সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আদালত। গ্রেপ্তার থেকে মামলার পটভূমি, তদন্তের অগ্রগতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট—সবকিছুই এখন এই রিমান্ডকে ঘিরে আলোচনায়।
আদালতের সিদ্ধান্ত
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খন্দকার আন্নার আদালতে বৃহস্পতিবার শওকত মাহমুদকে হাজির করা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে ৮ ডিসেম্বর একই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আরেক বিচারক।

রিমান্ডের আবেদন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আখতার মোরশেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শওকতের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড অনুমোদন করে।
গ্রেপ্তার ও মামলা পটভূমি
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব-ধারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এনায়েত করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত।
১৪ সেপ্টেম্বর মিন্টো রোডে সন্দেহজনকভাবে চলাচলকারী একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো থেকে এনায়েতকে আটক করে পুলিশ। পরদিন রমনা থানার উপপরিদর্শক আজিজুল হাকিম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ
অভিযোগে বলা হয়েছে, এনায়েত করিম একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন এবং দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা ও অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। তদন্তের ধারাবাহিকতায় শওকত মাহমুদকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
শওকত মাহমুদ বিএনপির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান। ২১ মার্চ ২০২৩ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি কিছুদিন রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল গঠিত জনতা পার্টি বাংলাদেশে যোগ দিয়ে তিনি আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসেন।
শেষ কথা
মামলার তদন্ত চলছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে কী তথ্য পাওয়া যায়, তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

#ShawkatMahmud #SeniorJournalist #FiveDayRemand #AntiTerrorismAct #DBPolice #DhakaCourt #BangladeshPolitics #PressClub #EnayetKarim #SarakhanReport
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















