০১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

পাবনায় বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিচয়
নিহত ব্যক্তির নাম বিরু মোল্লা (৬৫)। তিনি লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।

ঘটনার পেছনের কারণ
পুলিশ ও পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত বিরু মোল্লার চাচাতো ভাই জাহুরুল মোল্লা (৫৫) এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগভুক্ত ব্যক্তি। বিরুর ছেলে রাজিব মোল্লার করা অভিযোগে বলা হয়, জাহুরুল তাদের ইটভাটার কিছু জমি দখল করে নিয়েছিলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগেও বিরোধ হয়েছিল।

রাজিব জানান, মঙ্গলবার রাতে জাহুরুল তাদের জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানার পর বুধবার সকালে বিরু মোল্লা জাহুরুলের কাছে জানতে গেলে আবারও কথা কাটাকাটি হয়।

গুলির ঘটনা ও মৃত্যু
বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে জাহুরুল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। গুলিটি বিরু মোল্লার চোখে লাগে। পরে তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্তের অবস্থান
ঘটনার পর অভিযুক্ত জাহুরুল মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পুলিশের বক্তব্য
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান ওসি।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনায় বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত

০৪:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিচয়
নিহত ব্যক্তির নাম বিরু মোল্লা (৬৫)। তিনি লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।

ঘটনার পেছনের কারণ
পুলিশ ও পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত বিরু মোল্লার চাচাতো ভাই জাহুরুল মোল্লা (৫৫) এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগভুক্ত ব্যক্তি। বিরুর ছেলে রাজিব মোল্লার করা অভিযোগে বলা হয়, জাহুরুল তাদের ইটভাটার কিছু জমি দখল করে নিয়েছিলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগেও বিরোধ হয়েছিল।

রাজিব জানান, মঙ্গলবার রাতে জাহুরুল তাদের জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানার পর বুধবার সকালে বিরু মোল্লা জাহুরুলের কাছে জানতে গেলে আবারও কথা কাটাকাটি হয়।

গুলির ঘটনা ও মৃত্যু
বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে জাহুরুল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। গুলিটি বিরু মোল্লার চোখে লাগে। পরে তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্তের অবস্থান
ঘটনার পর অভিযুক্ত জাহুরুল মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পুলিশের বক্তব্য
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান ওসি।