টানা ভারী বৃষ্টিতে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। ছয়টি রাজ্যে হাজারো মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পাহাংয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি
বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য পাহাং। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে গেছে। টানা বৃষ্টির ফলে বেলাত নদীর পানি উপচে পড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুয়ানতানসহ বিভিন্ন স্থানে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়ায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ও ফ্রিজ পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। অনেক বাসিন্দা কোমরসমান পানির মধ্যে দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যেতে বাধ্য হন।

কেলান্তান ও তেরেঙ্গানুতেও বাড়ছে দুর্ভোগ
কেলান্তানের গুয়া মুসাং এলাকায় হঠাৎ করেই বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভারী বৃষ্টি না থাকলেও লেবির নদীর পানি বেড়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তেরেঙ্গানু রাজ্যের ডুংগুন ও কেমামান এলাকাতেও বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে শত শত মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের একাধিক নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বন্যা
পাহাংয়ের সুলতান আহমদ শাহ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়েও বন্যার প্রভাব পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ক্যাম্পাস প্লাবিত হলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে উঁচু স্থানে অবস্থিত মসজিদে সরিয়ে নেওয়া হয়। বিশেষ করে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ছয় রাজ্যে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পাহাং, তেরেঙ্গানু, জোহর, সেলাঙ্গর, কেলান্তান ও সারাওয়াক মিলিয়ে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় হাজারের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য পঁচাত্তরটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাংয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, এরপর রয়েছে তেরেঙ্গানু ও অন্যান্য রাজ্য।




সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















