ভক্তদের অপেক্ষা আরও কিছুদিন
ব্রিটিশ ব্যান্ড রেডিওহেডের বহু প্রতীক্ষিত কোপেনহেগেন কনসার্ট স্থগিত হলো প্রধান গায়ক থম ইয়র্কের তীব্র গলার সংক্রমণের কারণে। ১ ও ২ ডিসেম্বর রয়্যাল অ্যারেনায় হওয়ার কথা ছিল যমজ কনসার্ট দুটি; নতুন সময়সূচিতে সেগুলো অনুষ্ঠিত হবে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর। ব্যান্ড জানিয়েছে, ইয়র্ক এখন গান গাওয়ার মতো অবস্থায় নেই এবং চিকিৎসাধীন আছেন—এই অবস্থায় মঞ্চে ওঠা তার দীর্ঘমেয়াদি কণ্ঠস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতো। আগের কেনা টিকিট দুটি নতুন তারিখেও কার্যকর থাকবে।
হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ট্যুর সূচিতে কিছু বাড়তি চাপ পড়েছে। রেডিওহেড ৮ থেকে ১২ ডিসেম্বর বার্লিনের উবার অ্যারেনায় টানা চার রাত পারফর্ম করবে—সাত বছর পর বড় মঞ্চে ফেরা ব্যান্ডের জন্য এই সময়সূচি আগেই ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে ব্যান্ড জানিয়েছে, এর আগের কয়েকটি শহরে যে উচ্ছ্বাস ও উষ্ণতা তারা পেয়েছে, তা তাদের ফিরিয়ে আনা সিদ্ধান্তকে আরও দৃঢ় করেছে।
মঞ্চে ফেরার প্রতীকী মুহূর্ত
২০১০–এর শেষ দিকের পর এই প্রথম রেডিওহেড পুরো ব্যান্ড নিয়ে বড় আকারে ট্যুরে নেমেছে। সদস্যরা বলছেন, প্রথমে নৈমিত্তিক জ্যাম সেশন দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে আবার সেই পুরোনো সুরের রসায়ন ফিরে এসেছে। নতুন কোনও তারিখ এখনো ঘোষণা না থাকায়, বর্তমান ট্যুরের প্রতিটি রাত হয়ে উঠেছে ভক্তদের কাছে বিশেষ অভিজ্ঞতা।
থম ইয়র্কের কণ্ঠের স্বভাবই এমন—নরম ফ্যালসেটো থেকে উচ্চ তালের বিস্ফোরক অংশ—যা গলায় প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে। চিকিৎসকরা সাধারণত এমন সংক্রমণে পূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর পানি এবং কথা বলাও সীমিত করার পরামর্শ দেন। তাই কনসার্ট পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া নিরাপদ পথ ছিল না। যারা নতুন তারিখে থাকতে পারবেন না, তারা তাদের টিকিট ফেরত নিতে পারবেন আগের বিক্রয়কেন্দ্র থেকেই।
সেরে ওঠার আশা
অনলাইনে ভক্তরা ইতিমধ্যে ইয়র্কের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছেন। অনেকে লিখেছেন, “ভালো পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য এই অপেক্ষা কোনও ব্যাপার না।” প্রথম কয়েকটি শো যে আবেগময় ও শক্তিতে ভরা ছিল, সেসব স্মৃতি থেকেই তারা আরও উৎসাহ পাচ্ছেন।
বছর শেষ হওয়ার আগে রেডিওহেডের আরও বেশ কয়েকটি বড় শো রয়েছে। ব্যান্ড আশা করছে, ইয়র্ক যথাসময়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং বাকি তারিখগুলো পরিকল্পনা মতোই চলবে। দুইটি স্থগিত শো বার্লিনের ম্যারাথন পারফরম্যান্সের দুই প্রান্তে গিয়ে মিলেছে—ফলে ব্যান্ডের জন্য সময়সূচি আরও ঘন হয়ে উঠেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে প্রমাণ হবে, তারা কতটা সফলভাবে শিল্পীসত্তার গতি ও শারীরিক বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















