোনার বার–মুদ্রার হিসাব ধরলে এই অঙ্ক আরও বড় হবে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের (FII) অর্থপ্রবাহ কমে যাওয়া
তৃতীয় কারণ হলো, বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (FII) বিক্রি বেড়ে যাওয়া। সিডিএসএল–এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তারা নেট ২৭,০০০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। এর আগের বছরও তারা নেট ১.২৩ ট্রিলিয়ন টাকা তুলে নিয়েছিলেন।
বাজারের কিছু খাতে অতিরিক্ত মূল্যায়ন, নিরাপদ বিনিয়োগে ঝোঁক, অত্যন্ত শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি এবং ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির আশঙ্কা—এসব মিলে এদের ভারত থেকে সরে যাওয়া ত্বরান্বিত করেছে।
তবে ভারতীয় মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীরা এসআইপি–র মাধ্যমে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করায় বড় পতন ঠেকেছে।

আগামী মাসগুলোতে পরিস্থিতি বদলাতে পারে
এই সব কারণের বেশির ভাগই আগামী মাসগুলোতে উল্টো দিকে ঘুরতে পারে। পুরো বছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্য ২.৬ শতাংশ, পরের বছরের লক্ষ্য ৪ শতাংশ। এতে নামমাত্র–প্রকৃত জিডিপির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরবে এবং কোম্পানির আয় বাড়বে।
ভারত–মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগও কমবে।
করপোরেট মুনাফা কয়েকটি খাত ছাড়িয়ে আরও বিস্তৃত খাতে ছড়িয়ে পড়লে মূল্যায়ন–সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে।

ইতিমধ্যে রপ্তানি তথ্য বলছে—যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সীমিত। উদাহরণ হিসেবে সামুদ্রিক রপ্তানি: যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশে নেমেছে (২০২৪–২৫ তুলনা)। তারা চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, বেলজিয়াম, কানাডায় নতুন বাজার তৈরি করেছে।
রত্ন–গহনা রপ্তানিও একই প্রবণতা দেখাচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৭৬ শতাংশ কমলেও মোট রপ্তানি কমেছে মাত্র ১.৫ শতাংশ, কারণ ইউএই, হংকং ও বেলজিয়ামে রপ্তানি বেড়েছে।

খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা
একেবারে ‘সব–ইন’ বা ‘সব–আউট’ কৌশল অর্থ হারানোর নিশ্চিত পথ। সম্পূর্ণ পোর্টফোলিও ধাতু বা নগদে সরিয়ে ফেললে কর–সংক্রান্ত ঝামেলা বাড়বে, এবং বাজারে ফেরার সঠিক সময়ও ধরতে পারবেন না।
বিনিয়োগে বৈচিত্র্য বা ডাইভার্সিফিকেশনই খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য সেরা পথ। বরং বরাদ্দ অনুযায়ী পোর্টফোলিও সামান্য কাটছাঁট করুন, কিন্তু পুরোপুরি বেরিয়ে যাবেন না।

মোনিকা হালান : লেখক, ‘লেটস টক’ সিরিজের জনপ্রিয় অর্থ–বিষয়ক বইসমূহের রচয়িতা