০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা চাইছে অ্যাপল—অ্যাপ স্টোর নীতিমালায় নতুন কড়াকড়ি নেটফ্লিক্সে কে-ড্রামা ও অ্যানিমের বিশ্বজয় জিওহটস্টার দক্ষিণ ভারতীয় কনটেন্টে $৪৪৪ মিলিয়ন বিনিয়োগের ঘোষণা চ্যাটবট চাপে গুগলের নতুন এআই সার্চ উন্মোচন আইডোলাদের সঙ্গে ডোলার আবেগী পুনর্মিলন, সানওয়ে পিরামিডে স্মরণীয় বিকেল সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষতিকর কনটেন্ট: নেতিবাচক আচরণ কীভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে ৯৫ শতাংশ টাকা ফেরতের ফাঁদ: আইন পেশার ছদ্মবেশে নতুন প্রতারণা সীমান্ত পেরোনো লেনদেনে এক ছাতার মানদণ্ড: জর্জ টাউন অ্যাকর্ডের নতুন দিগন্ত শেয়ারবাজারে পতন থামছে না, ডিএসই ও সিএসই সূচক আবারও নিম্নমুখী ২০২৬ সালের নির্বাচনে ২০২৪ সালের প্রার্থীদের নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

সীমান্ত পেরোনো লেনদেনে এক ছাতার মানদণ্ড: জর্জ টাউন অ্যাকর্ডের নতুন দিগন্ত

এশিয়ার ভেতরে ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত আধুনিক হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত পার হলেই সেই স্বাচ্ছন্দ্য ভেঙে যায়। এই বাস্তবতাকেই সামনে এনে আসিয়ান দেশগুলো প্রথমবারের মতো সীমান্ত–পেরোনো পেমেন্ট ব্যবস্থাকে এক মানদণ্ডে আনতে বড় পদক্ষেপ নিল।

পেনাংয়ে স্বাক্ষরিত জর্জ টাউন অ্যাকর্ড চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছে ‘নেক্সট৫০ কমন স্ট্যান্ডার্ডস’ উদ্যোগ। লক্ষ্য একটাই—এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কার্ডবিহীন, তাৎক্ষণিক খুচরা লেনদেনকে সহজ, নিরাপদ ও অভিন্ন করা।

এশিয়ার গতিশীল পেমেন্ট বাস্তবতা
এই চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে পাঁচ দেশের ছয়টি জাতীয় পেমেন্ট নেটওয়ার্ক। মালয়েশিয়ার পেনেট, সিঙ্গাপুরের নেটস, ভিয়েতনামের নাপাস, ফিলিপাইনের ব্যাংকনেট এবং ইন্দোনেশিয়ার আর্টাজাসা ও রিন্টিস।

পেনেটের প্রধান নির্বাহী ফারহান আহমাদ বলেন, এশিয়া ঘরোয়া পেমেন্ট ব্যবস্থায় পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে অনেক এগিয়ে। রিয়েল–টাইম পেমেন্ট, কিউআর কোড—সব উন্নয়ন হয়েছে দেশের ভেতরেই। কিন্তু ভ্রমণের সময় সেই সুবিধা আর থাকে না।

তার ভাষায়, জর্জ টাউন অ্যাকর্ড সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা। কিউআর কোডের গঠন কেমন হবে, রিফান্ড কীভাবে চলবে, বিরোধ মেটানো হবে কীভাবে—সবকিছুর জন্য অভিন্ন নিয়ম তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে একক পরিচয় চিহ্নও চালুর ভাবনা আছে।

সার্বভৌমত্ব রেখে সংযোগ, ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
ফারহান স্পষ্ট করেন, নেক্সট৫০ কোনো অতিরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ নয়। প্রতিটি দেশ নিজের পেমেন্ট অবকাঠামোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখবে। সীমান্ত পার হলেই শুধু এই মানদণ্ড কার্যকর হবে।

এই ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণাও বাড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা–ভিত্তিক জালিয়াতি বেড়েছে বহুগুণ। একসঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করলে সুরক্ষা অনেক শক্তিশালী হয়।

বর্তমানে আসিয়ানের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক কিউআর পেমেন্ট সংযোগ আছে। শুধু মালয়েশিয়ারই ছয়টি চালু, আরেকটি আসছে ২০২৬ সালে। কিন্তু এগুলো গড়তে সময় লাগে। এক মানদণ্ড হলে বিস্তার হবে দ্রুত।

পর্যটকের সংখ্যাও এই উদ্যোগের গুরুত্ব বোঝায়। আগামী বছর মালয়েশিয়ায় আসতে পারে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন পর্যটক। কিউআর পেমেন্ট সহজ হলে শুধু বড় দোকান নয়, তিন মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসাও লাভবান হবে।

ফারহানের মতে, এর গভীর তাৎপর্য আরও বড়। প্রথমবার এশিয়া নিজেই বৈশ্বিক পেমেন্ট কাঠামো গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মালয়েশিয়ার জন্য এটি কেবল সুবিধা নয়, এক ধরনের অবস্থান ও গর্বও।

জনপ্রিয় সংবাদ

এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা চাইছে অ্যাপল—অ্যাপ স্টোর নীতিমালায় নতুন কড়াকড়ি

সীমান্ত পেরোনো লেনদেনে এক ছাতার মানদণ্ড: জর্জ টাউন অ্যাকর্ডের নতুন দিগন্ত

১০:০০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

এশিয়ার ভেতরে ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত আধুনিক হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত পার হলেই সেই স্বাচ্ছন্দ্য ভেঙে যায়। এই বাস্তবতাকেই সামনে এনে আসিয়ান দেশগুলো প্রথমবারের মতো সীমান্ত–পেরোনো পেমেন্ট ব্যবস্থাকে এক মানদণ্ডে আনতে বড় পদক্ষেপ নিল।

পেনাংয়ে স্বাক্ষরিত জর্জ টাউন অ্যাকর্ড চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছে ‘নেক্সট৫০ কমন স্ট্যান্ডার্ডস’ উদ্যোগ। লক্ষ্য একটাই—এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কার্ডবিহীন, তাৎক্ষণিক খুচরা লেনদেনকে সহজ, নিরাপদ ও অভিন্ন করা।

এশিয়ার গতিশীল পেমেন্ট বাস্তবতা
এই চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে পাঁচ দেশের ছয়টি জাতীয় পেমেন্ট নেটওয়ার্ক। মালয়েশিয়ার পেনেট, সিঙ্গাপুরের নেটস, ভিয়েতনামের নাপাস, ফিলিপাইনের ব্যাংকনেট এবং ইন্দোনেশিয়ার আর্টাজাসা ও রিন্টিস।

পেনেটের প্রধান নির্বাহী ফারহান আহমাদ বলেন, এশিয়া ঘরোয়া পেমেন্ট ব্যবস্থায় পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে অনেক এগিয়ে। রিয়েল–টাইম পেমেন্ট, কিউআর কোড—সব উন্নয়ন হয়েছে দেশের ভেতরেই। কিন্তু ভ্রমণের সময় সেই সুবিধা আর থাকে না।

তার ভাষায়, জর্জ টাউন অ্যাকর্ড সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা। কিউআর কোডের গঠন কেমন হবে, রিফান্ড কীভাবে চলবে, বিরোধ মেটানো হবে কীভাবে—সবকিছুর জন্য অভিন্ন নিয়ম তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে একক পরিচয় চিহ্নও চালুর ভাবনা আছে।

সার্বভৌমত্ব রেখে সংযোগ, ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
ফারহান স্পষ্ট করেন, নেক্সট৫০ কোনো অতিরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ নয়। প্রতিটি দেশ নিজের পেমেন্ট অবকাঠামোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখবে। সীমান্ত পার হলেই শুধু এই মানদণ্ড কার্যকর হবে।

এই ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণাও বাড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা–ভিত্তিক জালিয়াতি বেড়েছে বহুগুণ। একসঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করলে সুরক্ষা অনেক শক্তিশালী হয়।

বর্তমানে আসিয়ানের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক কিউআর পেমেন্ট সংযোগ আছে। শুধু মালয়েশিয়ারই ছয়টি চালু, আরেকটি আসছে ২০২৬ সালে। কিন্তু এগুলো গড়তে সময় লাগে। এক মানদণ্ড হলে বিস্তার হবে দ্রুত।

পর্যটকের সংখ্যাও এই উদ্যোগের গুরুত্ব বোঝায়। আগামী বছর মালয়েশিয়ায় আসতে পারে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন পর্যটক। কিউআর পেমেন্ট সহজ হলে শুধু বড় দোকান নয়, তিন মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসাও লাভবান হবে।

ফারহানের মতে, এর গভীর তাৎপর্য আরও বড়। প্রথমবার এশিয়া নিজেই বৈশ্বিক পেমেন্ট কাঠামো গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মালয়েশিয়ার জন্য এটি কেবল সুবিধা নয়, এক ধরনের অবস্থান ও গর্বও।