০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় কিংবা আগামীকাল ওয়ার্নার ব্রস অধিগ্রহণে প্যারামাউন্টের শত্রুভাবাপন্ন উদ্যোগ, কাঁপছে এশিয়ার স্ট্রিমিং বাজারও টেলেঙ্গানায় ৩ বিলিয়ন ডলার ঢালছে ভিয়েতনামের ভিংগ্রুপ, গড়বে স্মার্ট সবুজ নগর বেন অ্যান্ড জেরিস বোর্ডে অস্থিরতা: ইউনিলিভারের চাপের মধ্যেও সরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই অনুরাধা মিত্তলের নাইজেরিয়ায় ধান–মকাই–গমের দামে ধস: কোটি কোটি নাইরা ক্ষতিতে কৃষকেরা শুষ্ক মৌসুমের চাষে অনাগ্রহ মিশরের ইডেক্স অস্ত্র প্রদর্শনীতে ড্রোন দখলে বিশ্ব কোম্পানিগুলোর দৌড় চীনে এইচ২০০ চিপ বিক্রিতে ছাড়ের পথ, নভিডিয়াকে নতুন শর্ত দিল ওয়াশিংটন ঢাকার লালবাগে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: চারুকলা অনুষদে মাত্র ১১ শতাংশ শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনছে সরকার, সরবরাহে থাকছে নিউট্রিঅ্যাগ্রো ওভারসিজ ওপি–সি প্রাইভেট লিমিটেড

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় কিংবা আগামীকাল

সমকালের একটি শিরোনাম “আসিফ পদত্যাগ করবেন, মাহফুজ অনিশ্চিত”

নির্বাচনে অংশ নিতে আজ বা আগামীকালের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে অপর ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পদত্যাগ করবেন কিনা– তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারে থাকতে পারেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা আসিফ মাহমুদ আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ঢাকার ভোটার হয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় অথবা আগামীকাল ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তপশিলের আগেই তিনি পদ ছাড়বেন।

এনসিপি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে সমকালকে জানিয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও, তা হচ্ছে না। আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হবেন। এনসিপি যদি আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়,
তবেই আসিফ এনসিপিতে আসবেন। তা না হলে তিনি বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন–এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে এনসিপি সূত্র।

সোমবার রাতভর বৈঠক হয়েছে উপদেষ্টা মাহফুজের হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তা চলে। বৈঠক সূত্র জানায়, মাহফুজ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির জোটের নির্বাচনী সমঝোতার বিরোধী। এ মনোভাবের পরিবর্তন আসেনি।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”সংসদ নির্বাচন: আসন ছাড় নিয়ে বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ শরিকেরা”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন ছাড় নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব না মেলায় শরিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এই অবস্থায় বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার চিন্তাও করছেন শরিকদের কেউ কেউ। এর আগে অবশ্য বিএনপি কী করে, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় তাঁরা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্যকর পদক্ষেপ না এলে রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়বে।’ ফলে নতুন জোট গঠনের ইঙ্গিতও পাওয়া যায় এই নেতার কথায়। তিনি বলেন, ‘বোঝাপড়া হলে (বিএনপির সঙ্গে) এক রকমের, আর বোঝাপড়া না হলে আরেক রকমের।’ এ ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দলগুলোকে নিয়ে অন্য একটা জোটও হতে পারে।

অবশ্য আসন ছাড় নিয়ে শরিকদের মনোভাব প্রসঙ্গে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, বাস্তবতার নিরিখে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে জিতে আসতে পারে, এমন প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ বাস্তবতা বুঝতে হবে।

নাম প্রকাশ না করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, এবারের ভোট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। শেখ হাসিনার আমলের মতো যাঁদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে, তাঁরাই জিতে যাবেন—এমনটি হওয়ার সুযোগ নেই। অনেকে জাতীয় নেতা হলেও বেশির ভাগেরই ভোট করে জিতে আসার রেকর্ড নেই। এরপরও শরিকদের বিষয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা চলছে। যাঁরা বিজয়ী হয়ে আসতে পারবেন, তাঁদের জন্য আসন ছাড় দেওয়া হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় কিংবা আগামীকাল”

ত্রয়োদশ ‎জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সাধারণত রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করে থাকেন সিইসি। সে রীতি মেনেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার গতকাল দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও নির্বাচন কমিশনাররা দেখা করেছেন।

ভোটের আগে সর্বোচ্চ আনুষ্ঠানিকতা তফসিল ঘোষণা, যেখানে ভোটের তারিখসহ যাবতীয় কার্যক্রমের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। আর তফসিলের আগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, এরপর জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ রীতি হিসেবে পালন করে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায়ই তফসিল ঘোষণা হতে পারে, কিংবা সর্বোচ্চ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত। বিটিভি ও বেতারকে চিঠি দিয়েছে ইসি সচিবালয়। ভাষণের মাধ্যমে তফসিল হবে। ১০ ডিসেম্বর (আজ) হতে পারে। আর তো সময় নেই। ১১ ডিসেম্বরের (আগামীকাল) মধ্যে তফসিল দিতে হবে।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একই কথা বলেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনও। তবে তিনি বার উল্লেখ না করে কেবল বলেছেন, ‘এ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে।’ সে হিসাবে চলতি সপ্তাহে কার্যদিবস রয়েছে শুধু আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন”

আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত। কারণ দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। তাহলে এই অবস্থায় কী হবে দলটির ভবিষ্যৎ? ঢাকা-দিল্লি আনুষ্ঠানিক- অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক আলোচনায় বিষয়টি এসেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে ঢাকার তরফে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। তারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। যাদের ইমেজ অপেক্ষাকৃত ক্লিন তাদের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের এমন কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গত ১২ই মে এক প্রজ্ঞাপনে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়। তাদেরকেও সরকার একই জবাব দেয়। ওদিকে আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত হতে চেয়েছিল একটি অংশ। কিন্তু শেখ হাসিনা তাতে মত দেননি। হাসিনা বিশ্বাস করেন- লড়াই করে ফের দলকে সংগঠিত করতে সক্ষম হবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় কিংবা আগামীকাল

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় কিংবা আগামীকাল

০৮:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “আসিফ পদত্যাগ করবেন, মাহফুজ অনিশ্চিত”

নির্বাচনে অংশ নিতে আজ বা আগামীকালের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে অপর ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পদত্যাগ করবেন কিনা– তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারে থাকতে পারেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা আসিফ মাহমুদ আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ঢাকার ভোটার হয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় অথবা আগামীকাল ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তপশিলের আগেই তিনি পদ ছাড়বেন।

এনসিপি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে সমকালকে জানিয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও, তা হচ্ছে না। আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হবেন। এনসিপি যদি আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়,
তবেই আসিফ এনসিপিতে আসবেন। তা না হলে তিনি বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন–এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে এনসিপি সূত্র।

সোমবার রাতভর বৈঠক হয়েছে উপদেষ্টা মাহফুজের হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তা চলে। বৈঠক সূত্র জানায়, মাহফুজ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির জোটের নির্বাচনী সমঝোতার বিরোধী। এ মনোভাবের পরিবর্তন আসেনি।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”সংসদ নির্বাচন: আসন ছাড় নিয়ে বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ শরিকেরা”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন ছাড় নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব না মেলায় শরিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এই অবস্থায় বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার চিন্তাও করছেন শরিকদের কেউ কেউ। এর আগে অবশ্য বিএনপি কী করে, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় তাঁরা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্যকর পদক্ষেপ না এলে রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়বে।’ ফলে নতুন জোট গঠনের ইঙ্গিতও পাওয়া যায় এই নেতার কথায়। তিনি বলেন, ‘বোঝাপড়া হলে (বিএনপির সঙ্গে) এক রকমের, আর বোঝাপড়া না হলে আরেক রকমের।’ এ ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দলগুলোকে নিয়ে অন্য একটা জোটও হতে পারে।

অবশ্য আসন ছাড় নিয়ে শরিকদের মনোভাব প্রসঙ্গে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, বাস্তবতার নিরিখে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে জিতে আসতে পারে, এমন প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ বাস্তবতা বুঝতে হবে।

নাম প্রকাশ না করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, এবারের ভোট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। শেখ হাসিনার আমলের মতো যাঁদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে, তাঁরাই জিতে যাবেন—এমনটি হওয়ার সুযোগ নেই। অনেকে জাতীয় নেতা হলেও বেশির ভাগেরই ভোট করে জিতে আসার রেকর্ড নেই। এরপরও শরিকদের বিষয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা চলছে। যাঁরা বিজয়ী হয়ে আসতে পারবেন, তাঁদের জন্য আসন ছাড় দেওয়া হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় কিংবা আগামীকাল”

ত্রয়োদশ ‎জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সাধারণত রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করে থাকেন সিইসি। সে রীতি মেনেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার গতকাল দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও নির্বাচন কমিশনাররা দেখা করেছেন।

ভোটের আগে সর্বোচ্চ আনুষ্ঠানিকতা তফসিল ঘোষণা, যেখানে ভোটের তারিখসহ যাবতীয় কার্যক্রমের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। আর তফসিলের আগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, এরপর জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ রীতি হিসেবে পালন করে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায়ই তফসিল ঘোষণা হতে পারে, কিংবা সর্বোচ্চ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত। বিটিভি ও বেতারকে চিঠি দিয়েছে ইসি সচিবালয়। ভাষণের মাধ্যমে তফসিল হবে। ১০ ডিসেম্বর (আজ) হতে পারে। আর তো সময় নেই। ১১ ডিসেম্বরের (আগামীকাল) মধ্যে তফসিল দিতে হবে।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একই কথা বলেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনও। তবে তিনি বার উল্লেখ না করে কেবল বলেছেন, ‘এ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে।’ সে হিসাবে চলতি সপ্তাহে কার্যদিবস রয়েছে শুধু আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন”

আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত। কারণ দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। তাহলে এই অবস্থায় কী হবে দলটির ভবিষ্যৎ? ঢাকা-দিল্লি আনুষ্ঠানিক- অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক আলোচনায় বিষয়টি এসেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে ঢাকার তরফে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। তারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। যাদের ইমেজ অপেক্ষাকৃত ক্লিন তাদের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের এমন কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গত ১২ই মে এক প্রজ্ঞাপনে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়। তাদেরকেও সরকার একই জবাব দেয়। ওদিকে আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত হতে চেয়েছিল একটি অংশ। কিন্তু শেখ হাসিনা তাতে মত দেননি। হাসিনা বিশ্বাস করেন- লড়াই করে ফের দলকে সংগঠিত করতে সক্ষম হবেন।