০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ায় চীনের প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থান  মৈত্রী দিবসে প্রণয় ভার্মা ‘সাবসিডিতে হবে না’—চিনি শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ চাই: উপদেষ্টা আদিলুর  মানিকগঞ্জে কালিগঙ্গা নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার পরস্পরনির্ভরতা ও পারস্পরিক সুফলই এগিয়ে নেবে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: প্রণয় ভার্মা নিউ সাউথ ওয়েলসে ভয়াবহ বুশফায়ার, হাজারো মানুষকে সরে যেতে নির্দেশ মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে লেডি গাগার তুমুল প্রত্যাবর্তন জাপানে রেকর্ডসংখ্যক ভাল্লুক হামলা, মানব–বন্যপ্রাণী সহাবস্থানের বড় সতর্কবার্তা ইইউর টেকসই আইন নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে কাতার, গ্যাস সরবরাহ ঝুঁকির ইঙ্গিত

অবিলম্বে বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের জাতীয় সমাবেশ

অবিলম্বে জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট কার্যকরসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকায় গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

জাতীয় সমাবেশের আয়োজন

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে ১৫ আবদুল গণি রোড, সচিবালয় সড়ক এলাকায় সকাল ১০টায় জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম এবং সঞ্চালনা করেন মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এবং প্রায় দশ হাজারের বেশি গণকর্মচারী সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মচারীদের ভূমিকা ও ন্যায্য প্রাপ্য বাস্তবায়নের দাবি

সংগঠনের নীতি-নির্ধারনী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান আজাদ বলেন, সরকারি কর্মচারীরাই রাষ্ট্রের কর্মযজ্ঞের প্রধান শক্তি। তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত না করলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়। তিনি জানান, ২০ লক্ষ কর্মচারীর দাবি অনুযায়ী বেতন কমিশনের সুপারিশ আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পাঁচ দফা দাবি

সমাবেশে মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন—

১. সরকারের ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি ও জানুয়ারি ২০২৬ থেকে তা কার্যকর।
২. টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল এবং সচিবালয়ের মতো এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে জাতীয় সার্ভিস কমিশন গঠন।
৩. ওয়ার্কচার্জ, কন্টিনজেন্ট পেইড, মাস্টাররোল এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক সকল অস্থায়ী কর্মচারীর চাকরি নিয়মিতকরণ ও ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত রেশন নিশ্চিত করা।


৪. আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রথা বাতিল করে শূন্য পদে রাজস্বখাতে নিয়োগ এবং ব্লকপোস্টে পদোন্নতির ব্যবস্থা।
৫. আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারা অনুযায়ী সকল দপ্তরের গণকর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা।

অতিথিদের বক্তব্য

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ব্যাংক ফেডারেশন বাংলাদেশের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ডিপিডিসি কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের নেতা, জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

পেনশনার এসোসিয়েশন বাংলাদেশের আহ্বায়ক এম এ আউয়ালও বক্তব্য রাখেন। দেশের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ায় চীনের প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থান

অবিলম্বে বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের জাতীয় সমাবেশ

০৬:৫২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

অবিলম্বে জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট কার্যকরসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকায় গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

জাতীয় সমাবেশের আয়োজন

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে ১৫ আবদুল গণি রোড, সচিবালয় সড়ক এলাকায় সকাল ১০টায় জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম এবং সঞ্চালনা করেন মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এবং প্রায় দশ হাজারের বেশি গণকর্মচারী সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মচারীদের ভূমিকা ও ন্যায্য প্রাপ্য বাস্তবায়নের দাবি

সংগঠনের নীতি-নির্ধারনী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান আজাদ বলেন, সরকারি কর্মচারীরাই রাষ্ট্রের কর্মযজ্ঞের প্রধান শক্তি। তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত না করলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়। তিনি জানান, ২০ লক্ষ কর্মচারীর দাবি অনুযায়ী বেতন কমিশনের সুপারিশ আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পাঁচ দফা দাবি

সমাবেশে মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন—

১. সরকারের ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি ও জানুয়ারি ২০২৬ থেকে তা কার্যকর।
২. টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল এবং সচিবালয়ের মতো এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে জাতীয় সার্ভিস কমিশন গঠন।
৩. ওয়ার্কচার্জ, কন্টিনজেন্ট পেইড, মাস্টাররোল এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক সকল অস্থায়ী কর্মচারীর চাকরি নিয়মিতকরণ ও ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত রেশন নিশ্চিত করা।


৪. আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রথা বাতিল করে শূন্য পদে রাজস্বখাতে নিয়োগ এবং ব্লকপোস্টে পদোন্নতির ব্যবস্থা।
৫. আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারা অনুযায়ী সকল দপ্তরের গণকর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা।

অতিথিদের বক্তব্য

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ব্যাংক ফেডারেশন বাংলাদেশের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ডিপিডিসি কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের নেতা, জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

পেনশনার এসোসিয়েশন বাংলাদেশের আহ্বায়ক এম এ আউয়ালও বক্তব্য রাখেন। দেশের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।