০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)

  • নাঈম হক
  • ০৫:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 8

৪৯০তম বোমার্চমেন্ট স্কোয়াড্রনের ভূতপূর্ব বিমানকর্মিদের বা ভেটারানদের নিয়ে সংগঠিত সংস্থায় সক্রিয় কর্মি…

ইম্‌ফল ফ্রন্টে, ১৯৪৪ সালের ২৩ জুন ব্রিটিশ ভারত বাহিনী ইম্‌ফল আক্রমণ করে, জাপানি অবরোধের সমাপ্তি ঘটে। ইম্‌ফল বিজয় ছিল এশিয়া রণাঙ্গণে অ্যাংলো-আমেরিকান মিত্রজোটের গুরুত্বপূর্ণ বিজয়সমূহের মধ্যে একটি। এবং আসন্ন মাসগুলোর মধ্যে বার্মায় জাপানি বাহিনীর সর্বাত্মক পরাজয়ের পূর্বসূচক।

ইভো গ্রীনওয়েলসহ কুর্মিটোলার ঘাঁটিতে ‘এনলিস্টেড’ ক্রু’রা এরকম “বাসা”য় থাকতেন।

৪৯০তম বিএস-এর একটি অগ্রগামী দল আকাশপথে আসামের দেরগাঁও-এ চলে যায়- আগত দিনগুলোর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে নতুন একটি ঘাঁটি স্থাপন করতে। ৪৯০তম বিএস-এর অবশিষ্ট লোকবল, কুর্মিটোলায় প্রায় পনেরো মাসের কর্মকাণ্ড সমাপ্তির পরে, ১৯৪৪ সালের ২৬ আগস্ট আকাশপথে চলে যান আসামের দেরগাঁও-এ।

যুদ্ধ শেষে

ইতো রডরিগ গ্রীনওয়েলও আর সব মার্কিন এয়ারক্রুদের মতো দেখে ফিরে আসেন। ইতিপূর্বে, ১৯৪৪ সালের জানুয়ারি মাসে, কুর্মিটোলার ডিউটিরত ইভো যখন ছুটি কাটাতে দেশে যান সেসময়ে “লুসিল কে বিয়ে কর দেশে রেখে আবার কুর্মিটোলায় ফিরে আসেন। যুদ্ধফেরত ইভো ও লুসিধেং পুনর্মিলন হয়। ঘরে ফেরার পরে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ইভো সাময়িং ক্যারিয়ার থেকে চলে আসেন এবং “ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত প্রিসি শিল্পে যোগদান করেন।

এককথায় বললে বলতে হয় যে ইভো ছিলেন ৪৯০তম বোমার্চমেন্ট স্কোয়াড্রনের ভূতপূর্ব বিমানকর্মিদের বা ভেটারানদের নিয়ে সংগঠিত সংস্থায় সক্রিয় কর্মি। তিনি ছিলেন ‘৪৯০তম পুনর্মিলন’ আয়োজনের প্রধান উদোক্ত ও প্রাণপুরুষ।

ব্যক্তিগত জীবনে ইভো ও লুসিল ছিলেন চার কন্যা- মেরি, স্যান্ডি, জেনিফ ও গেইল-এর পিতা-মাতা।

২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইভো ওকলাহোমা’র “টালসা’তে মারা যান।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৬)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৭)

০৫:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

৪৯০তম বোমার্চমেন্ট স্কোয়াড্রনের ভূতপূর্ব বিমানকর্মিদের বা ভেটারানদের নিয়ে সংগঠিত সংস্থায় সক্রিয় কর্মি…

ইম্‌ফল ফ্রন্টে, ১৯৪৪ সালের ২৩ জুন ব্রিটিশ ভারত বাহিনী ইম্‌ফল আক্রমণ করে, জাপানি অবরোধের সমাপ্তি ঘটে। ইম্‌ফল বিজয় ছিল এশিয়া রণাঙ্গণে অ্যাংলো-আমেরিকান মিত্রজোটের গুরুত্বপূর্ণ বিজয়সমূহের মধ্যে একটি। এবং আসন্ন মাসগুলোর মধ্যে বার্মায় জাপানি বাহিনীর সর্বাত্মক পরাজয়ের পূর্বসূচক।

ইভো গ্রীনওয়েলসহ কুর্মিটোলার ঘাঁটিতে ‘এনলিস্টেড’ ক্রু’রা এরকম “বাসা”য় থাকতেন।

৪৯০তম বিএস-এর একটি অগ্রগামী দল আকাশপথে আসামের দেরগাঁও-এ চলে যায়- আগত দিনগুলোর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে নতুন একটি ঘাঁটি স্থাপন করতে। ৪৯০তম বিএস-এর অবশিষ্ট লোকবল, কুর্মিটোলায় প্রায় পনেরো মাসের কর্মকাণ্ড সমাপ্তির পরে, ১৯৪৪ সালের ২৬ আগস্ট আকাশপথে চলে যান আসামের দেরগাঁও-এ।

যুদ্ধ শেষে

ইতো রডরিগ গ্রীনওয়েলও আর সব মার্কিন এয়ারক্রুদের মতো দেখে ফিরে আসেন। ইতিপূর্বে, ১৯৪৪ সালের জানুয়ারি মাসে, কুর্মিটোলার ডিউটিরত ইভো যখন ছুটি কাটাতে দেশে যান সেসময়ে “লুসিল কে বিয়ে কর দেশে রেখে আবার কুর্মিটোলায় ফিরে আসেন। যুদ্ধফেরত ইভো ও লুসিধেং পুনর্মিলন হয়। ঘরে ফেরার পরে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ইভো সাময়িং ক্যারিয়ার থেকে চলে আসেন এবং “ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত প্রিসি শিল্পে যোগদান করেন।

এককথায় বললে বলতে হয় যে ইভো ছিলেন ৪৯০তম বোমার্চমেন্ট স্কোয়াড্রনের ভূতপূর্ব বিমানকর্মিদের বা ভেটারানদের নিয়ে সংগঠিত সংস্থায় সক্রিয় কর্মি। তিনি ছিলেন ‘৪৯০তম পুনর্মিলন’ আয়োজনের প্রধান উদোক্ত ও প্রাণপুরুষ।

ব্যক্তিগত জীবনে ইভো ও লুসিল ছিলেন চার কন্যা- মেরি, স্যান্ডি, জেনিফ ও গেইল-এর পিতা-মাতা।

২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইভো ওকলাহোমা’র “টালসা’তে মারা যান।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৬)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৬)