বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে চলমান মন্দাভাব থেকে বেরিয়ে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। টানা পতনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দুই শেয়ারবাজারের সূচকই আরও এক দিন কমেছে।
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনের চিত্র
লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ পয়েন্ট কমে যায়। একই সঙ্গে শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস এবং শীর্ষ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসথার্টি সূচকও ৭ পয়েন্ট করে হ্রাস পায়।
দিনভর লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। মোট ২৯৯টি কোম্পানির দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৪৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টি কোম্পানির দর।
ব্লক মার্কেট ও লেনদেনের গতি
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ ২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফাইন ফুডস একাই প্রায় ৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে শীর্ষে ছিল।
সার্বিকভাবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকায়, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৪১৩ কোটি টাকা।
দর বাড়া-কমার শীর্ষে যারা
ডর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ছিল ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, যার শেয়ারদর পাঁচ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের, যার শেয়ারদর কমেছে নয় শতাংশেরও বেশি।
চট্টগ্রাম বাজারেও একই ধারা
ঢাকার বাজারের মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। সেখানকার প্রধান সূচক কাসপি ৭৬ পয়েন্ট কমে যায়।
চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে ১০৩টি কোম্পানির দর কমেছে, ৪১টির বেড়েছে এবং ১৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
সিএসইতে লেনদেন ও শীর্ষ কোম্পানি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।
দর বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষে ছিল এক্সিম ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। বিপরীতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের, যা দিন শেষে ১০ শতাংশ দরপতন নিয়ে তালিকার নিচে অবস্থান করে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















