০৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
সমুদ্রের গোধূলি জগতে অজানা প্রাণের সন্ধান, গভীর সাগরেও জলবায়ু সংকটের ছায়া রাধিকা আপ্টের নতুন মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারে নায়ক খলনায়কের সীমারেখা ভেঙে পড়ছে রেমিট্যান্স না সোনা, কোন পথে বেশি সঞ্চয়? প্রবাসীদের নতুন হিসাব মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, ছয় রাজ্যে ঘরছাড়া হাজারো মানুষ হরমোনজনিত সমস্যার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি: সিঙ্গাপুরের বহু নারীর প্রজনন ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে ঝিলমিল পুঁতির জাদুতে বিক্রি শেষ মিনিটেই, ঘরে বসে গড়ে ওঠা এক শিল্পীর সাফল্যের গল্প এমন ভয়ংকর পরিবেশ দেখার জন্য এই সরকারকে আনা হয়নি: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ক্রিসমাস উপহারে সৌন্দর্যের ঝলক, সব বাজেটেই প্রস্তুত বিশ্ববিখ্যাত সেট অবতার ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ আগুন ধরাল পর্দায়, জেমস ক্যামেরনের আরেক বিস্ময় অস্থিতিশীল আবহাওয়ায় সতর্ক আমিরাতবাসী, ঘরে বসে কাজ ও যাতায়াতে পরিবর্তন

গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম ভেঙে পড়ার শঙ্কা, ইসরায়েলের বাধায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

গাজা ও দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলের জটিল, অস্পষ্ট ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কারণে ত্রাণ কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

নিবন্ধন সংকটে বন্ধের মুখে ত্রাণ সংস্থা
যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও দুই শতাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা জানায়, আগামী একত্রিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বহু আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। নিবন্ধন বাতিল হলে ষাট দিনের মধ্যে এসব সংস্থাকে গাজায় কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হবে। এতে জরুরি ও মৌলিক সেবায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

হাসপাতাল থেকে বিশুদ্ধ পানি, সবই ঝুঁকিতে
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় মাঠপর্যায়ের অধিকাংশ হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জরুরি আশ্রয় ব্যবস্থা, পানি ও পয়োনিষ্কাশন সেবা, অপুষ্ট শিশুদের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মাইন অপসারণ কার্যক্রম আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এসব সংস্থা বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

গাজার বাইরে আটকে ত্রাণসামগ্রী
ত্রাণ সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মার্চে চালু হওয়া নতুন ব্যবস্থার আওতায় কিছু সংস্থা নিবন্ধিত হলেও পুনরায় নিবন্ধনের দীর্ঘসূত্রতা ও নানা প্রশাসনিক বাধার কারণে বিপুল পরিমাণ জরুরি ত্রাণ গাজার বাইরে আটকে আছে। খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী ও আশ্রয় সহায়তা পৌঁছাতে না পেরে মানুষ চরম সংকটে পড়ছে।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সহায়তা কম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বন্দি বিনিময় ও কিছু ত্রাণ প্রবেশ শুরু হলেও হামাসের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী পর্যাপ্ত ত্রাণ ট্রাক ঢুকছে না। ত্রাণ সংস্থাগুলোও বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় সহায়তা অনেক কম এবং বহু প্রয়োজনীয় পণ্য ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুদ্ধবিরতির শর্ত মানার কথা বলেছে।

মানবিক সহায়তা রাজনৈতিক নয়
জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম ভেঙে পড়লে জাতিসংঘ একা তা সামাল দিতে পারবে না। মানবিক সহায়তার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই এবং এটি কোনোভাবেই শর্তসাপেক্ষ বা রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে না। বিলম্ব ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের কাছে জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

#গাজা #ফিলিস্তিন #মানবিকসহায়তা #জাতিসংঘ #ত্রাণসংকট #মধ্যপ্রাচ্যসংকট

জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রের গোধূলি জগতে অজানা প্রাণের সন্ধান, গভীর সাগরেও জলবায়ু সংকটের ছায়া

গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম ভেঙে পড়ার শঙ্কা, ইসরায়েলের বাধায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

০৩:২০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজা ও দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলের জটিল, অস্পষ্ট ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কারণে ত্রাণ কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

নিবন্ধন সংকটে বন্ধের মুখে ত্রাণ সংস্থা
যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও দুই শতাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা জানায়, আগামী একত্রিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বহু আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। নিবন্ধন বাতিল হলে ষাট দিনের মধ্যে এসব সংস্থাকে গাজায় কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হবে। এতে জরুরি ও মৌলিক সেবায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

হাসপাতাল থেকে বিশুদ্ধ পানি, সবই ঝুঁকিতে
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় মাঠপর্যায়ের অধিকাংশ হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জরুরি আশ্রয় ব্যবস্থা, পানি ও পয়োনিষ্কাশন সেবা, অপুষ্ট শিশুদের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মাইন অপসারণ কার্যক্রম আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এসব সংস্থা বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

গাজার বাইরে আটকে ত্রাণসামগ্রী
ত্রাণ সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মার্চে চালু হওয়া নতুন ব্যবস্থার আওতায় কিছু সংস্থা নিবন্ধিত হলেও পুনরায় নিবন্ধনের দীর্ঘসূত্রতা ও নানা প্রশাসনিক বাধার কারণে বিপুল পরিমাণ জরুরি ত্রাণ গাজার বাইরে আটকে আছে। খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী ও আশ্রয় সহায়তা পৌঁছাতে না পেরে মানুষ চরম সংকটে পড়ছে।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সহায়তা কম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বন্দি বিনিময় ও কিছু ত্রাণ প্রবেশ শুরু হলেও হামাসের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী পর্যাপ্ত ত্রাণ ট্রাক ঢুকছে না। ত্রাণ সংস্থাগুলোও বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় সহায়তা অনেক কম এবং বহু প্রয়োজনীয় পণ্য ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুদ্ধবিরতির শর্ত মানার কথা বলেছে।

মানবিক সহায়তা রাজনৈতিক নয়
জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম ভেঙে পড়লে জাতিসংঘ একা তা সামাল দিতে পারবে না। মানবিক সহায়তার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই এবং এটি কোনোভাবেই শর্তসাপেক্ষ বা রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে না। বিলম্ব ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের কাছে জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

#গাজা #ফিলিস্তিন #মানবিকসহায়তা #জাতিসংঘ #ত্রাণসংকট #মধ্যপ্রাচ্যসংকট