১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
কীভাবে ‘দ্য করেসপন্ডেন্ট’ একটি অনুভূতিপ্রবণ সাহিত্যিক সাফল্য হয়ে উঠল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৮) বৈশ্বিক এআই কেন্দ্র হতে হলে ভারতকে বিদ্যুৎ অবকাঠামো আধুনিক করতে হবে সৌদি আরবে উৎসবের চলচ্চিত্র উৎসবের জাদু রিওতে তালিপট পাম গাছ ফুলে উঠছে প্রথম এবং এক বার মাত্র আপনার অডিও বুক এ সিজনে এইবার সস্তা হতে পারে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৫) মাইকেল ওভিটজ: এক প্রাক্তন হলিউড টাইটানের সংগ্রহশালা-স্টাইলের বাসা নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একচেটিয়া আলোচনায় ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকভারির স্টুডিও বিক্রি ডিসেম্বরে বাজারে আসছে অ্যামাজনের নতুন কালার কিণ্ডল স্ক্রাইব

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৮)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 7

১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর্নল্ড পিয়ানো-বাদক “লিয়াহ পজনার”-কে বিয়ে করেন…..

যুদ্ধ শেষে ঘরে ফেরা আর্নল্ড স্পিলবার্গ “ওহাইয়ো” অঙ্গরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটি’-তে ভর্তি হন এবং যথারীতি সেখান থেকে ইলেকট্রিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষে, ১৯৪৯ সালে তিনি প্রথমে “আরসিএ” কর্পোরেশনে যোগদান করেন। কয়েক বছর বাদে, ১৯৫৭ সালে তিনি “জিই” (জেনারেল ইলেকট্রিক) কর্পোরেশনে চলে আসেন; ১৯৬০-এর দশকে “জিই” যে “জিই-২০০” সিরিজের কমপিউটার তৈরি করেছিল- সেগুলোর বিকাশকর্মে আর্নল্ড ছিলেন নিমিত্তস্বরূপ।

১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর্নল্ড পিয়ানো-বাদক “লিয়াহ পজনার”-কে বিয়ে করেন। তাঁরা: এক ছেলে সিটভেন (স্পিলবার্গ) এবং তিন কন্যা। অ্যান, ন্যান্সি ও সিউ’র পিতা-মাতা ছিলেন।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট আর্নল্ড ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেসে মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল ১০৩ বছর।

অ্যান্থনি এবং চেনল্ট, স্টিলওয়েলের সৈনিক জীবন

“তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা, দুই জায়গাতেই ডিউটি দিয়েছি আমি” -ফোনে কথা বলার সময় অ্যান্থনি সিলভা আমাকে বললেন; ওঁর সঙ্গে ফোনে আমার প্রথম কথা হয় ২০০৪ সালের বারোই ফেব্রুয়ারি।

অ্যান্থনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন ১৯৪৩ সালে। বিমান রক্ষণাবেক্ষণের ট্রেনিং তিনি পান যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে অবস্থিত ইউএস আর্মি এয়ারফোর্স স্কুলে। ট্রেনিং শেষে তাঁকে পাঠানো হয় নিউ ইয়র্কের বাফেলো’তে অবস্থিত বিমান নির্মাণ কারখানা “কার্টিস এয়ারক্র্যাফট ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট” নামক বিমান তৈরির কারখানায়। সেখানে অ্যান্থনির কাজ ছিলো সি-৪৬ পরিবহণ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি শেখা, রপ্ত করা।

কারণ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ভারতবর্ষ থেকে চীনে জ্বালানি ও অন্যান্য সাপ্লাই প্রেরণে সি-৪৬ ব্যবহার হতো এবং হতো ব্যাপকহারে। তদুপরি বিমানকে ভারতের দিক থেকে হিমালয় পর্বতমালার নানা উচ্চতার শিখরমালা টপকে চীনে যেতে হতো, সেখানে জ্বালানি ও সাপ্লাইয়ের খালাস দিয়ে চীন থেকে আবারো হিমালয় পর্বতমালার শিখর টপকে ভারতে ফিরে আসতে হতো।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কীভাবে ‘দ্য করেসপন্ডেন্ট’ একটি অনুভূতিপ্রবণ সাহিত্যিক সাফল্য হয়ে উঠল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৮)

০৯:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর্নল্ড পিয়ানো-বাদক “লিয়াহ পজনার”-কে বিয়ে করেন…..

যুদ্ধ শেষে ঘরে ফেরা আর্নল্ড স্পিলবার্গ “ওহাইয়ো” অঙ্গরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটি’-তে ভর্তি হন এবং যথারীতি সেখান থেকে ইলেকট্রিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষে, ১৯৪৯ সালে তিনি প্রথমে “আরসিএ” কর্পোরেশনে যোগদান করেন। কয়েক বছর বাদে, ১৯৫৭ সালে তিনি “জিই” (জেনারেল ইলেকট্রিক) কর্পোরেশনে চলে আসেন; ১৯৬০-এর দশকে “জিই” যে “জিই-২০০” সিরিজের কমপিউটার তৈরি করেছিল- সেগুলোর বিকাশকর্মে আর্নল্ড ছিলেন নিমিত্তস্বরূপ।

১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর্নল্ড পিয়ানো-বাদক “লিয়াহ পজনার”-কে বিয়ে করেন। তাঁরা: এক ছেলে সিটভেন (স্পিলবার্গ) এবং তিন কন্যা। অ্যান, ন্যান্সি ও সিউ’র পিতা-মাতা ছিলেন।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট আর্নল্ড ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেসে মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল ১০৩ বছর।

অ্যান্থনি এবং চেনল্ট, স্টিলওয়েলের সৈনিক জীবন

“তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা, দুই জায়গাতেই ডিউটি দিয়েছি আমি” -ফোনে কথা বলার সময় অ্যান্থনি সিলভা আমাকে বললেন; ওঁর সঙ্গে ফোনে আমার প্রথম কথা হয় ২০০৪ সালের বারোই ফেব্রুয়ারি।

অ্যান্থনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন ১৯৪৩ সালে। বিমান রক্ষণাবেক্ষণের ট্রেনিং তিনি পান যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে অবস্থিত ইউএস আর্মি এয়ারফোর্স স্কুলে। ট্রেনিং শেষে তাঁকে পাঠানো হয় নিউ ইয়র্কের বাফেলো’তে অবস্থিত বিমান নির্মাণ কারখানা “কার্টিস এয়ারক্র্যাফট ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট” নামক বিমান তৈরির কারখানায়। সেখানে অ্যান্থনির কাজ ছিলো সি-৪৬ পরিবহণ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি শেখা, রপ্ত করা।

কারণ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ভারতবর্ষ থেকে চীনে জ্বালানি ও অন্যান্য সাপ্লাই প্রেরণে সি-৪৬ ব্যবহার হতো এবং হতো ব্যাপকহারে। তদুপরি বিমানকে ভারতের দিক থেকে হিমালয় পর্বতমালার নানা উচ্চতার শিখরমালা টপকে চীনে যেতে হতো, সেখানে জ্বালানি ও সাপ্লাইয়ের খালাস দিয়ে চীন থেকে আবারো হিমালয় পর্বতমালার শিখর টপকে ভারতে ফিরে আসতে হতো।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)