নয়াদিল্লিতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, যৌথ উৎপাদন ও স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প গঠনে নতুন সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। রাশিয়া এ ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার গুরুত্ব
নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ‘ভারত–রাশিয়া আন্তঃসরকার সামরিক ও সামরিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কমিশন’–এর ২২তম বৈঠকে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও আন্দ্রেই বেলুসভ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। মোদি–পুতিন বৈঠকের আগের দিন এই বৈঠক হওয়ায় এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুই পক্ষই উল্লেখ করেছে যে ভারত–রাশিয়া সম্পর্ক বহুদিনের আস্থা, যৌথ নীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাশিয়া ভারতকে স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
অপারেশন ‘সিন্ধূর’-এ রুশ অস্ত্রের ভূমিকা
রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে চার দিনের সামরিক সংঘাতে ভারতের ‘অপারেশন সিন্ধূর’-এ রুশ তৈরি বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র, বিশেষ করে এস–৪০০ মোতায়েন করা হয়েছিল। এতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রাধিকার
রাজনাথ সিং বলেন, স্থানীয় উৎপাদন ও রপ্তানি—উভয় ক্ষেত্রেই ভারতের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা এখন সরকারের অগ্রাধিকার। আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও যৌথ উৎপাদন বাড়াতে ভারত আগ্রহী।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। তিনি রাজনাথ সিংকে ২০২৬ সালে রাশিয়ায় আয়োজিত ২৩তম কমিশন সভা যৌথভাবে পরিচালনার আমন্ত্রণ জানান।
প্রোটোকল স্বাক্ষর ও শ্রদ্ধা নিবেদন
বৈঠকের শেষে দুই মন্ত্রী কমিশনের প্রোটোকলে স্বাক্ষর করেন, যেখানে চলমান ও ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে দুই নেতা জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
#defence #IndiaRussia #RajnathSingh #MilitaryCooperation
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















