০৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সৌদি সাহিত্যের নীরব বিদায়: কথাসাহিত্যিক আহমেদ আবু দাহমান আর নেই ট্রাম্পের কটাক্ষেও অটল ইলহান ওমর, বললেন বিদ্বেষ দিয়ে ব্যর্থতা ঢাকছেন প্রেসিডেন্ট জেদ্দায় শীতের রূপকথা শুরু: ১৯ ডিসেম্বর খুলছে উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড সিডনিতে হানুকা উদযাপনে সন্ত্রাসী হামলা, সৌদি আরবের তীব্র নিন্দা দ্বিতীয় ঝড়ের মুখে ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চল, নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার অপচেষ্টা ও অন্তবর্তী সরকারের ভূমিকা পরিচালক রব রেইনার ও স্ত্রী’র মৃত্যু: ‘সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তদন্ত শুরু সিক্রেট সান্তা উপহারে নতুন ধারা: ছোট, ব্যবহারযোগ্য, ‘গুড এনাফ’ পছন্দ সাবেক জাপানি প্রতিরক্ষা প্রধানকে ঘিরে চীনের ‘কাউন্টারমেজার’, টোকিওতে নিরাপত্তা বিতর্ক আরও তীব্র নতুন ভূরাজনৈতিক দাবার ছক

নিখোঁজ অস্ত্র: কঠোর অভিযান কি নিশ্চিত করবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন?

জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সহিংসতা, নাশকতা ও সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। তবে আগের নির্বাচনগুলোর মতো এবারও বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—মাঠপর্যায়ে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওইদিন পুলিশ স্টেশন ও অন্যান্য স্থাপনা থেকে লুট বা নিখোঁজ হয় ৫ হাজার ৭৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪২৬টি উদ্ধার হলেও এখনো ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্রের কোনো খোঁজ মেলেনি।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বড় অংশই ছিল ভারী। তবে এখনো যেগুলো নিখোঁজ রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ছোট আগ্নেয়াস্ত্র—পিস্তল ও রিভলভার। এসব অস্ত্র সহজে বহন ও লুকানো যায় বলে নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ব্যবহারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।

নির্বাচনী চাপ ও অস্ত্রের ঝুঁকি

বাংলাদেশে নির্বাচনপূর্ব সময় বরাবরই রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কায় ভরা থাকে। অতীতে এই সময়ে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও লক্ষ্যভিত্তিক হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে নির্বাচন সামনে রেখে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিটি নির্বাচনের আগে পুলিশ, র‍্যাব ও বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট সমন্বিতভাবে দেশজুড়ে অভিযান চালায়, যাতে সহিংসতা শুরু হওয়ার আগেই অস্ত্রের জোগান বন্ধ করা যায়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মিডিয়া এএইচএম শহীদত হোসেন জানান, বর্তমানে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে, টহল বেড়েছে এবং তফসিল ঘোষণার পর অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এবার অভিযান হবে আরও গোয়েন্দাভিত্তিক, কারণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো আগেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঘোষিত পুরস্কার, সীমিত সাফল্য

গত কয়েক মাস আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও পুলিশ সদর দপ্তর যৌথভাবে নিখোঁজ অস্ত্র উদ্ধারে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। শুরুতে এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখা হলেও বাস্তবে তেমন সাফল্য আসেনি বলে স্বীকার করছেন কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পুরস্কার ঘোষণার পর উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার আগেই। বিশ্লেষকদের মতে, ধারণা ছিল পুরস্কারের লোভে অবৈধ অস্ত্রধারীরা স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দেবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। অনেক অস্ত্র এখনো সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের হাতে বা রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছে বলে ধারণা।

আরেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিখোঁজ অস্ত্রের ৮০ শতাংশের বেশি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র, যা নির্বাচনপূর্ব সময়ে উদ্ধার করা সবচেয়ে কঠিন।

গোয়েন্দা তথ্যের ওপর জোর

এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সদর দপ্তর কৌশল বদল করেছে। হঠাৎ ব্যাপক ধরপাকড় ও তল্লাশির বদলে এখন লক্ষ্যভিত্তিক, গোয়েন্দা তথ্যনির্ভর অভিযানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ব্যাপক অভিযান সাময়িক ফল দিলেও মূল অস্ত্রধারী ও নেটওয়ার্কে আঘাত হানতে গোয়েন্দাভিত্তিক পদক্ষেপই কার্যকর।

এই কৌশলের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা শাখা, বিশেষ শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিট মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ বাড়িয়েছে। পরিচিত অপরাধী, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীদের ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এই মডেল কতটা কার্যকর

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান বেশি ফলপ্রসূ হলেও এর ফল পেতে সময় লাগে। নির্বাচনের আগে সময় স্বল্পতাই বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, শুধু কতগুলো অস্ত্র উদ্ধার হলো, সেটাই সাফল্যের একমাত্র মানদণ্ড নয়। নির্বাচনকালীন সহিংসতা কতটা ঠেকানো গেল, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। বড় ধরনের সহিংসতা এড়ানো গেলে অভিযানকে আংশিক সফল বলা যায়।

নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে পুরস্কার ঘোষণা, কৌশল পরিবর্তন ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়লেও মাঠপর্যায়ে দৃশ্যমান সাফল্য এখনো সীমিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্রের উৎস, পাচার নেটওয়ার্ক ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া টেকসই সাফল্য আসবে না।

সবশেষে বলা যায়, এই অভিযানের প্রকৃত পরীক্ষা হবে ভোটের দিনগুলোতেই। তখনই স্পষ্ট হবে—কঠোর অস্ত্র উদ্ধারের এই উদ্যোগ শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে কতটা যথেষ্ট হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি সাহিত্যের নীরব বিদায়: কথাসাহিত্যিক আহমেদ আবু দাহমান আর নেই

নিখোঁজ অস্ত্র: কঠোর অভিযান কি নিশ্চিত করবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন?

০৪:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সহিংসতা, নাশকতা ও সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। তবে আগের নির্বাচনগুলোর মতো এবারও বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—মাঠপর্যায়ে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওইদিন পুলিশ স্টেশন ও অন্যান্য স্থাপনা থেকে লুট বা নিখোঁজ হয় ৫ হাজার ৭৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪২৬টি উদ্ধার হলেও এখনো ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্রের কোনো খোঁজ মেলেনি।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বড় অংশই ছিল ভারী। তবে এখনো যেগুলো নিখোঁজ রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ছোট আগ্নেয়াস্ত্র—পিস্তল ও রিভলভার। এসব অস্ত্র সহজে বহন ও লুকানো যায় বলে নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ব্যবহারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।

নির্বাচনী চাপ ও অস্ত্রের ঝুঁকি

বাংলাদেশে নির্বাচনপূর্ব সময় বরাবরই রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কায় ভরা থাকে। অতীতে এই সময়ে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও লক্ষ্যভিত্তিক হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে নির্বাচন সামনে রেখে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিটি নির্বাচনের আগে পুলিশ, র‍্যাব ও বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট সমন্বিতভাবে দেশজুড়ে অভিযান চালায়, যাতে সহিংসতা শুরু হওয়ার আগেই অস্ত্রের জোগান বন্ধ করা যায়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মিডিয়া এএইচএম শহীদত হোসেন জানান, বর্তমানে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে, টহল বেড়েছে এবং তফসিল ঘোষণার পর অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এবার অভিযান হবে আরও গোয়েন্দাভিত্তিক, কারণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো আগেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঘোষিত পুরস্কার, সীমিত সাফল্য

গত কয়েক মাস আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও পুলিশ সদর দপ্তর যৌথভাবে নিখোঁজ অস্ত্র উদ্ধারে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। শুরুতে এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখা হলেও বাস্তবে তেমন সাফল্য আসেনি বলে স্বীকার করছেন কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পুরস্কার ঘোষণার পর উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার আগেই। বিশ্লেষকদের মতে, ধারণা ছিল পুরস্কারের লোভে অবৈধ অস্ত্রধারীরা স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দেবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। অনেক অস্ত্র এখনো সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের হাতে বা রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছে বলে ধারণা।

আরেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিখোঁজ অস্ত্রের ৮০ শতাংশের বেশি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র, যা নির্বাচনপূর্ব সময়ে উদ্ধার করা সবচেয়ে কঠিন।

গোয়েন্দা তথ্যের ওপর জোর

এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সদর দপ্তর কৌশল বদল করেছে। হঠাৎ ব্যাপক ধরপাকড় ও তল্লাশির বদলে এখন লক্ষ্যভিত্তিক, গোয়েন্দা তথ্যনির্ভর অভিযানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ব্যাপক অভিযান সাময়িক ফল দিলেও মূল অস্ত্রধারী ও নেটওয়ার্কে আঘাত হানতে গোয়েন্দাভিত্তিক পদক্ষেপই কার্যকর।

এই কৌশলের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা শাখা, বিশেষ শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিট মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ বাড়িয়েছে। পরিচিত অপরাধী, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীদের ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এই মডেল কতটা কার্যকর

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান বেশি ফলপ্রসূ হলেও এর ফল পেতে সময় লাগে। নির্বাচনের আগে সময় স্বল্পতাই বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, শুধু কতগুলো অস্ত্র উদ্ধার হলো, সেটাই সাফল্যের একমাত্র মানদণ্ড নয়। নির্বাচনকালীন সহিংসতা কতটা ঠেকানো গেল, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। বড় ধরনের সহিংসতা এড়ানো গেলে অভিযানকে আংশিক সফল বলা যায়।

নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে পুরস্কার ঘোষণা, কৌশল পরিবর্তন ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়লেও মাঠপর্যায়ে দৃশ্যমান সাফল্য এখনো সীমিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্রের উৎস, পাচার নেটওয়ার্ক ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া টেকসই সাফল্য আসবে না।

সবশেষে বলা যায়, এই অভিযানের প্রকৃত পরীক্ষা হবে ভোটের দিনগুলোতেই। তখনই স্পষ্ট হবে—কঠোর অস্ত্র উদ্ধারের এই উদ্যোগ শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে কতটা যথেষ্ট হয়েছে।