ঢাকার “তেজগাঁও” ঘাঁটি তেজগাঁও বিমানবন্দর ইত্যবসরেই ব্রিটিশদের পুরানো একটি সামরিক বিমান ঘাঁটির পরিচয় পেয়েছে…….
ট্রেনিং শেষে অ্যান্থনি ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বীচ থেকে ভারতগামী একটি পরিবহণ বিমানে আরোহণ করেন। ওড়ার পথে বিমানটি আজোরস দ্বীপ, ম্যারাকাস, ত্রিপলি এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি স্থানে যাত্রাবিরতি করে করে অবশেষে করাচি বিমান বন্দরে এসে অবতরণ করে। করাচিতে অ্যান্থনির বিমান যাত্রার ইতি ঘটে। করাচিতে তিনি গোয়ালন্দগামি একটি ট্রেনে উঠে বসেন।
ট্রেনটি তাঁকে করাচি থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে গোয়ালন্দে পৌছে দেয়, শেষ হয় সুদীর্ঘ ট্রেন যাত্রার। এখন গোয়ালন্দ থেকে অ্যান্থনিকে নারায়ণগঞ্জে আসতে হবে, লঞ্চ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। লঞ্চে করে তিনি চলে আসেন নিজের গন্তব্যস্থলে। একেবারেই কাছে, তিনি তাই নারায়ণগঞ্জ-তেজগাঁও রুটের ট্রেনে চেপে সোজা নারায়ণগঞ্জে আসেন, এখান থেকে তাঁর গন্তব্যস্থান ঢাকার “তেজগাঁও” ঘাঁটি তেজগাঁও বিমানবন্দর ইত্যবসরেই ব্রিটিশদের পুরানো একটি সামরিক বিমান ঘাঁটির পরিচয় পেয়েছে।
কিন্তু হলে কি হবে “ঘাঁটিটির কেমন করুণ শোচনীয় অবস্থা” দেখে খুব দমে গেলেন অ্যান্থনি। তাঁর ভারি অবাক লাগল যে তাঁর আসার আগ পর্যন্ত এখানে কোনো আমেরিকান বিমান রাখা হয়নি। অবশ্য অ্যান্থনির আসার দুই সপ্তাহের মধ্যেই তেজগাঁও বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান আসা শুরু করে এবং অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে বিমানবহরের সংখ্যা একশ’ বিরানব্বই-য়ে এসে দাঁড়ায়।
১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অ্যান্তনি যখন তেজগাঁও বিমান ঘাঁটিতে যোগদান করেন, সেই সময়ে চীনের জাতীয়তাবাদী পার্টির প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাইশেক ও আমেরিকান জেনারেল স্টিলওয়েলের মধ্যে চলমান মতানৈকা তিক্ততার চরম বিন্দুতে চলে গিয়েছিল।
(চলবে)
নাঈম হক 


















