ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুর মোরশেদ রাজু গ্রেপ্তার এড়াতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার বিবরণ
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় আটটার দিকে কোতোয়ালি থানার একটি দল রাজুকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তার বাসায় যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি বাড়ির দ্বিতীয় তলার বারান্দা থেকে নিচে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পাশের সীমানা দেয়ালে আছড়ে পড়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে।
হাসপাতালে চিকিৎসা ও মৃত্যু
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে তাকে চরপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হলেও অবস্থার অবনতি ঘটে এবং শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের বক্তব্য
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব জানান, পুলিশ নিয়মিতভাবে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করে। তিনি বলেন, বাড়ির গেট না খোলায় পুলিশ দল সেখান থেকে চলে যায় এবং পরে কী ঘটেছে সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
আইনি অবস্থা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক কোনো মামলায় রাজুর নাম ছিল না এবং তিনি গত আট থেকে দশ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে ওসমান হাদী হত্যাকাণ্ডের পর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু হয়, তার অংশ হিসেবেই পুলিশ ওই এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছিল।
পরিবারের বক্তব্য
রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে তার স্বামী স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা আইনি জটিলতা ছিল না।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















