পঞ্চগড়ে নিখোঁজ থাকা এক পুলিশ কনস্টেবলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আখতারুজ্জামান, বয়স ৪৬ বছর। তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের নাইন মাইল এলাকার একটি আখক্ষেতে মরদেহটি পাওয়া যায়। এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
প্রাথমিক শনাক্তকরণ
মরদেহটি তখন অর্ধগলিত অবস্থায় থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পরে দেহে থাকা পুলিশের লোগোযুক্ত অন্তর্বাস দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তিনি পুলিশ সদস্য।
পরিবারের মাধ্যমে নিশ্চিত পরিচয়
পরে নিহতের পরনে থাকা প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি তার পরিবারের কাছে পাঠানো হয়। ছবিগুলো দেখেই আখতারুজ্জামানের স্ত্রী শাহিনা আখতার শিমা স্বামীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।

পুলিশের বক্তব্য
পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, মরদেহ বর্তমানে থানায় রাখা হয়েছে। স্বজনরা পঞ্চগড়ে পৌঁছালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হবে এবং প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিখোঁজের পেছনের তথ্য
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আখতারুজ্জামান প্রায় ২২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন এবং খুলনা রেঞ্জের অধীনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার ব্যাচ নম্বর ৮৪০৩০২৪৬৪৪।
স্ত্রীর করা জিডি
নিহতের স্ত্রী জানান, গত ২৭ নভেম্বর আখতারুজ্জামান মহেশপুরে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। যাওয়ার সময় তিনি নিজের দুটি মোবাইল ফোন বাসায় রেখে যান। এরপর আর তিনি ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় ৩০ নভেম্বর চৌগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
পারিবারিক পরিচয়
আখতারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহজুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিছুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চৌগাছা শহরের ইছাপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
স্বজনদের প্রতিক্রিয়া
নিহতের শ্যালক মামুনুর রশীদ মামুন জানান, খবর পাওয়ার পর শুক্রবার রাতেই পরিবার পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















