চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রধান ব্যাংকগুলি এই সপ্তাহে অনশোর স্পট মার্কেটে ডলার কিনেছে এবং সেগুলি ধরে রেখে ইউয়ানের শক্তিশালী বৃদ্ধি রোধ করার চেষ্টা করেছে, এমন খবর পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলি এই কৌশলটি ব্যবহার করছে যেন ইউয়ান দ্রুত বৃদ্ধি না পায় এবং একই সঙ্গে মার্কেটে ডলার লিকুইডিটি কমিয়ে, দীর্ঘমেয়াদী ইউয়ান পজিশন নেওয়ার খরচ বাড়ানো যায়।
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলির কৌশল
চীনের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলি ইউয়ানকে কিছুটা প্রশমিত করতে ডলার কিনেছে, এমনটি নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন সূত্র। একদিকে ইউয়ান বুধবার ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছানোর পর, এই ব্যাংকগুলির কৌশল ইউয়ান বৃদ্ধির গতি কিছুটা থামানোর লক্ষ্যেই ছিল। তবে, এই ব্যাংকগুলি সাধারণত ডলার কিনে সেগুলি সুইপ মার্কেটে পুনরায় ঢেলে দেয়, কিন্তু এবার তারা তা করেনি। বরং, তারা ডলার কিনে সেগুলি ধরে রেখেছে, যা সম্ভবত ইউয়ান-বিরোধী বাণিজ্য সীমিত করার উদ্দেশ্যে।
মুদ্রাবাজারের প্রতিক্রিয়া
এমন সিদ্ধান্তের পর, ইউয়ান কিছুটা দুর্বল হয়েছে এবং ৭.০৭২-এর দিকে নেমে গেছে ডলারের বিপরীতে। এর আগেও, ইউয়ান একদিনে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর, বাজারে একটু দুর্বলতা দেখা যায়। এছাড়া, ব্যাংকগুলির এমন কর্মকাণ্ডের কারণে দীর্ঘমেয়াদী ইউয়ান পজিশন ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ ডলারের সাথে তুলনায় ইউয়ানের সুদের হারের পার্থক্য লাভের জন্য উপযুক্ত নয়।

ইউয়ান এবং ডলারের পার্থক্য
চীনের ইউয়ান এই বছর প্রায় ৩.৩% শক্তিশালী হয়েছে এবং ২০২০ সালের পর এটি সবচেয়ে বড় বার্ষিক বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে রয়েছে। যদিও সরকার ইউয়ানের উন্নতির প্রতি সমর্থন প্রদান করছে, তবে তারা চাইছে যে এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাক, যাতে হঠাৎ করে রপ্তানিকারকদের দ্বারা ইউয়ান কেনা না হয় এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা তৈরি হয়।
উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলির এই কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল ইউয়ানের বৃদ্ধির গতি নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে এটি একটি ধারাবাহিক এবং স্থিতিশীল বৃদ্ধি লাভ করে। তবে এটি একেবারে বিপরীত পথে কোনো বড় ধরনের ধাক্কা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ছিল না। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলি কখনো কখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ট্রেড করে, আবার কখনো তারা নিজেদের লাভের জন্য কিংবা ক্লায়েন্টদের জন্যও ট্রেড করতে পারে।
চীন সরকারের প্রতিক্রিয়া
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক অফ চায়না, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















