জাতীয় পরিচয়, মূল্যবোধ এবং ভাষার সুরক্ষা: জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের ভূমিকা
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট, জাতির ৫৪তম ইদ আল-এতিহাদ উপলক্ষে একটি আবেগপূর্ণ বার্তা প্রদান করেছেন, যেখানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশটির যাত্রা, আমাদের পরিবারের ঐক্য এবং আমাদের সমাজের শক্তির মাধ্যমে আরও সামনে এগিয়ে যাবে।” প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ ভবিষ্যত প্রজন্মের গুরুত্বের উপরও আলোকপাত করেন, যারা দেশটির অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের মূল চালিকাশক্তি হবে।
সংস্কৃতি ও শিক্ষা: জাতীয় মূল্যবোধ রক্ষার অঙ্গীকার
শেখ মোহাম্মদ জাতির জাতীয় পরিচয়, মূল্যবোধ এবং আরবি ভাষার সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের জাতীয় পরিচয়, মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং আরবি ভাষার রক্ষা করা একটি জাতীয় অগ্রাধিকার এবং এটি প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব।” তিনি বলেন, বিশেষত শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঐক্য: ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মডেল
উল্লেখযোগ্যভাবে, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম, UAE-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী, ১৯৭১ সালে জাতির প্রতিষ্ঠাতা পিতাদের ঐক্যের অনন্য মডেল তৈরি করার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “তারাই বিশ্বের কাছে একটি একাত্মতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যখন তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিত্তি স্থাপন করেন।”
উন্নতির পথে শিশুদের ভূমিকা
জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য শিশুদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ মোহাম্মদ বলেন, দেশের উন্নতির জন্য শিশুদের মধ্যে সঠিক মূল্যবোধের বিকাশ প্রয়োজন, যা সমাজের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অগ্রগতির মূল শক্তি হবে।
৫৪তম ইদ আল-ইতিহাদ উপলক্ষে জন্মগ্রহণকারী শিশুর: একাত্মতার প্রতীক
৫৪তম ইদ আল-এতিহাদ উপলক্ষে বিভিন্ন পরিবার তাদের নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, আলজেরীয় মা লামিয়া মেরমাত ৩.১১০ কেজি ওজনের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, যার নাম তারা রেখেছেন মক্কা। একই দিনে পাকিস্তানি পরিবার হামুদ উর রহমান ও আন্দলিব সালিম তাদের চতুর্থ সন্তান, ছেলে উমরকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশি পরিবার রাখী রানী এবং সুমন চন্দ্র শর্মা তাঁদের প্রথম সন্তান, একটি মেয়ে, ১২:১৯ মিনিটে, জাতীয় দিবসে পৃথিবীতে আনার সময় অনুভূতি শেয়ার করেছেন।

এছাড়া আরও বিভিন্ন দেশের পরিবার যেমন ভারতীয়, ওমানি, এবং এমিরাতি পরিবারও তাঁদের সন্তানদের জন্মদিন উদযাপন করেছেন, যা দেশের ঐক্য এবং বৈচিত্র্যের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ অবদান
যে হাসপাতালগুলিতে এই শিশুরা জন্মগ্রহণ করেছেন, সেখানে চিকিৎসকরা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের অবদানের কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে, এমিরাতি ও বিদেশি শিশুর জন্মের সময়, তারা এই জাতীয় দিনে শিশুর জন্মের আনন্দকে জাতির একাত্মতার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
একাত্মতা এবং সমৃদ্ধির শক্তি
এটি স্পষ্ট যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫৪তম ইদ আল-এতিহাদ উপলক্ষে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা শুধু ব্যক্তিগত আনন্দের প্রতীক নয়, বরং দেশটির ঐক্য, বৈচিত্র্য, এবং সমৃদ্ধির শক্তি এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের প্রতি জাতির অঙ্গীকারের প্রতিফলনও।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















