১০:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে থেমে গেল মেট্রোরেল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ঢাকায় সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে মেট্রোরেলের কোনো ট্রেনই স্টেশন থেকে ছাড়েনি। হঠাৎ এই সেবা বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরমুখী হাজারো যাত্রী।


মেট্রোরেল বন্ধ, যাত্রীদের অচলাবস্থা

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে ঢাকার মেট্রোরেলের সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উত্তরা থেকে বেলা ৩টা ও মতিঝিল থেকে ৩টা ২০ মিনিটের ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়েনি।

হঠাৎ সেবা বন্ধ হয়ে পড়ে যাত্রীরা বিপাকে।


স্টেশনগুলোতে তালা, বাইরে যাত্রীদের চাপ

বিকেল পৌনে চারটার দিকে শেওড়াপাড়া স্টেশনে ট্রেন না পেয়ে বিপাকে পড়েন আল আমিন সজীব। তিনি জানান, স্টেশনের সিঁড়ির কলাপসিবল গেটে তালা দেওয়া ছিল। ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য যাত্রী।

রাস্তায়ও মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। বাস, সিএনজি বা অ্যাপ-ভিত্তিক মোটরসাইকেল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত চড়া ভাড়ায় রিকশায় কারওয়ান বাজার যেতে হয় তাঁকে।


স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালার দাবিতে আন্দোলন

স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সকাল ৭টা থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন ডিএমটিসিএল-এর নিয়মিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একটি অংশ।

এর আগের রাতেই ডিএমটিসিএল জানায়, শুক্রবার মেট্রোরেল নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এই ঘোষণা মানেননি।


কর্তৃপক্ষ বলছে প্রক্রিয়া চলছে

ডিএমটিসিএল-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, দাবি পূরণের প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করলেও যাত্রীসেবা বন্ধ হওয়ায় বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।


আন্দোলনকারীদের তাৎক্ষণিক অনুমোদনের দাবি

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিশেষ বোর্ড সভায় চাকরি বিধিমালা অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।

তবে কিছু আন্দোলনকারী জানান, তারা তাৎক্ষণিক অনুমোদন ছাড়া কর্মসূচি স্থগিত করবেন না।


অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা

রাতেই আন্দোলনকারীরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিধিমালা অনুমোদন না হওয়ায় শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে এবং যাত্রীসেবা বন্ধ থাকবে। আজ সকালে দিয়াবাড়িতে আবারও অবস্থান নেন তারা।


সরকার কঠোর অবস্থান বিবেচনা করছে

সরকারি ছুটির দিনেও ডিএমটিসিএল-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অফিসে এসে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা দাবি থেকে সরেননি।

যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় রয়েছে, কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোনো আন্দোলন–বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।


#মেট্রোরেল #কর্মবিরতি #ঢাকা #যাত্রীদুর্ভোগ #ডিএমটিসিএল

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে থেমে গেল মেট্রোরেল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

০৮:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকায় সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে মেট্রোরেলের কোনো ট্রেনই স্টেশন থেকে ছাড়েনি। হঠাৎ এই সেবা বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরমুখী হাজারো যাত্রী।


মেট্রোরেল বন্ধ, যাত্রীদের অচলাবস্থা

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে ঢাকার মেট্রোরেলের সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উত্তরা থেকে বেলা ৩টা ও মতিঝিল থেকে ৩টা ২০ মিনিটের ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়েনি।

হঠাৎ সেবা বন্ধ হয়ে পড়ে যাত্রীরা বিপাকে।


স্টেশনগুলোতে তালা, বাইরে যাত্রীদের চাপ

বিকেল পৌনে চারটার দিকে শেওড়াপাড়া স্টেশনে ট্রেন না পেয়ে বিপাকে পড়েন আল আমিন সজীব। তিনি জানান, স্টেশনের সিঁড়ির কলাপসিবল গেটে তালা দেওয়া ছিল। ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য যাত্রী।

রাস্তায়ও মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। বাস, সিএনজি বা অ্যাপ-ভিত্তিক মোটরসাইকেল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত চড়া ভাড়ায় রিকশায় কারওয়ান বাজার যেতে হয় তাঁকে।


স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালার দাবিতে আন্দোলন

স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সকাল ৭টা থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন ডিএমটিসিএল-এর নিয়মিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একটি অংশ।

এর আগের রাতেই ডিএমটিসিএল জানায়, শুক্রবার মেট্রোরেল নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এই ঘোষণা মানেননি।


কর্তৃপক্ষ বলছে প্রক্রিয়া চলছে

ডিএমটিসিএল-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, দাবি পূরণের প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করলেও যাত্রীসেবা বন্ধ হওয়ায় বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।


আন্দোলনকারীদের তাৎক্ষণিক অনুমোদনের দাবি

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিশেষ বোর্ড সভায় চাকরি বিধিমালা অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।

তবে কিছু আন্দোলনকারী জানান, তারা তাৎক্ষণিক অনুমোদন ছাড়া কর্মসূচি স্থগিত করবেন না।


অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা

রাতেই আন্দোলনকারীরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিধিমালা অনুমোদন না হওয়ায় শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে এবং যাত্রীসেবা বন্ধ থাকবে। আজ সকালে দিয়াবাড়িতে আবারও অবস্থান নেন তারা।


সরকার কঠোর অবস্থান বিবেচনা করছে

সরকারি ছুটির দিনেও ডিএমটিসিএল-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অফিসে এসে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা দাবি থেকে সরেননি।

যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় রয়েছে, কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোনো আন্দোলন–বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।


#মেট্রোরেল #কর্মবিরতি #ঢাকা #যাত্রীদুর্ভোগ #ডিএমটিসিএল