বিশাল পর্দার জন্যই যে কিছু ছবি তৈরি হয়, অবতার ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। জেমস ক্যামেরন আবারও দেখিয়ে দিলেন কেন তাঁকে আধুনিক চলচ্চিত্র নির্মাণের জাদুকর বলা হয়। গল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, সংলাপ নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, এমনকি দীর্ঘ সময় নিয়েও বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু চোখ ধাঁধানো এই অভিজ্ঞতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
দৃশ্যের আগুনে পুড়ছে প্যান্ডোরা
এই পর্বে নীল সমুদ্র ছেড়ে দর্শককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্যান্ডোরার জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির ভেতরে। নতুন নাভি গোষ্ঠী ছাই মানুষদের আবির্ভাব ছবির রঙ ও আবহে একেবারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দৃশ্য প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে কম্পিউটার গ্রাফিক্স নয়, যেন জীবন্ত এক পৃথিবীর জানালা খুলে যায় চোখের সামনে।
![]()
পরিচিত কাঠামো, নতুন তীব্রতা
গল্পের কাঠামো পরিচিত হলেও আবেগের তীব্রতা এবার বেশি। কোয়ারিচের প্রত্যাবর্তন আগের চেয়ে আরও ভয়ংকর, আর সুলি পরিবারের পালিয়ে বেড়ানো নতুন করে গল্পে গতি আনে। ছাই মানুষদের নেত্রী ভারাং চরিত্রটি নাভি সমাজের ভেতরের নৈতিক দ্বন্দ্ব কে সামনে এনে সহজ ভালো মন্দের হিসাব ভেঙে দেয়।
শেষ অংশে মহাযুদ্ধের আবেশ
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার এই ছবির শেষ ভাগ ইতিমধ্যেই আলোচনায়। বিশাল যুদ্ধ দৃশ্য, নিখুঁত পরিকল্পনা আর আবেগময় মুহূর্ত মিলিয়ে এটি পর্দায় দেখা সেরা অ্যাকশন দৃশ্যগুলোর একটি হয়ে উঠেছে। শুধু উত্তেজনা নয়, পরিবারের বন্ধন ও ক্ষতির যন্ত্রণাও গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রযুক্তির জয়, অভিজ্ঞতার উৎসব
ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ হয়তো গল্পে খানিকটা ভারী, কিন্তু প্রযুক্তি ও অনুভূতির দিক থেকে এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বড় পর্দা, ত্রিমাত্রিক প্রদর্শন আর সর্বোচ্চ মানের হলে না দেখলে ছবির আসল রসই পাওয়া যাবে না।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















